চট্টগ্রামে বন্দরে বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানিকৃত ভোগ্যপণ্য ও পোশাক শিল্পের কাঁচামাল দ্রুত খালাসের ব্যবস্থা নিতে চেম্বার সভাপতি মাহাবুবুল আলমকে চিঠি দিয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ।
গতকাল চট্টগ্রাম বন্দরের টার্মিনাল ম্যানেজার স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বলা হয়, চট্টগ্রাম বন্দরে ২৪ ঘন্টা কন্টেনার ও কার্গো খালাস কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এ বন্দরের মাধ্যমে বাংলাদেশে আমদানি পণ্যের প্রায় ৯০ শতাংশ খালাস হয়ে থাকে। পবিত্র রমজান মাস ও পরবর্তী সময়ে স্বাভাবিকের চেয়ে পণ্যের চাহিদা ব্যাপক বেড়ে যায়। তবে যে পরিমাণ কন্টেনারবাহী পণ্য আমদানি হয়, সে অনুযায়ী পণ্য খালাস না হওয়ায় বন্দরে কন্টেনার জট সৃষ্টি হয়। গতকাল ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত চট্টগ্রাম বন্দরে প্রায় ৩৬ হাজার ১৪০ টিইইউএস এফসিএল কন্টেনার পড়ে আছে। দেশের সাপ্লাই চেইন নিরবচ্ছিন্ন রাখা ও সর্বোপরি বন্দরে আসা কন্টেনারবাহী জাহাজ থেকে কন্টেনার লোডিং-আনলোডিং কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে পণ্য ডেলিভারি দ্রুত করা প্রয়োজন। এছাড়া এফসিএল কন্টেনার ও এলসিএল কার্গো চারদিন ফ্রি টাইমের মধ্যে ও সপ্তাহের অন্যান্য দিনের মতো শুক্র, শনি, রোববারসহ সরকারি ছুটির দিনগুলোতেও খালাস নেয়ার জন্য আমদানিকারকদের নির্দেশনা দেয়া প্রয়োজন।
চিঠিতে আরো বলা হয়, চট্টগ্রাম বন্দরের অপারেশনাল কার্যক্রম সুষ্ঠু ও গতিশীল রাখা এবং বাজার স্থিতিশীল রাখার স্বার্থে বন্দর থেকে দ্রুত পণ্য খালাস নিলে বন্দরের কন্টেনার জট লাঘব হয়। একই সাথে জাহাজের টার্ন অ্যারাউন্ড টাইমও স্বাভাবিক থাকবে।