সমপ্রতি মঙ্গলপৃষ্ঠ থেকে সূর্যগ্রহণের ছবি তুলে পাঠিয়েছে নাসার পারসিভ্যারেন্স রোভার। সে ছবিগুলো দিয়ে সূর্যগ্রহণের ভিডিও বানিয়েছেন নাসার এক প্রকৌশলী। পৃথিবী থেকে সূর্যগ্রহণ দেখতে যতোটা মনোমুগ্ধকর, পারসিভ্যারেন্সের ছবি থেকে বানানো ভিডিও বলছে মঙ্গল থেকে সূর্যগ্রহণ দেখতে সম্ভবত কিম্ভুত! পৃথিবী সূর্যগ্রহণ দেখার একটি বাড়তি সুবিধা হলো, পৃথিবীর চাঁদ আর সূর্য দুটোই দেখতে গোলাকার হওয়ায় সার্বিক দৃশ্যে একটি ভারসাম্য থাকে। কিন্তু মঙ্গলের দৃশ্যপট ভিন্ন। খবর বিডিনিউজের।
রেড প্ল্যানেট খ্যাত গ্রহটির চাঁদ দুটি, এর মধ্যে আকারে তুলনামূলক বড় ফোবস দেখতে অনেকটা পৃথিবীর আলুর মতো। এর ফলে উপগ্রহটি যখন মঙ্গল আর সূর্যের মাঝে চলে আসে, তখন দৃশ্যপট কাব্যিক তো নয়ই, বরং বেখাপ্পা। মঙ্গলপৃষ্ঠে ১৮ নভেম্বরের সূর্যগ্রহণের ছবি তুলে পৃথিবীতে পাঠিয়েছিল পারসিভ্যারেন্স রোভার।
সেসব ছবি এক সঙ্গে জুড়ে দিয়ে মঙ্গলের সূর্যগ্রহণের ভিডিও বানিয়েছেন নাসার জেট প্রোপালশন ল্যাবরেটরি প্রকৌশলী কেভিন গিল। মঙ্গলের দুই চাঁদের মধ্যে ফোবস ২৭ কিলোমিটার চওড়া, তুলনামূলক কাছাকাছি থেকেই গ্রহটিকে ঘিরে চক্কর দেয় উপগ্রহটি।
প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট সিনেট জানিয়েছে, দূরত্ব কম হওয়ায় ভবিষ্যতে ফোবস মঙ্গলের মাধ্যাকর্ষণের টানে ধ্বংস হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করছেন মহাকাশ বিজ্ঞানীরা। তবে, সে ধ্বংসযজ্ঞের স্বাক্ষী হওয়ার জন্য কয়েক লাখ বছর অপেক্ষা করতে হবে।
মঙ্গলের বুকে জেজেরো গিরিখাদে পানি আর প্রাচীন জৈব জীবনের খোঁজে অনুসন্ধান চালাচ্ছে পারসিভ্যারেন্স রোভার। পাশাপাশি গবেষকদের জন্য কৌতুহল উদ্দীপক মাটি-পাথরের নমুনাও সংগ্রহ করছে এটি।