ওয়ানেড সিরিজে হারের পর প্রথম টি–টোয়েন্টিতে ভারতকে ৪ রানে হারিয়ে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে এগিয়ে গেল ক্যারিবিয়ানরা। ত্রিনিদাদের ব্রায়ান লারা স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ওয়েস্ট ইন্ডিজ করেছিল ৬ উইকেটে ১৪৯ রান। ৩২ বলে ৩টি করে ছক্কা ও চারের সাহায্য সর্বোচ্চ ৪৮ রান করেন অধিনায়ক রভম্যান পাওয়েল। ৩৪ বলে ৪১ রান করেন নিকোলাস পুরান। এই ম্যাচটি ছিল ভারতের ২০০ তম আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টি ম্যাচ। কিন্তু সে ম্যাচে জিততে পারলনা ভারত। জবাবে ভারত ৯ উইকেটে করে ১৪৫ রান। আইপিএলে ঝড় তুলে জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়া তিলক ভার্মা আন্তর্জাতিক অভিষেকে ২২ বলে ৩ ছক্কা ও ২ চারের সাহায্যে খেলেন ৩৯ রানের ঝড়ো ইনিংস। আর কেউ পারেননি প্রত্যাশা পূরণ করতে। হোল্ডার ৪ ওভারে ১৯ রানে নেন ২ উইকেট। ম্যাচের সেরাও এই পেস বোলিং অলরাউন্ডার। ওবেড ম্যাককয় ২৮ রানে ও রোমারিও শেফার্ড ৩৩ রানে নেন ২টি করে উইকেট। স্পিনার আকিল হোসেন ১৭ রান দিয়ে নিয়েছেন একটি উইকেট।
ব্র্যান্ডন কিংয়ের ব্যাটে ভালো সূচনা পায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। প্রথম চার ওভারে তারা তুলে ২৯ রান। পঞ্চম ওভারের প্রথম তিন বলে ফিরেন দুই ওপেনার। ১৯ বলে ২৮ রান করেন কিং। এরপর দলকে এরপর এগিয়ে নেন পুরান ও পাওয়েল। ৪০ বলে ৩৮ রানের জুটি গড়েন দুজন। পুরান ফিরেন ৪১ রান করে। পঞ্চম উইকেটে শিমরন হেটমায়ারের সঙ্গে ৩৮ রানের জুটি গড়েন পাওয়েল। অধিনায়ক করেন ৪৮ রান। আর তাতেই ১৪০ রানে পৌঁছে ক্যারিবীয়রা। জবাবে ব্যাট করতে নামা ভারত তৃতীয় ওভারেই হারায় শুবমান গিলকে। ওয়ানডে সিরিজে তিন ম্যাচেই ফিফটি করা ইশান কিষান ফিরেন ৯ বলে ৬ রান করে। এরপর তিলক এবং সুরিয়া কুমার যাদব যোগ করেন ৩৯ রান। ২১ বলে ২১ রান করে ফিরেন যাদব। শেষ ১০ ওভারে ভারতের দরকার ছিল ৮০ রান। পরের ওভারে আউট হয়ে যান ৩৯ রান করা তিলক। হার্দিক পান্ডিয়া ও সাঞ্জু স্যামসন ম্যাচটাকে টেনে নিয়ে আসছিলেন। এক পর্যায়ে ভারতের দরকার ছিল ৩০ বলে ৩৭ রান। কিন্তু হোল্ডারের করা ১৬ তম ওভারে পান্ডিয়া এবং স্যামসন দুজনই ফিরে গেলে আর পারেনি ভারত। শেষ দুই ওভারে ভারতের দরকার ছিল ২১ রান। আর শেষ ওভারে দরকার ছিল ১০ রান। ভারত নিতে পেরেছে কেবল ৫ রান। আর তাতেই ৪ রানের হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় তাদের।