ইউনিসেফ চলতি বছরের জুনে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলছে, বৈশ্বিক প্রচেষ্টার ফলে শিশুশ্রম উল্লেখযোগ্যভাবে কমলেও প্রায় ১৩ কোটি ৮০ লাখ শিশু ২০২৪ সালে শিশুশ্রমে যুক্ত ছিল, যার মধ্যে ৫ কোটি ৪০ লাখ শিশু ঝুঁকিপূর্ণ কাজে যুক্ত, যা তাদের স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা ও বিকাশকে বাধাগ্রস্ত করেছে। শিশুশ্রম নিরসনের ক্ষেত্রে অগ্রগতি অর্জন হলেও প্রতিবেদনে কঠিন বাস্তবতা উঠে এসেছে।
বিশ্বব্যাপী তথ্য অনুযায়ী, কৃষি খাত এখনো শিশুশ্রমের সবচেয়ে বড় ক্ষেত্র–শিশুশ্রমের ৬১ শতাংশ ঘটে এই খাতে। এরপরেই রয়েছে সেবা খাত (২৭ শতাংশ)। যেমন–গৃহস্থালি কাজ বা বাজারে পণ্য বিক্রি। শিল্পখাতে রয়েছে (১৩ শতাংশ), যার মধ্যে খনি ও উৎপাদন শিল্প অন্তর্ভুক্ত। বাংলাদেশের শিশুরা কেন শ্রম দিতে বাধ্য হচ্ছে তাঁর সমাজতাত্ত্বিক ব্যাখ্যা– বিশ্লেষণ খুব একটা নজরে আসে না। প্রায় অংশীজন আর্থিক দিকটাই বেশি বিশ্লেষণ করে। অনেকে বায়বীয় প্রতিবেদনও উত্থাপন করেন। এক্ষেত্রে ব্যক্তিক্রম দেখা যায় মনজুর–উল–আমিন চৌধুরীর ‘বাংলাদেশে শিশুশ্রম : সমাজতাত্ত্বিক বিশ্লেষণ’ গ্রন্থে। ২৬০ পৃষ্ঠার এই গ্রন্থ ২০২৫ সালে প্রকাশ করেছে বাংলা একাডেমী। মনজুর–উল–আমিন চৌধুরীর পরলোকগত স্ত্রী রোকেয়া বেগম (রুকু)কে উৎসর্গ করা গ্রন্থের প্রচ্ছদ আঁকিয়ে উৎপল দাস, আর দাম রাখা হয়েছে ৪৪০ টাকা। প্রায় দুই দশকের অধিককাল শিশুশ্রম নিয়ে পঠন–পাঠন ও আলোচনা, প্রকাশনা তাঁকে এই গবেষণাযজ্ঞে উৎসাহিত করেছে। নয়টি অধ্যায়ে বিভক্ত বইটির প্রথম অধ্যায়ে ভূমিকা, দ্বিতীয় অধ্যায়ে ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম, তৃতীয় অধ্যায়ে শিশুশ্রম নিরসনে সরকারি পদক্ষেপসমূহ, চতুর্থ অধ্যায়ে শিশুশ্রম রোধে কর্মসূচি, পঞ্চম অধ্যায়ে কোভিড–১৯ পরবর্তী শিশু, ষষ্ঠ অধ্যায়ে টেম্পুতে কর্মরত শিশুদের জীবনমান–জীবনচিত্র, সপ্তম অধ্যায়ে সড়ক পরিবহনে কর্মরত শিশুদের জীবনকথা, অষ্টম অধ্যায়ে কোভিড পরবর্তী ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম : পরিবহণ সেক্টর, নবম অধ্যায়ে শিশুশ্রম নিরসনে নানা উদ্যোগ এবং উপসংহার। গবেষক শেষে যুক্ত করেছেন সহায়ক গ্রন্থপঞ্জি ও পরিশিষ্ট। যা একজন পরিপূর্ণ একাডেমিশিয়ানের স্বাক্ষর।
শিশুশ্রম শুধু বাংলাদেশে নয়, এটা বৈশ্বিক সমস্যা। বিশ্বজুড়ে পরিচালিত কর্মসূচির মাধ্যমে, আইপিইসি শিশুদের বিপজ্জনক কর্মক্ষেত্র থেকে অপসারণ এবং শিশুশ্রমের চূড়ান্ত অবসান ঘটাতে চায়। কিন্তু শিশুশ্রমের চূড়ান্ত অবসান আদৌ কি সম্ভব? এককথায় বলা যায় মোটেও না। বাংলাদেশে দারিদ্র্যসীমার নীচে বসবাসরতদের সংখ্যা নেহায়েত কম নয়, তেমনি শিক্ষার আলোর মুখে দেখছে না অনেকে। ‘চট্টগ্রামে প্রাথমিক শিক্ষার বাইরে রয়েছে প্রায় ৬০ হাজার শিশু। এসব শিশুদের বয়স ৬ থেকে ১০ বছর। এদের একটি অংশ শিশুশ্রমের সাথে