ভিডিও দেখে পাঁচজন আটক, মামলা হয়নি

মুক্তিযোদ্ধাকে লাঞ্ছনা

| বুধবার , ২৫ ডিসেম্বর, ২০২৪ at ৭:০৫ পূর্বাহ্ণ

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলায় বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই কানুকে জুতার মালা পরিয়ে লাঞ্ছনার ঘটনায় ভাইরাল হওয়া ভিডিও দেখে পাঁচজনকে আটক করেছে পুলিশ। গত সোমবার রাতে অভিযান চালিয়ে উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে তাদের আটক করা হয় বলে চৌদ্দগ্রাম থানার ওসি এ টি এম আক্তার উজ জামান জানান। খবর বিডিনিউজের। আটক ব্যক্তিরা হলেনউপজেলা বাতিসা ইউনিয়নের কুলিয়ারা গ্রামের আবদুল হক মজুমদারের ছেলে ইসমাইল হোসেন মজুমদার (৪৩), একই এলাকার মৃত সুলতান আহমেদ মজুমদারের ছেলে জামাল উদ্দিন মজুমদার (৫৮), মৃত এছাক ভূঁইয়ার ছেলে ইলিয়াছ ভূঁইয়া (৫৮), স্থানীয় মসজিদের ইমাম আবুল কালাম আজাদ (৪৮) এবং চাঁদপুর সদরের মইশাদী গ্রামের মো. জাকির হোসেনের ছেলে ইমতিয়াজ আবদুল্লাহ সাজ্জাদ (১৯)

রোববার আবদুল হাই কানুর গলায় জুতার মালা পরিয়ে তাকে সারা গ্রাম ঘুরিয়ে লাঞ্ছিত করে একদল লোক। তারা ওই ঘটনার ভিডিও ধারণ করে। সন্ধ্যার পর ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া হয়। এক মিনিট ৪৭ সেকেন্ডের সেই ভিডিওতে দেখা যায়, দুই ব্যক্তি জুতার মালা পরা অবস্থায় কানুকে টানাহেঁচড়া করছেন। এ সময় কানু বারবার তাকে ছেড়ে দেওয়ার আকুতি জানাচ্ছিলেন।

কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আবদুল হাই কানু সংগঠনের কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা কমিটির সাবেক সহসভাপতি। তিনি ঘটনাস্থলের পাশের লুদিয়ারা গ্রামের বাসিন্দা। এ ঘটনার জন্য মুক্তিযোদ্ধা কানুর পরিবার স্থানীয় জামায়াতে ইসলামীর সদস্যদের দায়ী করলেও দলটি নিজেদের সম্পৃক্ততার কথা অস্বীকার করে। অবশ্য সোমবার দলটি তাদের দুই সমর্থককে বহিষ্কার করার কথা জানায়। যাদের আটক করা হয়েছে তাদের মধ্যে জামায়াত থেতে বহিষ্কৃত দুই সমর্থক আবুল হাশেম ও অহিদুর রহমান নেই। তবে আটক ইমতিয়াজ আবদুল্লাহ সাজ্জাদ বহিষ্কৃত জামায়াত সমর্থক আবুল হাশেমের ভাগনে।

চৌদ্দগ্রাম থানার ওসি আক্তার উজ জামান বলেন, ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর প্রধান দুই অভিযুক্ত আত্মগোপনে চলে যান। যার কারণে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের নির্দেশ মোতাবেক ভিডিও দেখে পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। তাদের ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

ওসি দাবি করেন, ঘটনার পর আমরা তাৎক্ষণিক ভিডিও ফুটেজ দেখে মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাইয়ের বাড়িতে গিয়েছিলাম। কিন্তু তিনি বাড়িতে না থাকায় তার সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি। পরে জানতে পারি, তিনি নিরাপদ স্থানে চলে গেছেন। আমি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই কানুর সঙ্গে যোগাযোগ করে অপ্রীতিকর ঘটনার সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি কিছু বলতে রাজি হননি। এ ছাড়া ঘটনায় জড়িতদের সম্পর্কে কোনো তথ্য প্রকাশ করেননি মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই কানু। তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধা আজকে মামলা দায়ের করবেন বলে জানিয়েছেন। তিনি মামলা করলে আটকদের ওই মামলা গ্রেপ্তার দেখানো হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধঅতিরিক্ত টিউশন ফি বন্ধে তদারকির নির্দেশনা
পরবর্তী নিবন্ধরোহিঙ্গা শিবিরে আগুনে পুড়ল সাড়ে চারশ বসতি, শিশুসহ নিহত ২