সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, আওয়ামী লীগের চরিত্র হচ্ছে দলের প্রয়োজনে নিজের পরিবারের লোকজনেরও ক্ষতি করতে চিন্তা করে না। এদের কাছে ভাইবোন, মামা–ভাগিনা, আত্মীয়স্বজনের চেয়ে দলীয় স্বার্থ বড়। দলীয় কারণে নিজের সন্তানকেও হত্যা করতে তাদের বিবেকে বাঁধে না। তার নিকৃষ্ট উদাহরণ বাকলিয়া ওয়ার্ড কাউন্সিলর মিয়া। তিনি তার আত্মীয়স্বজন যারা বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত সবাইকে মামলা দিয়ে নানা হয়রানি করেছেন। আজ তিনি কোথায়?
গত ২১ ডিসেম্বর ১৯ নং দক্ষিণ বাকলিয়া ওয়ার্ড বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। দক্ষিণ বাকলিয়ার নয়া মসজিদ এলাকায় আয়োজিত সভা দক্ষিণ বাকলিয়া ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব চৌধুরী নাজিম ও বাকলিয়া থানা বিএনপি নেতা মঈনুদ্দিন পারভেজ সঞ্চলনা করেন। এতে সভাপতিত্ব করেন দক্ষিণ বাকলিয়া ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি হাজি নবাব খান।
শাহাদাত হোসেন বলেন, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ৪১ ওয়ার্ডে যারা ভোট ডাকাতি করে কাউন্সিলর হয়েছিলেন সবাই এখন লেজ গুটিয়ে পালিয়ে গেছেন। কারণ তারা প্রত্যেকেই তাদের নিজ নিজ জায়গা থেকেই অন্যায়, অত্যাচার করেছেন। তাদের শেষ রক্ষা হয়নি। তাদের নেত্রী পালিয়ে যাওয়ার তিন দিন আগে বলেছিলেন শেখ হাসিনা পালিয়ে যায় না। শেখের বেটি পালায় না। তিনি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের দেশে রেখে পরিবারের লোকজন নিয়ে নিরাপদে পালিয়ে গেছেন। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের সময়ে চরম দুর্নীতি হয়েছে। বহদ্দারহাট ফ্লাইওভারের গার্ডার ভেঙে মার্ডার হয়েছে। সবকিছুতে তারা দুর্নীতি করেছে। তাদের আমলে মানুষ টুপি পরে চলতে পারেননি, নামাজ পড়তে যেতে পারেনি। নিরীহ লোকজনকে জঙ্গি বানিয়ে গ্রেপ্তার করে জুলুম নির্যাতন করা হয়েছে।
মেয়র বলেন, স্বৈরাচারী সরকারের আমলে চসিক কাউন্সিলররা নানা মেগা প্রকল্পের নামে মেগা দুর্নীতি করেছে। ভুয়া প্রকল্পের নামে লুটপাট চালিয়েছে। যে কারণে খাল–নালা ভরাট হয়ে আছে। মানুষ চলতে ফিরতে কষ্ট পাচ্ছে। তারা উন্নয়নের নামে লুটপাট করেছে, দুর্নীতি চালিয়েছে। তারা ক্ষমতায় এসে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে। থানা পুলিশকে দলীয় কর্মীর মতো ব্যবহার করে বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর দমন–পীড়ন চালায়। যার কারণে এ স্বৈরশাসকের করুণ পতন হয়েছে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন নগর বিএনপির সদস্য গাজি মো সিরাজ উল্লাহ, নগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ইয়াছিন চৌধুরী আশু ও নগর যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এমদাদুল হক বাদশা।
উপস্থিত ছিলেন ইসমাইল বাবুল, আবদুল্লাহ সগীর, মো. আলমগীর, এসএম সেলিম, নুরুল আলম কালু, হাজি ইউনুস, হাজি ইলিয়াস, মামুনুর রশিদ, মো. নুরুল আলম, নাছির উদ্দীন চৌধুরী, জিয়াউল হক মিন্টু, মো. শফিকুল ইসলাম, মো. নিজাম উদ্দিন, মো. জব্বার, ইসমাইল হোসেন লেদু, মো. মুছা, নুর হোছেন নুরু, জসিম উদ্দিন, রিদওয়ানুল হক রিদু, ইয়াকুব খান, শামিম, আবদুল বারেক, আহমদ, সালাহউদ্দিন বাছু, মো. ওমর ফারুক, মো. জাকির হোসেন, মো. মানিক, বেলাল, সুমন, এম লিমন, জনি, নাঈম, আইয়ুব খান, আসিফ খান শাফিন, ইউনুস, রাশেদ, মাস্টার ইউসুফ, রেজিয়া বেগম মুন্নি, শামিমা নাছরিন, রেনুকা বেগম, সকিনা, মো. আলমগীর, সোহাগ, আনিস ও হৃদয় খান।