ভারী বর্ষণে নগরীর নিম্নাঞ্চলে জলাবদ্ধতা

আরো দুয়েকদিন মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা

আজাদী প্রতিবেদন | শনিবার , ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২০ at ৬:৩৯ পূর্বাহ্ণ

শুক্রবার সকাল থেকে ভারি বর্ষণে কাহিল চট্টগ্রামের বেশির ভাগ এলাকার লোকজন। ভারি বৃষ্টি ও জোয়ারের প্রভাবে শুক্রবার দুপুরের দিকে নগরীর কিছু নিচু এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে আগ্রাবাদ সিডিএ ও হালিশহরের মহেশখাল সংলগ্ন কিছু এলাকাতেও পানি উঠেছে। ফলে দুর্ভোগে পড়েছে ওই সব এলাকার মানুষ। এদিকে মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে আরো দুয়েকদিন মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া বিশ্লেষকরা। চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরকে ৩নং স্থানীয় সতর্কতা সংকেত ও নৌ বন্দরকে ১নং নৌ সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। চট্টগ্রাম আবহাওয়া অফিস শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার স্থানীয় পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, পরবর্তী ২৪ ঘন্টায় চট্টগ্রামের আকাশ মেঘলা থেকে সাময়িকভাবে মেঘাচ্ছন্ন থাকতে পারে। সে সাথে অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ী দমকা কিংবা ঝড়ো বাতাসের সাথে হালকা থেকে মাঝারি ধরণের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। দক্ষিণ দক্ষিণপশ্চিম দিক থেকে ঘন্টায় ১২১৮ কি.মি. বেগে বাতাস প্রবাহিত হতে পারে। যা অস্থায়ী দমকা হাওয়ার আকারে ৪৫৬০ কি.মি. পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে। শুক্রবার চট্টগ্রামে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৯.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৫.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

বাংলাদেশ ওয়েদার অবজারভেশন টিম (বিডব্লিউওটি) জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতভর ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণে আক্রান্ত হয়েছে চট্টগ্রাম ও রংপুর বিভাগের উত্তরভাগের কিছু এলাকা। আগামী ২৪ ঘন্টায় চট্টগ্রাম, রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা আছে। এছাড়া দেশের অন্যত্র দিন ও রাতের যেকোন সময় কমবেশি বৃষ্টি থাকতে পারে। তবে দেশের অল্প কিছু স্থানে কিছুটা বৃষ্টিবিরতিসহ স্বল্পস্থায়ী রোদের প্রভাব লক্ষ্য করা যেতে পারে। ভারি বর্ষণের কারণে চট্টগ্রাম বিভাগের পাহাড়ী এলাকায় পাহাড় ধসের সম্ভাবনা রয়েছে বলে তারা জানিয়েছে।

এদিকে শুক্রবার ছুটির দিন সকাল থেকে মাঝারি থেকে ভারি বর্ষণে নাকাল হতে হয়েছে জেলার বাসিন্দাদের। দুপুরের দিকে জোয়ারের প্রভাবে আগ্রাবাদ সিডিএ আবাসিকসহ কিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। আগ্রাবাদ সিডিএ আবাসিকের বাসিন্দা মিজানুর রহমান বলেন, ‘জুমার নামাজের পর ১নং রোডের মূল সড়কে পানি উঠেছে। আশেপাশের গলিগুলোতে হাঁটু পরিমাণ পানি উঠে। প্রায় দেড় ঘন্টার মতো স্থায়ী ছিল এসব পানি।’

চট্টগ্রাম আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ শেখ ফরিদ আহমদ দৈনিক আজাদীকে বলেন, মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে আরো এক কিংবা দুইদিন বৃষ্টি থাকতে পারে। তবে শুক্রবারের মতো ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা নেই। তবে মাঝারি বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধজনসভার মাইকিং থেকে রাষ্ট্রের মাইক হাছান মাহমুদ
পরবর্তী নিবন্ধইচ্ছেমতো চলছে গাড়ি মোড়ে মোড়ে যানজট