জড়িত। চট্টগ্রাম জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের ২০১৯ সালের মার্চের শিশু জরিপের তথ্য অনুযায়ী চট্টগ্রামে ৬ থেকে ১০ বছর বয়সী জরিপকৃত শিশুর সংখ্যা ৯ লাখ ৪০ হাজার ৭১৯ জন। এর মধ্যে স্কুলগামী শিশুর সংখ্যা হচ্ছে ৮ লাখ ৮১ হাজার ৯১৪ জন। এই হিসেব অনুযায়ী চট্টগ্রামে শিক্ষার বাইরে রয়েছে ৫৮ হাজার ৮০৫ জন শিশু–অর্থাৎ প্রায় ৬০ হাজার শিশু প্রাথমিক শিক্ষা থেকে বঞ্চিত। প্রতি বছর ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা থানা ও উপজেলাভিত্তিক এই শিশু জরিপ করেন।
[বাংলাদেশে শিশুশ্রম : সমাজতাত্ত্বিক বিশ্লেষণ, পৃষ্ঠা–৯২]। শিক্ষাখাতে বরাদ্দ বাড়ানোর কথা বাজেটের আগে প্রতিবছর বলা হয়ে থাকে। কোনো সরকার এ নিয়ে চিন্তা করার সময় পায় না। শিক্ষাখাতে বাজেটের ২০ থেকে ২৫ ভাগ বরাদ্দের দাবি ফি বছর আলোর মুখ দেখে না। বাজেটের আগে–পরে সপ্তাহ খানেক সামান্য প্রতিবাদ হয়, সংবাদপত্রে বিদগ্ধজনরা লেখালেখি করেন। এরপর খবর থাকে না। তবে সরকারে যারা থাকেন তারা বলেন ‘শিক্ষখাতে সর্বোচ্চ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে’। মূলত শিক্ষাখাতে বরাদ্দের মধ্যে অবকাঠামো প্রকল্প অগ্রাধিকার পায়। আর সুযোগ থাকে দুর্নীতি।
মনজুর–উল–আমিন চৌধুরী একজন নির্মোহ গবেষক। তিনি যথাযথ গবেষণা পদ্ধতি অনুসরণ করেছেন। সাথে সংকট সমাধানের সুপারিশ করেছেন। সহায়ক গ্রন্থপঞ্জি, পরিশিষ্ট যুক্ত করে তিনি একে আরো ঋদ্ধ করেছেন। শিশুশ্রম নিয়ে সমাজতাত্ত্বিক বিশ্লেষণ বাংলাদেশে সম্ভবত তিনিই প্রথম করেছেন। উত্তরাধিকার সূত্রে তিনি গবেষক নন। উত্তরাধিকার এজন্য বলছি, তাঁর পিতা হচ্ছেন চট্টলতত্ত্ববিদ ও একুশে পদকপ্রাপ্ত গবেষক আবদুল হক চৌধুরী। যিনি একনামেই পরিচিত। তাঁর অনেক গ্রন্থ রয়েছে। মনজুর–উল–আমিন চৌধুরী ২০০৬ সালে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। সমাজবিজ্ঞানের ছাত্র হিসেবে তাঁর গবেষণার প্রদান ক্ষেত্র হলো– আঞ্চলিক সংযোগ, আঞ্চলিক সহযোগিতা, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, প্রান্তিক জনগোষ্ঠী, শিশুশ্রম এবং সামাজিক অসমতা ও বৈষম্য। বর্তমানে তিনি ঘাসফুলের চেয়ারম্যান। ছিলেন চট্টগ্রাম চেম্বারের ভাইস প্রেসিডেন্ট। সিভিল সোসাইটি থিঙ্ক ট্যাংক, ফোরাম ফর পিপলস ভয়েসের প্রতিষ্ঠাতা প্রেসিডেন্ট। অধুনালুপ্ত সাপ্তাহিক চলতি দিন পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন।
ভূমিকায় তিনি শিশুশ্রমের সংজ্ঞায়ন করতে গিয়ে লিখেছেন, ‘শিশুশ্রম একটি বহুমাত্রিক প্রপঞ্চ তাই ধারণায় সমস্যা দেখা দেয়। জাতিসংঘের শিশু অধিকার সনদ ১৯৮৯, জাতীয় শিশু নীতি ২০১১ এবং শিশু আইন–২০১৩ অনুযায়ী অনূর্ধ্ব ১৮ বছরের সকলেই শিশু।’ [বাংলাদেশে শিশুশ্রম : সমাজতাত্ত্বিক বিশ্লেষণ, পৃষ্ঠা–২]। শিশুশ্রমের বৈশ্বিক প্রেক্ষিত, দক্ষিণ এশিয়া ও বাংলাদেশ প্রেক্ষিত দিয়েছে ভিন্নমাত্রিক দ্যোতনা। ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম অধ্যায়ে গবেষক শিশুশ্রমের উৎস, আদি ইতিহাস, বাংলাদেশ ও প্রেক্ষাপট স্মরণীর মাধ্যমে উপস্থাপন করেছেন। যা সহজে পাঠক হৃদয়াঙ্গম করতে সক্ষম হবেন। ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি ভি ভি গিরি শিশুশ্রম প্রত্যয়টিকে অর্থনৈতিক এবং সামাজিক ব্যাধির দৃষ্টিকোণ থেকে বিশ্লেষণ করেছেন। তিনি বলেন, অর্থনৈতিক দিক হতে শিশুশ্রম হলো শিশুদের উপার্জনশীল কর্মে নিয়োগ করা যাতে তারা পারিবারিক আয় বৃদ্ধিতে সহায়তা করতে পারে। তিনি আরো বলেন, সামাজিক অনাচারের দৃষ্টিকোণ থেকে শিশুশ্রম হলো সেসব কাজে শিশুদের নিয়োজিত করা, যাতে শিশুদের জনসমক্ষে অস্বাভাবিকভাবে উপস্থাপন করা হয় যাতে শিশুদের বিকাশে প্রতিবন্ধকতা দেখা দেয়। [বাংলাদেশে শিশুশ্রম : সমাজতাত্ত্বিক বিশ্লেষণ, পৃষ্ঠা–১৬–১৭]। সমাজবিজ্ঞানীরা মূলত শিশুশ্রমকে দারিদ্র্যের মাপকাঠিতে বিচার করেছেন। আইএলও বাংলাদেশের শিশুদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ বা চরম ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত ৪৭ রকমের কাজ চিহ্নিত করেছে। বাংলাদেশ সরকার ২০১৩ সালে ৩৮ টি পেশাকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। প্রবাহমানকালে শিশু–কিশোররা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডকে পেশা হিসেবে গ্রহণ করেছে। যদিও সেটি চিহ্নিত করা সহজে সম্ভব নয়। সেটা চিহ্নিত করতে পারলে কিশোর অপরাধ প্রতিরোধে অনেকটা সহায়ক ভূমিকা রাখা যেত। বিধিবদ্ধ আইন ও নীতিমালা দিয়ে শিশুশ্রম কোনোভাবেই নিরসন করা সম্ভব নয়। তৃতীয় অধ্যায়ে সরকারের গৃহীত পদক্ষেপসমূহ তুলে ধরা হয়েছে। স্বাধীনতা লাভের ৫৪ বছরেও বাংলাদেশে বাস্তব ও যুগোপযোগী শিক্ষানীতি প্রণীত হয়নি। সরকার আসে যায়, কিন্তু শিক্ষানীতি নিয়ে প্রায় সব সরকার থাকে অনেকটা উদাসীন। কর্মমুখী শিক্ষা এখানে অনুপস্থিত। প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থা সনদধারণ তৈরি করবে, কর্মমুখী সৃষ্টিতে নয়। পাঠ্যক্রম ও সহ পাঠ্যক্রম জীবন–জীবিকার নিরিখে ঢেলে সাজানো সময়ের দাবি। চতুর্থ অধ্যায়ে শিশুশ্রম রোধে বিবিধ কর্মসূচি উল্লেখ করা হয়েছে এগুলো বাস্তবায়নে দীর্ঘসূত্রতা লক্ষ্য করা যায়। বেশিরভাগ কর্মসূচি কাগজে–কলমে সীমাবদ্ধ। ২০১৯ সালে করোনা বিশ্বব্যাপী মহামারী আকারে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ‘কোভিড–১৯ এর কারণে ১৮৮ টি দেশের স্কুলগুলো বন্ধ থাকায় এর প্রভাব পড়েছে ১৫০ কোটি শিশু–কিশোরদের উপর। ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে ১১ সেপ্টেম্বর ২০২১ স্কুল বন্ধ থাকায় বাংলাদেশে ৩ কোটি ৭০ লক্ষ শিশুর লেখাপড়া ব্যাহত হয়েছে। এই সময়ে দক্ষিণ এশিয়া, দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়া ও পূর্ব এশিয়াসহ সমগ্র এশিয়ার প্রায় ৮০ কোটি শিশুর লেখাপড়া ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ওয়ার্ল্ড ভিশনের জরিপ বলছে, করোনা ভাইরাস সংক্রমণের কারণে ৯১ শতাংশ শিশু ও তরুণ মানসিক চাপ ও শঙ্কার মধ্য দিয়ে গেছে।