ভারতের আক্রমণভাগকে সামলানোর অনুশীলনে জামাল-সোহেলরা

ক্রীড়া প্রতিবেদক | শনিবার , ১৫ মার্চ, ২০২৫ at ১১:১১ পূর্বাহ্ণ

ভারতের বিপক্ষে ম্যাচটিকে বেশ গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করছে বাংলাদেশ দল। দলটির শক্তিশালী আক্রমণভাগ রুখে দিয়ে তাদের রক্ষণে পাল্টা হানা দেওয়ার ছক নিয়ে কাজ শুরু করেছেন বাংলাদেশ কোচ হাভিয়ের কাবরেরা। সুনিল ছেত্রির মতো গোলমেশিন, ফারুক চৌধুরি, মানভির সিং ও লালিয়ানজুয়ালা ছাংতের মতো নির্ভরতা আছে ভারতের আক্রমণভাগে। রক্ষণের ফাঁকফোকরগুলো দূর করে দৃঢ়তা বাড়াতে তাই আঁটঘাট বেঁধে প্রস্তুতি শুরু করেছে বাংলাদেশ। পাশাপাশি প্রতিপক্ষের আক্রমণ রুখে দিয়ে পাল্টা আক্রমণের পথের খোঁজেও আছে দল। শিলংয়ে আগামী ২৫ মার্চ এশিয়ান কাপের বাছাইয়ের তৃতীয় রাউন্ডের ম্যাচে ভারতের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। ম্যাচটি সামনে রেখে সৌদি আরবে চলমান ক্যাম্পে ‘ডিফেন্ডিং ব্লক ও প্রেসিং’ নিয়ে কাজ শুরুর কথা জানিয়েছেন সহকারী কোচ হাসান আল মামুন। তিনি বলেন আজকে আমরা যে দিকে মনোযোগ দিয়েছিলাম, সেটা হচ্ছে কিভাবে আমরা ডিফেন্ডিং ব্লক করব। কে প্রেসিংয়ে যাবে, তখন কে তাকে ব্যালান্স করবে, মূলত এই টেকনিক্যাল কিছু তথ্যপাশাপাশি ভারত কিভাবে আক্রমণে ওঠে এবং আমরা কিভাবে ব্লকগুলো তৈরি করব, এ নিয়ে আমাদের ক্লাসগুলো হয়েছে। বেশ উপভোগ্য ছিল আজকের সেশন। এই প্রস্তুতিতে ছেলেদের কঠোর পরিশ্রম করতে হয়েছে, এনার্জির বিষয় ছিল এবং প্রত্যেককে দেখা গিয়েছে, তাদের সর্বোচ্চটা দিয়ে কাজ করছে। তায়েফের নিবিড় ক্যাম্প দলের মধ্যে ছড়িয়ে দিচ্ছে বাড়তি আত্মবিশ্বাসের রেণু। মিডফিল্ডার সোহেল রানা জুনিয়রের কণ্ঠেও সে ছাপ স্পষ্ট। তিনি বলেন সবাই সুস্থ আছি। ভালো ট্রেনিং হচ্ছে। গত দিনগুলোতে বেশি ঠাণ্ডা ছিল। আজ বৃষ্টি হয়েছে। এখন খুব ভালো অনুভব করছি। শিলংয়ে মানিয়ে নিতে পারব তাড়াতাড়ি। ভারত ম্যাচ নিয়ে কোচিং স্টাফরা ভাবছে, যে পরিকল্পনাগুলো তারা দিচ্ছে, আমরা সেটা মাঠে অনুশীলন করছি। যদি এটা আমরা মাঠেও বাস্তবায়ন করতে পারি তাহলে ইনশাল্লাহ আমরা জিতব। প্রথমবারের মতো জাতীয় দলে ডাক পাওয়া আরিফ হোসেন উচ্ছ্বসিত লালসবুজের জার্সিতে অনুশীলনের সুযোগ পেয়ে। ২৩ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ডের লক্ষ্য রাকিব হোসেন, ফয়সাল আহমেদ ফাহিম, আল আমিন, পিয়াস আহমেদ নোভাদের মতো আক্রমণভাগে জায়গা করে নেওয়ার। এই প্রথম জাতীয় দলে ডাক পেয়েছি। আলহামদুলিল্লাহ। সবাই যেভাবে উপভোগ করছে, আমিও উপভোগ করছি। জাতীয় দলের বিষয় তো আলাদা। জাতীয় দলে অনুশীলন তো একটু কঠিন হবে, সেটাই স্বাভাবিক। এটা আমার জন্য কঠিন, কিন্তু আমাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিতে হবে। চেষ্টা করছি দলে ঢোকার জন্য, ইনশাল্লাহ। এখানে সবাই ভালো, বন্ধুর মতো, বড় ভাই, আলহামদুলিল্লাহ সবাই ভালো।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবিভাগীয় ফাইনালে সানশাইন গ্রামার স্কুল
পরবর্তী নিবন্ধঈদে আসছে জয়ার ‘জিম্মি’