নগরীতে মধ্যরাতে সাবেক এক কাউন্সিলরের বাসায় ঢুকে তার ভাইকে ওয়ারেন্টের আসামি হিসেবে নিয়ে আসে পুলিশ। পরে যাচাই করে দেখা যায়, তিনি প্রকৃত আসামি নন এবং তার নামে কোনো ওয়ারেন্ট নেই। গত সোমবার নগরীর আগ্রাবাদ এলাকায় সিটি কর্পোরেশনের সাবেক কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগ নেতা জাবেদ নজরুল ইসলামের বাসায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন আজাদীকে বলেন, আসামির নাম, পিতার নাম, বয়স, এমনকি ঠিকানাও মিল ছিল বলেই অভিযান চালানো হয়েছে। পরে আদালতে যাচাই করে দেখা গেছে, সবকিছু মিল থাকলেও আসামির মায়ের নামের সাথে মিল নেই। এনআইডি কার্ডের নম্বরেও ভুল আছে। তখন আমরা তাকে ছেড়ে দিই। বিষয়টা সামান্য ‘ভুল বুঝাবুঝি’ ছাড়া কিছু নয়।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, সোমবার মধ্যরাতে পুলিশের একটি দল সাবেক কাউন্সিলর জাবেদ নজরুল ইসলামের বাসার গেটে এসে আঘাত করতে থাকে। তার বা পরিবারের কারো বিরুদ্ধে কোনো মামলা না থাকায় জাবেদ নজরুল পুলিশের কাছে বিষয়টি জানতে চান। পুলিশের এসআই কিশোর জানান, তার ভাই সাইদুলের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট আছে। কিন্তু ওই ধরনের কোনো ওয়ারেন্ট তার বিরুদ্ধে নেই জানালেও তারা বাড়তি পুলিশ নিয়ে এসে দেয়াল টপকে বাড়িতে ঢুকে দরজা খুলতে বাধ্য করে। জাবেদ নজরুল বলেন, বাসায় ঢুকে মারতে মারতে তারা আমার ভাইকে থানায় নিয়ে যায়। ১২ ঘণ্টার মতো লকআপে বন্দি রাখে। আবার তাকে ছেড়ে দেয়।
এ প্রসঙ্গে ওসি মহসীন বলেন, এনআই অ্যাক্টের একটি মামলায় সাইদুল ইসলাম পিতা নুরুল ইসলামের ঠিকানাও একই থাকায় সাবেক কাউন্সিলরের বাসায় পুলিশের একটি টিম যায় আসামি গ্রেপ্তারে। সাইদুলের নামে ওয়ারেন্ট আছে জানিয়ে তাকে থানায় নিয়ে আসি। থানায় আনার পর তিনি দাবি করেন, তার নামে কোনো ওয়ারেন্ট নেই। বিষয়টি কোর্ট থেকে নিশ্চিত হতে সকাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয় আমাদের। এরই মধ্যে আমরা আদালতের নথিপত্র দেখে নিশ্চিত হই, নাম ও পিতার নাম মিল থাকলেও মায়ের নামে মিল নেই। পরে আমাদের ভুলটি বুঝতে পারায় থানা থেকে ছেড়ে দিই।