…. পৃথিবীর যে দুটি দেশ করোনাকালীন দীর্ঘ ১৮ মাস শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখাকে সহজ ও নিরাপদ সমাধান ভেবেছে বাংলাদেশ তার একটি। এভাবে ক্রমাগত দীর্ঘ সময় স্কুল বন্ধ রাখার পরিণতিতে শিক্ষার ক্ষতি, বিশেষজ্ঞদের মতে, মারাত্মক ক্ষতি যা সহজে পূরণ হবার নয়। চরম ঝুঁকিতে ফেলে দেওয়া হয়েছে একটি প্রজন্মকে। [বাংলাদেশে শিশুশ্রম : সমাজতাত্ত্বিক বিশ্লেষণ, পৃষ্ঠা–৮৬–৮৭]। প্রাণহানি কমাতে সহায়ক হয়েছে এটা সরকারের অভিমত। তবে এই সময়ে মানুষ দরিদ্র থেকে আরো দরিদ্র হয়েছে। টেম্পুতে কর্মরত শিশুদের জীবনমান–জীবনচিত্র ফুঠে উঠেছে ষষ্ঠ অধ্যায়ে। প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণ ও পর্যবেক্ষণ পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়েছে এই অধ্যায়ে। উত্তরদাতাদের বিভিন্ন প্রশ্নোত্তর সারণি আকারে বিধিবদ্ধ করা হয়েছে। বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গি এতে প্রতিফলিত হয়েছে। সড়ক পরিবহনে কর্মরত শিশুদের জীবনকথা সপ্তম অধ্যায়ে ভয়াবহ চিত্র ফুটে উঠেছে। ‘জাতীয় শিশুশ্রম জরিপ ২০১৩ সূত্রে জানা যায় প্রায় ৩৪ লাখ শিশু বিভিন্ন ধরনের শ্রমের সাথে যুক্ত।’ [বাংলাদেশে শিশুশ্রম : সমাজতাত্ত্বিক বিশ্লেষণ, পৃষ্ঠা–১৩২]। মূলত গবেষক এলাকা জেলা ভিত্তিক শিশু শ্রমিকের আবাসস্থল কর্মঘণ্টা ও জীবনচিত্র উপস্থাপন করেছেন। মৌলিক গবেষণার এটি সুখময় চিত্র। অষ্টম অধ্যায়ে কোভিড পরবর্তী ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম : পরিবহন সেক্টরে মনজুর–উল–আমিন চৌধুরী বেশ দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন। কোভিড উত্তর দৈশিক ও বৈশ্বিক পর্যায়ে জীবন–প্রণালী বিশেষ করে শিশুদের ক্ষেত্রে ওলট পালট করে দিয়েছে। শিশুশ্রম নিরসনে নানা উদ্যোগ নবম অধ্যায়ে বিধৃত হয়েছে। উদ্যোগ আমাদের দেশে অনেক কিছুই থাকে, কিন্তু বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে যতসব বাধা পরিলক্ষিত হয়। গবেষক উপসংহার টেনেছেন এভাবে, ‘বাস্তবতা হচ্ছে এতো উদ্যোগের পরও গত দশ বছরে দেশে শিশুশ্রম কমেনি বরং বেড়েছে। এ সময়ে প্রায় একলাখ শিশু শ্রমিক বেড়েছে।’ [বাংলাদেশে শিশুশ্রম : সমাজতাত্ত্বিক বিশ্লেষণ, পৃষ্ঠা–২৪৬]।
মনজুর–উল–আমিন চৌধুরীর ‘বাংলাদেশে শিশুশ্রম : সমাজতাত্ত্বিক বিশ্লেষণ’ শিশুশ্রম নিয়ে একটি আকর গ্রন্থ। সমাজতাত্ত্বিক বিশ্লেষণ তিনি সুনিপুণ উপস্থাপন করেছেন যা সুখপাঠ্য। গ্রন্থটি ইতোমধ্যে পাঠকপ্রিয়তা পেয়েছে। শিশুশ্রমের গবেষণার ক্ষেত্রে এটি একটি মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হবে।
লেখক : প্রাবন্ধিক, সাংবাদিক