মেয়ে মরিয়ম মান্নানের ফেসবুক পোস্ট নিয়ে আলোচনায় থাকা ‘নিখোঁজ’ রহিমা বেগমকে অবশেষে জীবিত অবস্থায় ফরিদপুর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে; যিনি ‘আত্মগোপনে’ ছিলেন বলে দাবি পুলিশের। গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার সৈয়দপুর গ্রাম থেকে ২৯ দিন ধরে হদিস না পাওয়া রহিমাকে উদ্ধারের কথা জানান খুলনা মহানগর পুলিশ কমিশনার মো. মাসুদুর রহমান ভূঞা। তিনি বলেন, রহিমা বেগম নিজেই আত্মগোপনে ছিলেন। খবর বিডিনিউজের।
খুলনার মহেশ্বরপাশার বণিকপাড়া থেকে গত ২৭ অগাস্ট নিখোঁজ হন ৫৫ বছর বয়সী রহিমা বেগম। এরপর থেকে তার সন্ধান করছিলেন তার মেয়ে মরিয়ম মান্নানসহ চার বোন। এনিয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলনও করা হয়। এরপর গত বৃহস্পতিবার ময়মনসিংহের ফুলপুরে তার মায়ের লাশ পাওয়া গেছে বলে মরিয়ম মান্নান ফেসবুক পোস্ট দেন। এরপর এ নিয়ে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে খবর প্রকাশ হলে তা আলোচনায় আসে। ১৩ দিন আগে উদ্ধার করা বস্তাবন্দি লাশটি রহিমা বেগমের কি না সে বিষয়ে নিশ্চিত হতে ফুলপুরে যান তার চার মেয়ে। এরমধ্যেই রহিমার অক্ষত অবস্থায় উদ্ধারের তথ্য সামনে এল।
ফরিদপুরের বোয়ালমারী থানার ওসি মো. আবদুল ওহাব জানান, খুলনা মহানগর পুলিশের এডিসি আবদুর রহমানের নেতৃত্বে একটি দল বোয়ালমারী সদর ইউনিয়নের সৈয়দপুর গ্রামের কুদ্দুস মোল্লার বাড়ি থেকে রহিমা বেগমকে উদ্ধার করে।
এর আগে রহিমা বেগমের সন্ধান চেয়ে ১ সেপ্টেম্বর খুলনায় সংবাদ সম্মেলন করেন তার বাড়ির লোকজন। রহিমার সঙ্গে জমিজমা নিয়ে স্থানীয় বিল্লাল হোসেন ও হেলালের সঙ্গে তাদের মামলা চলছে বলেও সে সময় জানানো হয়েছিল। ওসি নজরুল জানান, গত ২৭ অগাস্ট রাত সাড়ে ১০টার দিকে পানি আনতে বাসা থেকে নিচে নেমে আর বাসায় ফেরেননি রহিমা। সম্ভাব্য সবস্থানে খুঁজেও তার সন্ধান না পেয়ে বাড়ির লোকজন থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। পরে কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে রহিমার মেয়ে আদুরি আক্তার অপহরণের মামলা করেন। আদালত ১৪ সেপ্টেম্বর মামলাটি পিবিআইতে পাঠানোর আদেশ দেন। এরপর ১৭ সেপ্টেম্বর নথিপত্র বুঝে নেয় পুলিশের ওই ইউনিট। রহিমা নিখোঁজের ঘটনায় তার স্বামী হেলাল হাওলাদারসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তারও করেছে পুলিশ।