ভ্রাম্যমাণ করোনা চিকিৎসাসেবা চালু করবে মা ও শিশু হাসপাতাল

হটলাইনে ফোন করলে ডাক্তার নার্স ও টেকনেশিয়ানসহ অ্যাম্বুলেন্স যাবে রোগীর বাসায়

| মঙ্গলবার , ৬ এপ্রিল, ২০২১ at ৭:০৬ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রামের মা ও শিশু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ করোনা উপসর্গের রোগীদের জন্য ভ্রাম্যমাণ চিকিৎসাসেবা কার্যক্রম চালু করতে যাচ্ছে। হট লাইনের নম্বরে ফোন করলে সাথে সাথে ডাক্তার-নার্স ও টেকনেশিয়ানসহ প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি নিয়ে অ্যাম্বুলেন্স ছুটে যাবে রোগীর বাসায়। এক্স-রে মেশিন দিয়ে পরীক্ষা করা হবে রোগীর অবস্থা। রিপোর্ট ভালো আসলে দেয়া হবে ঔষধ ও পরামর্শ। রিপোর্ট খারাপ হলে সিট খালি থাকা সাপেক্ষে রোগীকে নিয়ে এসে ভর্তি করানো হবে হাসপাতালে। সিট খালি না থাকলে অন্য হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দেবেন। ২৪ ঘণ্টাই চালু থাকবে এ সেবা কার্যক্রম। খবর বাসসের।
এ বিষয়ে মা ও শিশু হাসপাতাল পরিচালনা পরিষদের ট্রেজারার রেজাউল করিম আজাদ বলেন, ‘গতবছর করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় আমরা ১০০ শয্যার করোনা ইউনিট চালু করি। কিন্তু সমপ্রতি করোনা সংক্রমণ হার আবারও বেড়ে যাওয়ায় হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে বেড খালি নেই। তাই আমরা এবার ভ্রাম্যমাণ চিকিৎসা সেবা চালু করতে যাচ্ছি।’
এ কার্যক্রম পরিচালনায় একজন ডাক্তার, নার্স, ব্রাদার ও টেকনেশিয়ানের সমন্বয়ে একটি মেডিকেল টিম গঠন করা হবে উল্লেখ করে আজাদ জানান- ‘হট লাইনের জন্য ৪টি ফোন নম্বর দেয় হবে। ফোন পাওয়ার সাথে সাথে এই টিম অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে ছুটে যাবেন রোগীর বাসায়। অ্যাম্বুলেন্সেই সেট করা থাকবে পোর্টেবল এঙ-রে মেশিন, অঙিজেনসহ প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি। মানবিক দিক বিবেচনা করে এই সেবা চালু করা হচ্ছে। খুব সামান্য খরচেই এই সেবা দেয়া হবে।’
গত ১ এপ্রিল বৃহস্পতিবার মা ও শিশু হাসপাতাল করোনা ম্যানেজমেন্ট এবং করোনা ট্রিটমেন্ট কমিটির যৌথ সভায় এই ভ্রাম্যমাণ চিকিৎসাসেবা চালুর সিদ্ধান্ত হয়। কয়েকদিনের মধ্যেই এই সেবা চালু হওয়ার কথা রয়েছে। চিকিৎসক নিয়োগ হলেই তা চালু করা হবে, জানান রেজাউল করিম আজাদ।
চট্টগ্রাম মা ও শিশু জেনারেল হাসপাতাল করোনা ইউনিট বাস্তবায়ন কমিটির উপদেষ্টা ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ জাবেদ আবছার চৌধুরী জানান, ‘বর্তমানে হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ভেন্টিলেটর, লাইফ সাপোর্ট পর্যাপ্ত হাই ফ্লো ন্যাজল ক্যানুলা রয়েছে। কিন্তু করোনার প্রকোপ আবার বৃদ্ধি পাওয়ায় হাসপাতালে রোগীর উপচে পড়া ভিড় দেখা যাচ্ছে। তাই আমরা বিকল্প উপায়ে ভ্রাম্যমাণ চিকিৎসা সেবা দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছি। এতে করে রোগীরা হাসপাতালে দৌড়াদৌড়ি করে হয়রানি হওয়া থেকে যেমন রক্ষা পাবে, তেমনি স্বল্প খরচে ভালো মানের সেবাও পাবে।’
বর্তমানে চট্টগ্রামের মা ও শিশু হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ৯৫টি শয্যা রয়েছে। এর মধ্যে ১৬টি আইসিইউ শয্যা, ৩০টি কেবিন ও বাকিগুলো সাধারণ শয্যা। আরও ৩০টি আইসোলেশন শয্যা চালু করার কাজ চলছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধ৮ এপ্রিল থেকেই দ্বিতীয় ডোজ শুরু
পরবর্তী নিবন্ধচসিক আইসোলেশন সেন্টারে কার্যক্রম শুরু আজ