নানা রকম বাহারি এবং মুখরোচক শতাধিক পদের পিঠা নিয়ে চট্টগ্রাম সরকারি হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজে পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত কলেজের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা এ উৎসবে অংশগ্রহণ করে।
প্রতি বছর কলেজ কর্তৃপক্ষ এ উৎসবের আয়োজন করে থাকে। উৎসবে কলেজের সব বিভাগের শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করতে দেখা গেছে। হরেক রকমের পিঠার স্বাদ নিতে পিঠা উৎসবে আসেন অনেকেই। পিঠা উৎসবে শিক্ষার্থীদের তত্ত্বাবধানে দেশীয় ও আঞ্চলিক নামে ১৬টি স্টল বসে। স্টলের নামগুলো হলো, রাষ্ট্রের রসনা, মিডা চুনচুইন্না, পৌষালি, স্বাদের সমীকরণ, পিঠার সাতকাহন, ঠাকুরমার ঝুড়ি, ফুয়েদ্দে ফিডার দোয়ান, পিঠার পসরা, পিষ্টক, ফেওলের পিঠা ঘর, পিঠা কুঞ্জ, পিঠা পার্বণ, ফোটন ফ্লেভার, পৌষী, পুলি প্রসাদ ও রসময় ব্যঞ্জন।
গ্রামীণ এবং বাঙালির ইতিহাস–ঐতিহ্যে সাজানো এসব স্টলে অন্তন, মিষ্টি ডোনাট, দুধ পাকন, কাস্টর্ড কাপ, চিকেন ঝাল, বিন্নি চালের পিঠা, মালাই কেক, সুজি ভাপা পিঠা, পাকন পিঠা, দুধ চিতই, পেস্ট্রি কেক, সুজির বরফি, জার কেক, কুচি পিঠা, নারিকেল নাড়ু, বিন্নি চালের শাফি টুকরা, সূর্যমুখী, হৃদয় হরণ, তামু চিকেন, ছিটকা পিঠা, শাগু দানা, মধুভাত, নারিকেল পুলি, মহেশখালীর মিষ্টি পান, ডিম সুন্দরী, ছইনপাক্কন, দুধপুলি, খাজা, শামুক পিঠা, ফুলঝুড়ি, ছাইন্না পিঠা, ক্ষীর, মালপোয়া, কদম পিঠা, পুয়া পিঠা, পুলিচা, খানা, আনতাসা পিঠা, হাফাইননে পিঠা, ঝাক্কা পিঠা, আতিক্কে পিঠা, মোমো, বউ পিঠা, হাতঝড়া, বসন্ত পিঠা, পেস্ট্রি, গোলাপ পিঠা, ছাঁচ পিঠা, শিমের ফুল, মুগপাকন, সেমাই লাড্ডু, লবঙ্গ লতিব, বেলি ফুল, সাবু দানার ও ডিম পান্থয়াসহ শতাধিক পদের পিঠা সাজানো হয়।
সায়মা সুলতানা মাইশা নামে এক শিক্ষার্থী জানান, ৩৫–৪০ রকমের পিঠা দিয়ে আমাদের স্টলটাকে সাজানো হয়েছে। এসব পিঠার দাম রাখা হচ্ছে ১০–৪০ টাকা পর্যন্ত। ঘণ্টা দুয়েকের মধ্যে আমাদের প্রায় পিঠা বিক্রি হয়ে গেছে। বিভিন্ন শিক্ষার্থীরা এসে খুবই আনন্দের সঙ্গে এসব পিঠা কিনেছেন।
অনুষ্ঠানের সার্বিক বিষয়ে কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম জানান, তারুণ্য উৎসব উদযাপন উপলক্ষে এই পিঠা উৎসব ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। কোনোরকম বিশৃঙ্খলা ছাড়াই সুন্দর এবং সুশৃঙ্খলভাবে পিঠা উৎসব শেষ হয়েছে। শিক্ষার্থীরা উৎসবমুখর পরিবেশে উৎসব উদযাপন করে।