পাকিস্তান পিপলস পার্টির সভাপতি জুলফিকার আলী ভুট্টো ১৯৭১ সালের ২১ মার্চ ঢাকায় আসেন। পাশাপাশি চলতে থাকে গণহত্যা শুরুর প্রস্তুতি। আগের দিন প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানের সঙ্গে বৈঠক করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহমদ, খন্দকার মোশতাক আহমদ, মনসুর আলী, কামরুজ্জামান এবং ড. কামাল হোসেন। এরপর সংকট সমাধানে ২১ মার্চ এক ডজন উপদেষ্টা নিয়ে ঢাকায় আসেন জুলফিকার আলী ভুট্টো।
হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ভুট্টোর প্রবেশের সময় বাইরে বিক্ষোভ দেখায় জনতা। সন্ধ্যায় প্রেসিডেন্ট ভবনে ইয়াহিয়া খানের সঙ্গে তিনি আলোচনায় বসেন। আলোচনা শেষে বলেন, ‘সব কিছু ঠিক হয়ে যাবে।’
আলোচনার অগ্রগতি না হওয়ায় ২৩ মার্চ ‘প্রতিরোধ দিবস’ পালনের ঘোষণা দেয় ‘স্বাধীন বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ’। জনতার বিক্ষোভের মধ্যে প্রতিদিন ৬ থেকে ১৭টি পর্যন্ত বোয়িং উড়োজাহাজে সৈন্য আর রসদ আনা হচ্ছিল ঢাকায়। আর জাহাজে করে গোলাবারুদ নেয়া হচ্ছিল চট্টগ্রাম বন্দরে। মুক্তিকামী জনতার প্রস্তুতিও চলতে থাকে একই সঙ্গে। বঙ্গবন্ধু এক বিবৃতিতে উল্লেখ করেন, ২৩ মার্চ ‘লাহোর দিবস’ উপলক্ষে সারা বাংলায় সরকারি ছুটি থাকবে।