এশিয়ান গেমস ক্রিকেট থেকে স্বর্ন পদক জয়ের আশা ছিল ক্রিকেট দলের। কিন্তু সে দলটি গেমসে গিয়ে একের পর এক হতাশ করেছে। কোয়ার্টার ফাইনালে মালয়েশিয়ার মত দলের কাছে কোনমতে ২ রানে জিতে সেমিফাইনালে গিয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু সে সেমিফাইনালে একেবারে নাস্তানাবুদ হতে হয়েছে ভারতের কাছে। একেবারে গো হারা হেরেছে বাংলাদেশ দল ভারতের কাছে। ফলে স্বর্ন পদক জয়ের আশা শেষ হয়ে যায় টাইগার ক্রিকেটারদের। গতকাল ব্যাটে এবং বলে চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েঠে বাংলাদেশ দল। ব্যাট হাতে মাত্র ৯৬ রান করতে সক্ষম হয় ব্যাটাররা। আর বল হাতেতো একেবারেই নাস্তানাবুদ বোলারার। ৬৪ বল এবং ৯ উইকেট হাতে রেখে জয় তুলে নিয়ে ফাইনালে চলে যায় ভারত। যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ আফগানিস্তান। আর বাংলাদেশকে ব্রোঞ্জের জন্য খেলতে হবে পাকিস্তানের বিপক্ষে। প্রথমে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশ শুরু থেকেই উইকেট হারাতে থাকে। টাইগারদের উদ্বোধণী জুটি ভাঙ্গে ১৮ রানে। ফিরেন ৫ রান করা মাহমুদুল হাসান জয়। এরপর দ্রুত ফিরেন সাইফ হাসান, জাকির হাসান, আফিফ হোসেন এবং শাহাদাত হোসেন দিপু। এদের কেউই দুই অংকের ঘরে যেতে পারেনি। ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমনের পর পর জাকির আলি অনিক কিছুটা চেষ্টা করেন রান করার। ইমন করেন ২৩ রান। আর অনিক করেন ২৪ রান। শেষ দিকে রাকিবুল হাসানের ৬ বলে ১৪ রানের পরও শতরান পুরন করতে পারেনি বাংলাদেশ। ৯৬ রান করতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ ২০ ওভারে। ভারতের পক্ষে শাই কিশোর নিয়েছেন ৩ উইকেট। ২টি উইকেট নিয়েছেন ওয়াশিংটন সুন্দর। মাত্র ৯৭ রানের মামুলি টার্গেট। আর সে টার্গেটকে একেবারেই মামুলি বানিয়ে ফেলেন ভারতের দুই ব্যাটার রুতুরাজ গায়কোয়াড এবং তিলক ভার্মা। যদিও ইনিংসের চতুর্থ বলেই উইকেট তুলে নিয়েছিলেন রিপন মন্ডল। কিন্তু বাংলাদেশের সাফল্য বলতে সেটুকুই। এরপর কেবলই বেধড়ক পিটুনি খেয়েছে টাইগার বোলাররা। রুতুরাজ গায়কোয়াড এবং তিলক ভার্মা মিলে মাত্র ৯.২ ওভারে ৯৭ করে জয় নিশ্চিত করার পাশাপাশি ফাইনালও নিশ্চিত করে। রুতুরাজ ২৬ বলে ৪০ রান করে অপরাজিত থাকেন। আর তিলক ভার্মা ২৬ বলে ৫৫ রান করে থাকেন অপরাজিত। দিনের আরেক সেমিফাইনালে পাকিস্তানকে ৪ উইকেটে হারিয়ে ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে আফগানিস্তান। ফলে তাদেরও একটি পদক নিশ্চিত হয়ে গেল।