ভুট্টায় ভাগ্য বদলের সম্ভাবনা

মীরসরাই প্রতিনিধি | রবিবার , ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ at ৭:৩৩ পূর্বাহ্ণ

ভুট্টার চাষ ও ব্যবসা করে প্রতিবছর লাখ লাখ টাকা আয় করছেন দেশের বিভিন্ন জেলার মানুষ। এটি চাষ ও বিক্রিতে তেমন কোনো কষ্ট নেই বললেই চলে। ফসল উঠা মাত্রই খুব সহজে কৃষকরা তা বিক্রয়ও করছেন। মীরসরাইয়ে অধিকাংশ মানুষের জীবিকা নির্বাহের প্রধান অবলম্বন কৃষি। তার মধ্যে অন্যতম রবিশস্য ভুট্টা, যা সম্প্রতি এ অঞ্চলের ব্র্যান্ডিং পণ্য বলে পরিচিতি পেয়েছে। ফলে বলা যায় অধিক ভুট্টা চাষ বদলে দিতে পারে এ অঞ্চলের মানুষের জীবন ও জীবিকা। মীরসরাই উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, এখানে চলতি বছরে ৫০ হেক্টরের মতো জমিতে ভুট্টা আবাদ হয়েছে। বিশেষ করে করেরহাট, হিঙ্গুলী, জোরারগঞ্জ, খৈয়াছরা, ওয়াহেদপুর, দুর্গাপুর, মায়ানীসহ বিভিন্ন ইউনিয়নে ভুট্টা চাষে এগিয়ে আসছে চাষিরা। তালবাড়িয়া গ্রামের ভুট্টা চাষি তাজুল ইসলাম ( ৫৫) বলেন, এক কানি জমিতে ভুট্টা চাষ করে খরচ হয়েছে প্রায় ৩০ হাজার টাকা। আশা করছি সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে এক লাখ টাকার ভুট্টা বিক্রি করতে পারব।
করেরহাটের কয়লা গ্রামের ভুট্টাচাষি আকাশ ত্রিপুরা বলেন, আগে একটি জমিতে শুধু নিজেদের জন্য চাষ করতাম। এবার কয়েকটা জমিতে করেছি। আশা করছি ঘরের প্রয়োজন সেরে বাড়তি কিছু আয় হবে। বাজারে ভুট্টার অনেক চাহিদা রয়েছে। আগামী বছর আরো কয়েকটা জমিতে চাষ করব।
মীরসরাই উপজেলার কয়েকটি আন্তর্জাতিক মানের হ্যাচারি ও ফিডমিলেই দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে এমনকি বিদেশ থেকে হাজার হাজার টন ভুট্টা আমদানি করতে হয়। তাই এখন অনেক চাষি ভুট্টা চাষে উদ্বুদ্ধ হচ্ছে। এতে এসব কারখানা এলাকা থেকেই ভুট্টা সংগ্রহ করতে পারবে। মীরসরাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কাজী নুরুল আলম বলেন, এবার এই উপজেলায় প্রায় ২৫ টন ভুট্টা উৎপাদন হয়েছে। চাহিদার তুলনায় যা খুবই কম। তিনি বলেন, ভুট্টা চাষে শুধু সেচ দিতে হয় কয়েকবার। বর্তমানে মহামায়া, বাওয়াছরা প্রকল্প ও ফেনী নদীর তীরে পতিত জমিগুলোতে হাজার হাজার একর জমিতে ভুট্টা চাষ সম্ভব। কৃষকরা উদ্যোগী হলে কৃষি বিভাগ সকল সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবন্দরটিলায় আগুনে পুড়ল ১৪ দোকান
পরবর্তী নিবন্ধতৈরি পোশাক খাতের উন্নয়নে যৌথভাবে কাজ করবে বিজিএমইএ-সিএন্ডএফ