কাপ্তাই চট্টগ্রাম মহাসড়কের লিচুবাগানে রাস্তার উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে ময়লা পানি। ময়লা পানির পাশাপাশি সড়কের একপাশে জমা রয়েছে ময়লা আবর্জনার স্তূপ। এর ফলে সড়ক সঙ্কুচিত হয়ে পড়েছে। এখানে সড়কের দুই পাশে কোন ফুটপাত ও নেই। আবর্জনা এবং ময়লা পানির জন্য স্বাভাবিকভাবে যানবাহন চলাচল করতে পারেনা। আবার ফুটপাত না থাকায় স্কুল কলেজের ছাত্রছাত্রী বা সাধারণ মানুষ রাস্তার পাশ দিয়ে বা রাস্তার উপর দিয়েও ঠিকভাবে চলাচল করতে পারছে না। এরকম পরিস্থিতিতে অনেকটা ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চলাচল করছে এবং সাধারণ মানুষ রাস্তা পারাপার হচ্ছে।
সরেজমিন দেখা গেছে, লিচুবাগান বিদ্যুৎ অফিসের সামনে কাপ্তাই সড়কের উপর দিয়ে আবাসিক এলাকার যাবতীয় ময়লা পানি প্রবাহিত হচ্ছে। রাস্তার একেবারে পাশ ঘেঁষে বিভিন্ন তরকারি এবং ফলমূলের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা বিকিকিনি করছেন। এসব ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের ময়লা আবর্জনা এবং গৃহস্থালী কাজে ব্যবহৃত আবর্জনা ও ময়লা পানির ধারা সড়কের উপর দিয়ে লিচুবাগান বাস স্ট্যান্ডের দিকে প্রবাহিত হচ্ছে।
লিচুবাগানের স্থানীয় বাসিন্দা মঞ্জুরি আক্তার বলেন, আমাদের সন্তানেরা স্কুল কলেজে যাওয়ার জন্য এই সড়ক ব্যবহার করে থাকে। কিন্তু সড়কের উপর দিয়ে আবর্জনা এবং ময়লা পানি থাকায় তারা স্বাভাবিকভাবে চলাচল করতে পারছেনা। এই অবস্থায় শতশত বাস, ট্রাক, কার, সিএনজি, ব্যাটারি চালিত রিক্সা, ঠেলাগাড়ি ইত্যাদি যানবাহন চলাচল করে। এই পরিস্থিতিতে যানবাহন দেখে শিক্ষার্থীরা সড়ক পার হবার চেষ্টা করে। এরফলে যে কোন মুহূর্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এমন পরিস্থিতিতে সড়ক দুর্ঘটণায় প্রাণহানি ঘটলে এর দায় কে নেবে।
স্থানীয় বাসিন্দা বোরহান উদ্দীন বলেন, আমরা লিচুবাগান জামে মসজিদে নিয়মিত নামাজ আদায় করতে এই সড়কের উপর দিয়ে যাতায়াত করি। ঘর থেকে অজু করে বের হলেও সড়কের উপর ময়লা পানি ও আবর্জনার কারণে অনেকের অজুও থাকে না। তিনি বলেন টয়লেটের পানিও সড়কের উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে। সবার চোখের সামনে দিয়ে এই অরাজক পরিস্থিতি চলতে থাকলেও সবাই দেখেও না দেখার ভান করে সড়ক পার হচ্ছেন।
বাস চালক আনোয়ার হোসেন বলেন, সড়কের পাশ ২০ ফুট থাকলেও ময়লা আবর্জনার কারণে সড়ক ক্ষীণ হয়ে বর্তমানে কোন কোন স্থানে ১২ থেকে ১৪ ফুটে নেমে এসেছে। লিচুবাগানে কাপ্তাই সড়ক যানবাহন চলাচলে বর্তমানে চরম ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।
লিচুবাগান মোটর মেকানিক নেপাল কুমার দে বলেন, ময়লা পানি প্রবাহিত হবার জন্য ড্রেন থাকলেও আবর্জনার কারণে ড্রেন বন্ধ হয়ে পড়ায় ময়লা পানি সড়কের উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এর ফলে সর্বসাধারণের ভোগান্তি হচ্ছে। তিনি বলেন, সম্পুর্ণ মানবিক কারণে আমি মাঝে মঝে ড্রেন পরিষ্কার করি। কিন্তু ড্রেন পরিষ্কার করলেও আবার ময়লা আবর্জনা পড়ে ড্রেন বন্ধ হয়ে যায়। যার ফলে ময়লা আবর্জনা এবং দুর্গন্ধযুক্ত পানি সড়কের উপর দিয়ে নিয়মিত প্রবাহিত হচ্ছে। এ বিষয়ে তিনি সড়ক ও জনপথ বিভাগের দৃষ্টি আকর্ষন করে জনস্বার্থে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য প্রতি অনুরোধ জানান।