ভালোবাসা, এই শব্দটা সুন্দর মার্জিত গভীর একটা শব্দ। এর অর্থ একেকজনের কাছে একেক রকম। ভালোবাসা কি শুধু একজনের প্রতি হয়? ভালোতো অনেককে বাসা যায়। তবে এর একটা নির্দিষ্ট দিন থাকবে কেন? এই দিনটিতে শুধু প্রিয়জনকে ফুল দিতে হবে কেন? ওই দিনটিতে কেন কথা বলতে হবে, দেখা করতে হবে। আর অন্য দিনগুলো কী দোষ করেছে। সৃষ্টিকর্তা তো প্রত্যেকটা দিনই ভালোবাসার জন্য সৃষ্টি করেছেন। যেমন মা সন্তানকে, বোন ভাইকে, বাবা মাকে, আত্মীয় আত্মীয় কে, এমনকি কোনো ব্যক্তি অসুস্থ বা বিপদে পড়লে প্রিয়জন কেন, মনুষত্ববোধ যার মধ্যে আছে তারা সবাই সেই ব্যক্তিকে সাহায্য করে, তবে কি তাকে ভালোবেসে নয়? শুধু তাই নয়, সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টি পশু পাখি নদী নালা সুন্দর প্রকৃতি সবকিছুই আমরা ভালোবাসি। যদি আমরা সত্যিকারের মানুষ হই তবেই আমরা ভালোবাসতে পারি। কোন ব্যক্তি মানুষের মতো দেখতে হলেই সে মানুষ হয় না যদি না সে ভালোবাসতে জানে। সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব মানুষ, মানুষ কর্ম না করে থাকতে পারে না, তাই তার কর্মের সাথে জড়িত সকল কিছু ভালোবাসতে বাধ্য।
তবে কেন ভালোবাসা শুধু একজন নারী বা পুরুষের মধ্যে আবদ্ধ থাকবে? একজন নারী বা পুরুষের মধ্যে শুধু প্রেম হতে পারে, আর সেটা ক্ষণিকের দীর্ঘস্থায়ী নয়। কারণ এই সম্পর্কের মধ্যে শুধু চাওয়া পাওয়া থাকে, প্রেম চাইবেই। প্রেমের জন্ম পাওয়ার জন্য। তবে প্রেম থেকে ভালোবাসাও হয়, যাকে ভালোবাসবে, তাকে না পেলেও ক্ষতি নেই, সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন হবে জেনেও একজন আরেকজনকে ভালোবেসেই যাবে। সে মানুষটি হাজার ভুল করলেও ক্ষমা হয়ে যাবে সে কষ্ট পেলেও লুকিয়ে কাঁদা যাবে নিজের কষ্ট মনে করে সয়ে যাবে। জীবনের ভালো খারাপ সময়গুলোতে কাছে না থাকলেও মানিয়ে নিতে পারবে। অন্য কারো হলেও তখনো সে মানুষটি বলবে আমি তোমাকে ভালোবাসি, চিরদিন ভালোবাসবো, ডাকলে কাছে পাবে কোনো স্বার্থ ছাড়া। ভালোবাসা হয় স্বার্থহীনভাবে যা প্রকৃতির নিয়ম, প্রকৃতি আমাদের ভালোবেসেই যায় অনেক কিছু দিয়েই, আমারা প্রতিদিন প্রকৃতিকে ভালোবাসি আর নাই বাসি কিন্তু সে শুধু আমাদের দিয়ে যাচ্ছে। কারণ সে আমাদের মায়ায় জড়িয়ে রেখেছে, তাই আমরা এই পৃথিবী ছেড়ে চলে যেতে চাই না। সে প্রতিদিন আমাদের ভালোবাসে। ভালোবাসা মানে কথা না দিয়েও সাথে থাকা। আমরা তার ভালোবাসা অনুভব করি, আসেন আমরা সবাই ধর্ম বর্ণ জাতি ভেদাভেদ না করে, একদিন নয় প্রতিদিন সবাই সবাইকে ভালোবাসি, ভালোবাসি সৃষ্টিকে, শুভ হোক ভালোবাসা।