সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি মশা নিয়ন্ত্রণে জনসচেতনতা গুরুত্বপূর্ণ বলে মন্তব্য করেছেন সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী। তিনি বলেন, আমরা যদি নিজেদের বাড়ি ও নির্মাণাধীন ভবনে জমে থাকা পানি অপসারণ না করি তাহলে কেবল কীটনাশক ছিটিয়ে মশা নিয়ন্ত্রণ সম্ভব না। সমপ্রতি ব্যাপক বৃষ্টিতে অনেকের ভবনের আন্ডারগ্রাউন্ড ও ছাদের বিভিন্ন অংশে পানি জমেছে। নাগরিকদের প্রতি আহবান থাকবে, জমে থাকা পানি অপসারণের মাধ্যমে মশার প্রজননের সুযোগ কমান। বিশ্ব মশা দিবস উপলক্ষে গতকাল আয়োজিত র্যালিতে এসব কথা বলেন তিনি। এদিন সকালে নগরের চান্দগাঁও বি ব্লক মসজিদের সামনে থেকে শুরু হওয়া একটি র্যালি ওই এলাকা প্রদক্ষিণ করে। এরপর নগরীর ৬নং পূর্ব ষোলশহর ওয়ার্ড কার্যালয় থেকে আরেকটি র্যালি বের হয়। বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সহায়তায় এই র্যালিগুলোর ও প্রচার অভিযানের উদ্দেশ্য ছিল মশা সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধি। র্যালির পর সংক্ষিপ্ত সমাবেশে রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, আমি মেয়র হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সমন্বয়ে একটি গবেষণা দল গঠন করি। উনাদের বিজ্ঞানভিত্তিক পরামর্শের আলোকে বর্তমানে সর্বাধুনিক মশার কীটনাশক ছিটানো হচ্ছে। সমাবেশের পর মেয়র এলাকাবাসীর হাতে জনসচেতনতামূলক লিফলেট তুলে দেন, তদারকি করেন মশা নিধন কার্যক্রম। সিটি রেড ক্রিসেন্টের সেক্রেটারী আবদুল জব্বারের সঞ্চালনায় র্যালিতে অংশ নেন কাউন্সিলর এম আশরাফুল আলম, এসরারুল হক এসরাল, চট্টগ্রাম সিটি রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ আলমগীর পারভেজ, মেয়রের একান্ত সচিব আবুল হাশেমসহ রেড ক্রিসেন্টের স্বেচ্ছাসেবক ও চসিকের পরিচ্ছন্ন বিভাগের কর্মীরা।
