ঢাকার দোহারে দুই রোহিঙ্গা যুবকসহ স্থানীয় এক নারীকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে উপজেলা নির্বাচন অফিস। এরপর মামলার পর তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়েছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে ঢাকার দোহারে ভোটার হতে এসে ধরা পড়েন তাঁরা।
গ্রেপ্তারকৃত দুই রোহিঙ্গা হলেন- কক্সবাজারের ঠেংখালী ক্যাম্প-১২ তে বসবাসরত হাবীবুল্লাহর ছেলে মো. সাঈদ (২৯) এবং টেকনাফ জাদিমুড়ায় বসবাসরত আবুল কাশেমের ছেলে মো. আমির। গ্রেপ্তার অপরজনের নাম খাইরুন নাহার (৩৮)। তিনি ঢাকার দোহার উপজেলার মালিকান্দা গ্রামের মাসুম হাওলাদারের স্ত্রী।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সাঈদ ২০১৫ সালে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশ হয়ে ভারত প্রবেশ করেন। তারপর ভারত থেকে তিনি সৌদি আরব প্রবেশ করেন। ২০১৯ সালে আবার তিনি বাংলাদেশে আসেন। অন্যদিকে আমির চার মাস আগে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে আসেন।
জানা যায়, ভোটার হওয়ার জন্য তাঁরা দোহারের নারিশা ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের মো. আলমগীর হোসেনের সাক্ষরিত নাগরিক সনদ, বিদুৎ বিলসহ প্রয়োজনীয় সব কাগজ নিয়ে বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টার দিকে দোহার উপজেলা নির্বাচন অফিসে আসেন।
সেখানে নির্বাচন অফিসের কর্মকর্তারা কাগজপত্র চ্যালেঞ্জ করলে ধরা পড়েন তাঁরা। তখন স্থানীয় ওই খাইরুন নাহার তাদের সঙ্গে ছিলেন। আটক তিনজনকে সন্ধ্যায় থানায় সোপর্দ করে উপজেলা নির্বাচন অফিস।
এ বিষয়ে আটক দুই যুবক সাঈদ ও আমির জানান, তারা মূলত ভোটার আইডিকার্ড করতে দোহারের চর লটাখোলা এলাকার মো. রাজিব নামে এক যুবকের মাধ্যমে এখানে আসেন তারা। তবে সেই রাজিব চতুর হওয়ায় তিনি মালিকান্দা এলাকার খাইরুন নাহার নামে এক নারীর মাধ্যমে ভোটার হওয়ার জন্য দোহার উপজেলা নির্বাচন অফিসে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দিয়ে পাঠান। তবে নির্বাচন অফিসের কর্মকর্তারা বিষয়টি বুঝতে পেরে নির্বাচন অফিসার মো. তাসিনুর রহমানকে বিষয়টি অবগত করেন।
নির্বাচন অফিসার মোঃ তাসিনুর রহমান বলেন, ‘আমাদের সব অফিসের স্টাফ দায়িত্বশীল। ফলে আমরা দুজন রোহিঙ্গাকে শনাক্ত করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছি।’
আটকের বিষয়টি নিশ্চিত দোহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম বলেন, ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সত্যতা মিলেছে। এ ঘটনায় দোহার নির্বাচন অফিসের অফিস সহকারী মো. আয়ূব হোসেন বাদী হয়ে চারজনকে আসামি করে একটি মামলা করেছেন। যার মধ্যে তিনজন গ্রেপ্তার ও রাজিব নামে একজন পলাতক রয়েছেন। ঘটনাটি গুরুত্বের সাথে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’