মশার উৎপাত এখন এতটাই বেড়েছে যে,দরজা জানালা বন্ধ করেও ঘরে থাকা দায় হয়ে পড়েছে। মসজিদ,মন্দির, বাসাবাড়ি, দোকানপাট বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ সবখানে হু হু করে বাড়ছে মশা।সারাক্ষণ কানের কাছে ভোঁ ভোঁ করে উড়ে আর সুযোগ পেলেই কামড় দেয় শরীরে।সন্ধ্যার পর থেকে শ্বাস নিতে গেলে নাক ও মুখের ভেতর ঢুকে পড়ে মশা। ঘরের বাইরে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ভীতি আর ঘরের ভেতরে মশার কামড়ে ম্যালেরিয়া,চিকনগুনিয়া ও ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হওয়ার শঙ্কা নিয়ে ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছে জনগণ। চট্টগ্রাম মহানগরীর ৪১টি ওয়ার্ডের প্রায় সবকটি ওয়ার্ডে একই অবস্থা বিরাজ করছে। কিছু কিছু এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রাস্তার পাশে ড্রেন নির্মাণে মাস্টার প্ল্যান না থাকায় উঁচু নিচু হওয়ার কারণে ময়লা পানি দ্রুত নিষ্কাশন না হওয়ায় জমে থাকা পানি ও ময়লা আবর্জনা থেকে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ায় দুর্বিষহ হয়ে পড়ে জনজীবন। তাছাড়া কোন কোন স্থানে ডাস্টবিনে জমে থাকা উপচে পড়া ময়লা আবর্জনা দ্রুত অপসারণ না করায় তা ছড়িয়ে ছিটিয়ে ড্রেনে পড়ে ময়লা পানি নিষ্কাশনে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করে । ড্রেনে জমে থাকা ময়লা আবর্জনা থেকে উৎপত্তি হচ্ছে মশা। আমার বাসস্থান হতে সামান্য পশ্চিমে আনন্দবাজার ময়লার ডিপো। চট্টগ্রাম নগরীর সমস্ত ময়লা আবর্জনা এখানে এনে ফেলা হলেও পরিকল্পনা মোতাবেক তার সঠিক রক্ষণাবেক্ষণে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেই।ময়লা আবর্জনার দুর্গন্ধ আশপাশের এলাকায় সারাক্ষণ বিরাজ করে।ড্রেন নালা নর্দমা গুলোতে মশা মাছি ভনভন করে উড়ে।নিয়মিত পরিষ্কার করা এবং মশার ওষুধ ছিটানোর কার্যক্রম এখানে তেমন দেখা যায় না।
সীমাহীন যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ জনগণ একাধিক কয়েল জ্বালিয়ে এবং স্প্রে ব্যবহার করেও নিস্তার পাচ্ছে না। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের মতে মশক নিধনে বিষাক্ত স্প্রে ও কয়েলের ধোঁয়া শ্বাসতন্ত্রের মাধ্যমে মানবদেহে অ্যাজমা শ্বাসকষ্ট এবং এলার্জিজনিত বিভিন্ন রোগ ছড়াতে পারে।এই অবস্থা চলমান থাকলে জনস্বাস্থ্য মারাত্মক হুমকীর সম্মুখীন হয়ে পড়বে।
সমপ্রতি চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের নবনির্বাচিত মাননীয় মেয়র মহোদয় সহ নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডে সম্মানিত কাউন্সিলরগণ শপথ নিয়ে দায়িত্বভার গ্রহণ করেছেন। আশাকরি জনগণের দুর্ভোগ লাঘবে মাননীয় মেয়র মহোদয় ও কাউন্সিলরগণ অতিসত্বর সরেজমিনে এলাকা পরিদর্শন করে উল্লিখিত সমস্যা সমাধানে দ্রুত এগিয়ে আসবেন।