মঞ্চে তামিম, খেলাধুলায় চট্টগ্রামকে এগিয়ে নেওয়ার প্রত্যাশা

আজাদী প্রতিবেদন | রবিবার , ১১ মে, ২০২৫ at ৬:১৬ পূর্বাহ্ণ

আয়োজকদের পক্ষে পূর্ব ঘোষণা ছিল না। তাই চট্টগ্রামের সন্তান ও বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবালকে রাজনৈতিক সভামঞ্চে দেখে কিছুটা অবাক হন আগত দর্শকরা। তারা ‘তামিম তামিম’ চিৎকার করে উল্লাসে ফেটে পড়েন। একই সঙ্গে গুঞ্জন শুরু হয়, তামিম কী তবে রাজনীতিতে যোগ দিচ্ছেন?

গতকাল বিকালে নগরের পলোগ্রাউন্ড মাঠে অনুষ্ঠিত হয় ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের ‘তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশ’। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সভার শেষ দিকে ৫টা ৪২ মিনিটে মঞ্চে উঠেন তামিম ইকবাল। এ সময় তাঁকে স্বাগত জানান মির্জা ফখরুল। পরে নেতাদের প্রথম সারিতে বসানো হয় তাকে। সন্ধ্যা ৬টা ৩ মিনিটে বক্তব্য রাখেন তিনি। তামিম রাজনৈতিক মঞ্চে বক্তব্য রাখলেও সেখানে ছিল না রাজনীতির কথা। বক্তব্যজুড়ে ছিল খেলাধুলায় চট্টগ্রামকে কীভাবে এগিয়ে নেওয়া যায় সে প্রত্যাশা।

তামিম ইকবাল বলেন, আমি পলিটিক্যাল কেউ না। আমি একজন স্পোর্টসম্যান। আমি চট্টগ্রামের এবং একজন প্রাউড বাংলাদেশি। তিনি বলেন, একটা সময় এমন ছিল, যে সময় ক্রিকেট, ফুটবল বা অন্য যেকোনো স্পোর্টসে চট্টগ্রাম থেকে ৬ থেকে ৮ জন ন্যাশনাল টিমে প্রডিউস করত। কিন্তু লাস্ট ১০১৫ বছর ধরে দেখছি চট্টগ্রাম থেকে হার্ডলি ১ থেকে ২ জন ক্রিকেট, ফুটবল বা অন্য স্পোর্টস রিপ্রেজেন্ট করছে।

তিনি বলেন, এই আনসারটা খুঁজে বের করা দরকার, কেন চট্টগ্রামের মতো এত বড় একটা বিভাগে আমরা স্পোর্টসম্যান প্রডিউস করতে পারছি না। এটার অনেস্ট আনসার আপনাদের দিতে হবে। আপনারা যদি মনে করেন, অমুকের কারণে খেলতে পারে নাই, সেটা একটা স্পোর্টসম্যানের কথা হতে পারে না। একজন স্পোর্টসম্যানের কথা হবে, নিশ্চয়ই আমার মধ্যে কোনো দুর্বলতা ছিল। তাই আমি জাতীয় দলে যেতে পারিনি।

তিনি বলেন, আমাদের ওই বিষয়টা মেনে নিতে হবে, আমাদের কি ভুল ছিল, আমরা কোন জায়গায় ভালো করতে পারি; যেভাবে আমরা জাতীয় দলকে রিপ্রেজেন্ট করতে পারি। যেদিন ওই জিনিসগুলো আমরা বের করে নিব, ইনশাআল্লাহ দেখবেন আমরা সেই জায়গাটা আবার ফিরে পাব।

তামিম বলেন, চট্টগ্রামের স্পোর্টস নিয়ে মীর হেলাল ভাই, ইসরাফিল খসরু ভাই ও হুম্মাম কাদের ভাইয়ের সঙ্গে কথা হয়, কীভাবে চট্টগ্রামের স্পোর্টসকে আগের জায়গায় নিয়ে আসতে পারি। আমি নিশ্চিত উনারা যখন সুযোগ পাবেন, তখন উনাদের সর্বোচ্চটুকু দিয়ে চট্টগ্রামের সিগনেচার সব জায়গায় রাখার চেষ্টা করবেন, সেটা ক্রিকেট, ফুটবল, ব্যাডমিন্টনসহ যেকোনো খেলাধুলাই হোক না কেন। সেটাকে তারা প্রমোট করবে সঠিক নিয়মে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবাকিতে কোল্ড ড্রিংস খাওয়া নিয়ে দুই গ্রুপে সংঘর্ষ
পরবর্তী নিবন্ধসন্ত্রাসী ছোট সাজ্জাদের স্ত্রী তামান্না গ্রেপ্তার