জয়সওয়ালের ১৬১ ও কোহলির সেঞ্চুরিতে ভারতের রান পাহাড়ের পর ভীষণ চাপে পড়েছে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া। পার্থ টেস্টে ৫৩৪ রানের লক্ষ্যে ১২ রান তুলতেই ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলেছে স্বাগতিকরা। আর তাতেই জয়ের সুবাস পাচ্ছে সফরকারী ভারত। এর আগে ইয়াশাসভি জয়সওয়ালের আগের দিন জাগানো সেঞ্চুরির সম্ভাবনা পূর্ণতা পায়। সেখানে না থেমে আরও অনেকদূর এগিয়ে যান ভারতীয় ওপেনার। দীর্ঘ দিনের খরা কাটিয়ে বহুকাঙ্ক্ষিত তিন অঙ্কের উষ্ণ ছোঁয়া পান ভিরাট কোহলিও। প্রথম ইনিংসে ব্যাটিং ব্যর্থতার পর ঘুরে দাঁড়িয়ে অস্ট্রেলিয়াকে পাহাড়সম লক্ষ্য ছুঁড়ে দেয় ভারত। সেই রানের পাহাড়ে চাপা পড়ে হিমশিম খাওয়ার অবস্থা অস্ট্রেলিয়ার। তৃতীয় দিনের শেষ বেলায় সামান্য কিছু সময় ব্যাটিং করেই হারের ঘোর শঙ্কায় পড়ে গেছে তারা। জয়সওয়াল ও কোহলির নৈপুণ্যে পার্থে ৬ উইকেটে ৪৮৭ রান নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করেছিল ভারত। প্রথম ইনিংসে ১৫০ রান করেও চমৎকার বোলিংয়ে লিড নেওয়া সফরকারীরা প্রতিপক্ষকে ছুঁড়ে দেয় ৫৩৪ রানের বিশাল লক্ষ্য। টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে ৫০০ রান তাড়া করে জয়ের নজির নেই। ২০০৩ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ৪১৮ রানের লক্ষ্যে জয় এখন পর্যন্ত রেকর্ড। অসম্ভব রান পাহাড় টপকানোর লক্ষ্যে শুরুটা খুব বাজে হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার। স্রেফ ১২ রান তুলতেই ৩ উইকেট হারিয়ে তৃতীয় দিন শেষ করেছে স্বাগতিকরা। এখনও পিছিয়ে ৫২২ রানে। অস্ট্রেলিয়া সফরে প্রথম টেস্ট খেলতে নেমে প্রথম ইনিংসে রানের খাতা খুলতে না পারা জয়সয়াওল দ্বিতীয় ইনিংসে করেন ১৬১ রান। তার ২৯৭ বল ও ৪৩২ মিনিট স্থায়ী চমৎকার ইনিংসটি গড়া ৩ ছক্কা ও ১৫ চারে। টেস্টে এটি জয়সয়াওলের চতুর্থ শতক। চারটি সেঞ্চুরিকেই দেড়শ ছোঁয়া ইনিংসে রূপ দিয়েছেন ২২ বছর বয়সী তরুণ। টানা ব্যর্থতার ধারায় অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এই টেস্টের প্রথম ইনিংসেও ৫ রানে আউট হন কোহলি। ঘুরে দাঁড়িয়ে দ্বিতীয়ভাগে তিনি খেললেন ২ ছক্কা ও ৮ চারে ১৪৩ বলে ঠিক ১০০ রানের অপরাজিত ইনিংস। তার সেঞ্চুরির পরই ইনিংস ঘোষণা করে দেয় ভারত। টেস্টে দীর্ঘ ১৬ মাস পর সেঞ্চুরির স্বাদ পেলেন কোহলি। এর আগে ক্রিকেটের অভিজাত সংস্করণে সবশেষ তিন অঙ্কের দেখা তিনি পেয়েছিলেন ২০২৩ সালের জুলাইয়ে, ত্রিনিদাদ টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে খেলেছিলেন ১২১ রানের ইনিংস।