নানা অনিশ্চয়তা আর দর কষাকষির পর অবশেষে প্রকাশ করা হলো চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সূচি। যেখানে আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি নিজেদের প্রথম ম্যাচে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। দুবাইয়ে অনুষ্টেয় নিজেদের প্রথম ম্যাচটি খেলবে নাজমুল হোসেন শান্তর দল ভারতের বিপক্ষে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সূচি ও গ্রুপিং গতকাল মঙ্গলবার প্রকাশ করেছে আইসিসি। ৮ দলের এই টুর্নামেন্টে ‘এ’ গ্রুপে পড়েছে বাংলাদেশ। ভারত ছাড়া তাদের অন্য দুই প্রতিপক্ষ নিউজিল্যান্ড ও স্বাগতিক পাকিস্তান। ‘বি’ গ্রুপের চার দল হচ্ছে অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা ও আফগানিস্তান। আগামী ১৯ নভেম্বর করাচিতে পাকিস্তান–নিউজিল্যান্ড ম্যাচ দিয়ে পর্দা উঠবে আইসিসির এই টুর্নামেন্টের। ৯ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে ফাইনাল। পুরো টুর্নামেন্টটি হওয়ার কথা ছিল পাকিস্তানে। কিন্তু দেশটির সঙ্গে বৈরি সম্পর্কের কারণে সেখানে যেতে অস্বীকৃতি জানায় ভারত। অনেক দিনের আলোচনার পর ভারতের ম্যাচগুলো নিরপক্ষে ভেন্যুতে আয়োজন করতে রাজি হয় পাকিস্তান। দুবাইকে বেছে নেওয়ার হয়েছে নিরপেক্ষ ভেন্যু হিসেবে। আর পাকিস্তানে তিনটি ভেন্যু রাওয়ালপিন্ডি, লাহোর ও করাচিতে হবে বাকি সব ম্যাচ। যদিও এই হাইব্রিড মডেলের জন্য শর্ত দিয়ে রেখেছে পাকিস্তান। তা হচ্ছে ভবিষ্যতে কোন টুর্নামেন্ট খেলতে পারত যাবেনা পাকিস্তান। সে ম্যাচ গুলোও হতে হবে নিরপেক্ষ ভেন্যুতে।
এদিকে সেমি–ফাইনাল ও ফাইনাল গড়াবে লাহোরে। আর ভারত ফাইনালে উঠলে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচটি হবে দুবাইয়ে। আর প্রথম সেমি–ফাইনাল রাখা হয়েছে দুবাইয়ে। দুটি সেমি–ফাইনাল ও ফাইনালের জন্য রাখা হয়েছে রিজার্ভ ডে। বাংলাদেশের দ্বিতীয় ম্যাচ নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। রাওয়ালপিন্ডিতে আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি মুখোমুখি হবে দুই দল। একই মাঠে গ্রুপের শেষ ম্যাচ তাসকিন–লিটনরা খেলবেন ২৭ ফেব্রুয়ারি। এই ম্যাচে টাইগারদের প্রতিপক্ষ স্বাগতিক পাকিস্তান। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত–পাকিস্তানের লড়াইটি মাঠে গড়াবে আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি। টুর্নামেন্টের ‘বি’ গ্রুপের খেলা শুরু হবে ২১ ফেব্রুয়ারি দক্ষিণ আফ্রিকা–আফগানিস্তান ম্যাচ দিয়ে। পরদিন হাইভোল্টেজ লড়াইয়ে মুখোমুখি হবে অস্ট্রেলিয়া–ইংল্যান্ড। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ার খেলাটি হবে ২৫ ফেব্রুয়ারি। প্রথম সেমি–ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৪ মার্চ। পরদিন মাঠে গড়াবে দ্বিতীয় সেমিফাইনালটি। আর ফাইনাল ম্যাচের জন্য ১০ মার্চ রিজার্ভ ডে রাখা হয়েছে। ৫০ ওভারের ক্রিকেটের এই টুর্নামেন্টের সবগুলো ম্যাচই হবে দিবা–রাত্রির। ২০১৫ ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর থেকে এ লড়াই বরাবরই উত্তাপ ছড়িয়েছে। যদিও আইসিসি ইভেন্টে ২০০৭ ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর এখন পর্যন্ত ভারতের বিপক্ষে কোনো জয় পায়নি বাংলাদেশ।