ভুটানে উচ্চতাকে বড় সমস্যা মনে করছে বাংলাদেশ দল

ক্রীড়া প্রতিবেদক | মঙ্গলবার , ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ at ৭:০৬ পূর্বাহ্ণ

সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ভুটানের উচ্চতা নিয়ে সমস্যার কথা দেশে থাকতেও বলেছিলেন কোচ এবং খেলোয়াড়রা। দেশটিতে পৌঁছানোর পর এখনও সেখানকার কন্ডিশনের সঙ্গে পুরোপুরি মানিয়ে নিতে পারেনি দল। অধিনায়ক জামাল ভুঁইয়া ও ডিফেন্ডার রহমত মিয়া বললেন, শ্বাস নিতে একটু কষ্ট হচ্ছে তাদের। সফরে ভুটানের বিপক্ষে আগামী বৃহস্পতিবার ও রোববার দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। গত শুক্রবার দেশটিতে পৌঁছানোর পর এ নিয়ে তিন দিন প্রস্তুতি নিয়েছে দল। উচ্চতার সঙ্গে মানিয়ে নিতে প্রথম দিন হাইকিংও করেন জামালমিতুলরা। কিন্তু এখনও কন্ডিশনের সঙ্গে ঠিকঠাক মানিয়ে নিতে পারেনি তারা। অধিনায়ক জামালকে ভাবাচ্ছে প্রায় তিন মাস পর তাদের আন্তর্জাতিক ফুটবলে ফেরাটাও। কেননা মাঝের বিরতিতে ফিটনেস স্বাভাবিকভাবেই শতভাগ ধরে রাখা যায়নি। অন্যদিকে মৌসুম চলমান থাকায় খেলার মধ্যেই ছিলেন ভুটানের খেলোয়াড়েরা। আমরা জানি, ভুটানে মৌসুমের মধ্যবর্তী সময় চলছে। ওদের খেলোয়াড়রা সবাই ফিট আছে। কিভাবে রক্ষণ সামলাতে হবে, কিভাবে আক্রমণ করতে হবে, সেটা নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি। আমরা জানি, এটা ভুটানের হোম গ্রাউন্ড। আমাদের একটু বেশি সতর্ক থাকতে হবে। গতকাল যে টার্ফে খেলা হবে সেখানে প্রথম অনুশীলন করেছে বাংলাদেশ দল। মাঠ অনেক গতিময়। সবার শ্বাস নিতে একটু সমস্যা হচ্ছে। আরও একদুই দিন সময় লাগবে। আমি মনে করি, সবাই বেস্ট শেইপে নেই। আস্তে আস্তে সবাই সেরা পর্যায়ে আসছে। সোহেল রানাও জানালেন, শ্বাস নিয়ে সমস্যায় ভুগছেন তারা। যে টার্ফে খেলা, সেই চ্যাংমিলিথাং স্টেডিয়ামের প্রথম অনুশীলন করার পর এই মিডফিল্ডারও শোনালেন ভালো ফলের আশাবাদ। অবশ্যই ম্যাচগুলো জয়ের চেষ্টা করব। র‌্যাঙ্কিংয়ে যদি আমরা ভালো অবস্থানে থাকতে চাই, তাহলে জিততে হবে। অবশ্যই জয়ের জন্য মাঠে নামব। যে মাঠে খেলব, সেখানে প্রথমবার আমরা অনুশীলন করেছি। আমাদের শ্বাস নিতে একটু কষ্ট হচ্ছে। তবে আমরা এখনও দুই দিন সময় পাব এই কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার জন্য। দলের বর্তমান যে অবস্থা সেটা উন্নতি করতে হবে। লম্বা সময় আমরা খেলার বাইরে ছিলাম। তবে দল দিন দিন উন্নতি করছে। কিভাবে ম্যাচ খেলব, কোচ সেভাবেই কাজ করাচ্ছে। যদি আমরা কোচের পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলতে পারি তাহলে আমরা ভালো ফল করতে পারব। মাঝের দুই দিনে ভুটানের প্রতিকূল কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে দুই ম্যাচেই জয়ের লক্ষ্য পূরণের প্রশ্নে আশাবাদী ডিফেন্ডার রহমত মিয়াও। তবে লম্বা সময় পর প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ খেলতে নামা কিছুটা হলেও ভাবাচ্ছে তাকে। তিনি বলেন অবশ্যই আমাদের লক্ষ্য ৬ পয়েন্ট। দেশে থাকতেই আমরা বলে এসেছি যে, ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ের জন্য এই দুইটি ম্যাচ আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আপনারা জানেন সামনে যে এশিয়ান কাপ আছে সেখানে পট৩ তে থাকা গুরুত্বপূর্ণ। এ কারণে এই ৬ পয়েন্ট আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এবং সেটা নিয়েই দেশে ফিরতে চাই। তিন মাস বিরতি দিয়ে আমরা জাতীয় দলে যোগ দিয়েছি।

যেহেতু সবার ফিটনেস আপ টু দ্য মার্ক নয়। সবাই চেষ্টা করছি এখানকার আবহাওয়া ও কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে। যেহেতু আর্টিফিশিয়াল টার্ফে খেলা। স্বভাবতই আমরা ঘাসের মাঠে খেলে অভ্যস্ত। ফলে মানিয়ে নিতে আমাদের একটু সমস্যা হচ্ছে। তবে এই টার্ফের সাথে মানিয়ে নিয়ে কিভাবে আমরা ভালো করতে পারি, কোচিং স্টাফরা সেটা নিয়ে কাজ করছেন। আশা করছি, আমাদের হাতে যে দুইটা দিন আছে, সেটা আমাদের মানিয়ে নিতে সাহায্য করবে এবং ইনশাল্লাহ আমরা ভালো করতে পারব।

পূর্ববর্তী নিবন্ধনারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ভারত এবং পাকিস্তান
পরবর্তী নিবন্ধ১৫২ কিলোমিটার গতিতে বল করে নাহিদের রেকর্ড