সুরক্ষিত চিত্ত সুখ জীবনকে করে পরম প্রজ্ঞা ও প্রাপ্তিময়। আমাদের এই স্থুল শরীরের মধ্যে সূক্ষ্ম শরীর। ঐ সূক্ষ্ম শরীরের নাম– মন। ধ্যান ঐ চঞ্চল মনকে স্থির করে। মন আর মাছি প্রায় এক জিনিস। স্থির হয়ে কোথাও একভাবে বসতে পারে না। অনবরত ভ্যান ভ্যান করে। মনের গভীরে প্রবেশ করলে দেখতে পাওয়া যায় এক বা একাধিক সুচিন্তার চেয়ে অসৎ চিন্তা নিরন্ধ নিরবধি বহমান মনের দুয়ারে। একটা আর একটার সঙ্গে সুমধুর বন্ধুত্ব। দুটোই সমান শক্তিশালী।
অথচ মনকে স্থির করতে না পারলে শান্তি, স্বস্তি এবং প্রশান্তি বিঘ্নিত। শান্তি এবং প্রশান্তি জীবনকে বহুমাত্রিক বিকাশ প্রকাশে প্রতিনিয়ত সুন্দর পথনির্দেশ দেয়। হিংসার চেয়ে শতগুণ ভালো কল্পনা। কল্পনা অশ্বের চেয়েও বেগবান।
আর কী লাগে! কোথায় লাগে জেটপ্লেন! কল্পনার এই তো মজা! আর ভালোবাসা–মানুষ ভালোবাসা নিয়ে কত আদিখ্যেতা করে। বড় বড় বই লিখে ফেলেন। ভালোবাসার কত করণ–কৌশল। আসলে ভালোবাসা জিনিসটা রেসিপ্রোক্যাল। পেতে হলে দিতে হয়। স্বার্থটাকে বের করে নিয়ে সামান্য একটু শ্রদ্ধা মেশাতে হবে। একটা সম্পর্ক তৈরি করতে হবে। সঙ্গে সঙ্গে দেশ কাল পাত্রের ব্যবধান ঘুচে যাবে। দেশ জয়ের চেয়েও মানুষের মন জয় করা অনেক বড় জয়। ঔদ্ধত্য অহঙ্কারীর স্থান নেই ভালোবাসার জগতে। হিংসা – লোভ বেশি দিন বাঁচে না। বেঁচে থাকে শান্তি, ভালোবাসা।