ভিজিট ভিসায় আমিরাতগামীদের হয়রানি নয়

| সোমবার , ১৮ এপ্রিল, ২০২২ at ৫:২৫ পূর্বাহ্ণ

ভিজিট ভিসায় সংযুক্ত আরব আমিরাতগামীরা ঢাকার বিমানবন্দরে যাতে কোনো ধরনের হয়রানির শিকার না হন, তা নিশ্চিত করতে বলেছে সংসদীয় কমিটি। গতকাল রোববার সংসদ ভবনে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। সংসদীয় কমিটি প্রবাসী কর্মীদের সহজে ই-পাসপোর্ট প্রাপ্তি নিশ্চিত করতেও তাগিদ দিয়েছে। খবর বিডিনিউজের।
ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ভিজিট ভিসায় আরব আমিরাতগামী যাত্রীদের ইমিগ্রেশনে হয়রানি করা হয়-এমন খবর গণমাধ্যমে প্রকাশ হয়েছে। দুই বছর আগে এ নিয়ে একটি সংবাদ সম্মেলন করে হয়রানির বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা।
বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি আনিসুল ইসলাম মাহমুদ সাংবাদিকদের বলেন, ভিজিট ভিসায় আরব আমিরাতে যারা যাচ্ছেন, তাদের নানা হয়রানির কথা গণমাধ্যমে আসছে। আমরা মন্ত্রণালয়েকে বলেছি এই হয়রানি যাতে না হয় তা নিশ্চিত করতে হবে। যাদের ভিজিট ভিসা আছে, তাদের যদি ভিসা বৈধ হয়, সরকারের পক্ষ থেকে যদি তাদের বিষয়ে কোনো আপত্তি না থাকে, তবে তাদের আটকাবে কেন? বৈধ পাসপোর্ট, ভিসা থাকার পরেও কাউকে আটকাবে কেন? এটা বন্ধ করতে হবে। বৈঠকে প্রবাসী কর্মীদের ই-পাসপোর্ট প্রাপ্তি সহজ করার বিষয়ে আলোচনা হয়। ই-পাসপোর্টের বিদ্যমান সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়।
এ বিষয়ে কমিটির সভাপতি বলেন, বিদ্যমান পাসপোর্টে অনেক সময় নাম, ঠিকানা ভুল থাকে। ই-পাসপোর্ট নেওয়ার সময় সেটা ঠিক করতে অনেক ভোগান্তি হয়। এখানে-ওখানে যেতে হয়। এনআইডিতে যদি ত্রুটি থাকে সেটা ঠিক করতে অনেক ঝামেলা পোহাতে হয়। আমাদের প্রবাসী কর্মীরা অনেকে যে খুব শিক্ষিত এমন নয়। তাদের কিছু ভুল হয়ে যায়। ই-পাসপোর্ট করার সময় তারা ঝামেলায় পড়ে। পাসপোর্ট দিতে সময় নিচ্ছে। আঙুলের ছাপ নিতে সময় পায় দেরিতে। আমরা এই প্রক্রিয়াটা সহজ করতে বলেছি।
বৈঠকে প্রবাসী কর্মীদের জন্য বীমা ব্যবস্থা চালু করারও সুপারিশ করা হয়। কমিটির সভাপতি বলেন, তাদের যদি লাইফ ইন্সুরেন্স করা থাকে, তাহলেতো মারা যাওয়ার পর টাকা পাবে। যদি দুর্ঘটনায় পড়ে, তাহলে সুবিধা পাবে। এমন বিষয় রাখার জন্য আমরা মন্ত্রণালয়কে পরীক্ষা করতে বলেছি। তারা দেখবে। আমাদের জানাবে। প্রবাসী কর্মীদের জীবন আর সুরক্ষিত করতে হবে।
প্রবাসগামী কর্মীদের বিদেশ যাত্রার খরচ কমাতে বিমান-ভাড়া কমানোর লক্ষ্যে বাংলাদেশ বিমানের সাথে নিয়মিত আলোচনা অব্যাহত রাখার সুপারিশ করা হয় বৈঠকে। এ বিষয়ে কমিটির সভাপতি বলেন, আমরা আগেরও বলেছিলাম, প্রবাসী কর্মীদের ১০ শতাংশ ছাড় দিতে হবে। বিমান পাঁচ হাজার টাকা কমাবে বলেছে। আমরা এটা নিয়ে বলেছি, যাদের স্মার্ট কার্ড আছে তাদের যেন ১০ শতাংশ দেওয়া হয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবিএনপি নেতাকর্মীদের আসামি করে এলাকাছাড়া করেছে সরকার
পরবর্তী নিবন্ধহাটহাজারী সমিতি ঢাকার বার্ষিক সাধারণ সভা