কবি কাউকে সংস্কারে আবদ্ধ করতে চায় না। সৃষ্টি করে দিয়ে তাকে আকাশে উড়িয়ে দেওয়াই কবির ভালোবাসার বৈশিষ্ট্য।এ জীবন কী সকলে বুঝতে পারে? কিন্তু না বুঝলে যে কবিতা রচনার প্রয়াস বিফল? ভালোবাসা হলো একটি অনুভূতি এবং আবেগ একটি অভিজ্ঞতা। বিশেষ কোন মানুষের জন্য স্নেহের শক্তিশালী বহিঃপ্রকাশ হচ্ছে ভালোবাসা। তবুও ভালোবাসাকে বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে ভাগ করা যায়। আবেগধর্মী ভালোবাসা সাধারণত গভীর হয়। বিশেষ কারো সাথে নিজের সকল মানবীয় অনুভূতি ভাগ করে নেওয়া, এমনকি শরীরের ব্যাপারটাও এই ধরনের ভালোবাসা থেকে পৃথক করা যায় না। ভালোবাসা বিভিন্ন রকম হতে পারে, যেমন, নিষ্কাম ভালোবাসা, ধর্মীয় ভালোবাসা, আত্মীয়দের প্রতি ভালোবাসা, বাড়িতে কোনো পোষা প্রাণীর বা জিনিষের প্রতি অতিরিক্ত স্নেহ প্রায় সময় খুবই আনন্দদায়ক হতে পারে এমন কি কোনো কাজ কিংবা খাদ্যের প্রতিও। আর এই অতি আনন্দদায়ক অনুভূতিই হলো ভালোবাসা। ভালোবাসা কে অনেক সময় রোগও বলা হয়ে থাকে। ভালোবাসা রোগ বলতে বোঝায় ভালোবাসা সংশ্লিষ্ট এক ধরনের মানসিক পীড়া।
ভালোবাসা এই কথাটা নিয়ে পৃথিবীতে যত গল্প, কবিতা, গান, উপন্যাস রচিত হয়েছে আর কোনো সম্পর্ক নিয়ে ততটা হয়নি। তবে ভালোবাসা হবে সবার জন্য, মানুষ ও মানবতার জন্য, প্রিয় আর প্রেয়সীর জন্য, বন্ধু আর শুভার্থীদের জন্য। বিপদগ্রস্ত আর পীড়িতদের জন্য আর নিজের পছন্দের মানুষ; সে যেই হোক পুরুষ কিংবা নারী সকলের জন্য, নির্মল আর পবিত্র ভালোবাসা। গতিময় জীবনের অফুরন্ত ব্যস্ততার ফাঁকে নিজের কাছের মানুষ, ভালোবাসার মানুষগুলোকে যদি একটু বাড়তি সময় দেওয়াও ভালোবাসা। তবে জীবনের যান্ত্রিকতার মাঝেই তৈরি হবে আরো কিছু স্মরণীয় সময়।