ঘূর্ণিঝড় রেমালের পর তাপমাত্রার সঙ্গে বেড়েছে ভ্যাপসা গরম; দেশের বিভিন্ন এলাকায় আরও একদিন ভুগতে হবে এমন পরিস্থিতিতে। এরপর বৃষ্টিতে মিলতে পারে স্বস্তি। গতকাল রোববার পূর্বাভাসে আবহাওয়া অধিদপ্তর বলেছে, ঢাকাসহ ১৬ জেলায় যে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে তা একদিন পর কিছু কিছু জায়গায় প্রশমিত হতে পারে। খবর বিডিনিউজের।
আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ বলেন, বর্ষা এলেও যেহেতু বৃষ্টি হচ্ছে না, তাই তাপমাত্রা বেড়েছে। বৃষ্টির সম্ভাবনা কম থাকায় আগামীকালও (সোমবার) একইরকম তাপমাত্রা থাকতে পারে। তবে পরশু (মঙ্গলবার) বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বৃষ্টি হলেই কমে আসবে তাপমাত্রা। গতকাল সকাল ৯টা থেকে পরের ৭২ ঘণ্টার পূর্বাভাসে আবহাওয়া অধিদপ্তর বলেছে, ঢাকা, টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, মাদারীপুর, রাজশাহী, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, রংপুর, মৌলভীবাজার, চাঁদপুর, নোয়াখালী, বাগেরহাট, যশোর, বরিশাল, পটুয়াখালী ও ভোলা জেলার ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা কিছু কিছু জায়গা হতে কমতে পারে। এই সময়ে সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
অপরদিকে রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গা, ঢাকা, রাজশাহী ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে ভারি বর্ষণ হতে পারে।
চলতি মাসের দীর্ঘমেয়াদী পূর্বাভাসের বিষয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আজিজুর রহমান বলেন, চলতি সপ্তাহের প্রথমার্থে সারা দেশে দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমী বায়ু (বর্ষাকাল) বিস্তার লাভ করবে। এ মাসে এক–দুটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। জুন মাসে দেশে চার থেকে ছয় দিন হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বজ্রঝড় হতে পারে। এক–দুটি বিচ্ছিন্নভাবে মৃদু (সর্বোচ্চ ৩৬–৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস) থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ (সর্বোচ্চ ৩৮–৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস) বয়ে যেতে পারে।”
দীর্ঘমেয়াদী পূর্বাভাসে অধিদপ্তর জানায়, জুন মাসে ভারি বর্ষণের কারণে উত্তরাঞ্চল, উত্তর–পূর্বাঞ্চল ও দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলের কিছু স্থানে স্বল্পমেয়াদী বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে।