ইউপি সদস্য থেকে শুরু করে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ স্তরের জনপ্রতিনিধি হিসেবে কোন দায়িত্বই ছোট নয়। প্রত্যেককে নিজ নিজ দায়িত্বের জন্য আল্লাহর দরবারে একাকী জবাবদিহিতার সম্মুখীন হতে হবে। মানুষ তো আছেই, আওতাধীন প্রতিটি প্রাণীর জানমালের নিরাপত্তার জন্য আইন প্রণয়ন শুধু নয়, সেই আইনের যথাযথ বাস্তবায়নও করতে হয় একজন জন প্রতিনিধিকে। জগদ্বিখ্যাত রাষ্ট্রনায়ক হযরত উমর ফারুক (র.) যেমনটা বলেছিলেন ‘আমার রাষ্ট্রের কোনো মানুষ তো দূরের কথা, একটা কুকুরও যদি না খেয়ে মারা যায় আল্লাহর দরবারে আমাকে সেটা নিয়ে জবাবদিহিতা করতে হবে’। জ্ঞান, মেধা, প্রজ্ঞার পাশাপাশি জন প্রতিনিধিকে হতে হবে নীতি-নৈতিকতা সম্পন্ন দূরদর্শী একজন মানুষ। কারণ, সমাজ এবং রাষ্ট্রের সকল শ্রেণি ও মতের মানুষকে নিয়ন্ত্রণ করতে হয় জন প্রতিনিধিকে।
আওতাভুক্ত প্রতিটি মানুষ এবং প্রাণীর চাই খাদ্য, নিরাপত্তা এবং স্বাধীনতা। অধীনস্থ লোকগুলোকে দুনিয়া, আখিরাত উপযোগি একজন মানুষ হিসাবে গড়ে তুলতে সচেষ্ট হতে হয় জন প্রতিনিধিকে। কারণ, বিশ্বনবী হযরত মোহাম্মদ (স.) তাঁর ইন্তেকালের অল্পসময় আগে নামাজের কথা বলার পাশাপাশি বার বার অধীনস্থ লোকদের দিকে খেয়াল রাখতে বলেছেন।
সুতরাং, আবেগের বশবর্তী না হয়ে জন প্রতিনিধি নির্বাচন এবং নির্বাচিত করার আগে সকলের একটু বিবেক দিয়ে ভাবা চাই। এই গুরুদায়িত্ব পালনে এগিয়ে আসা চাই জ্ঞান, মেধা, প্রজ্ঞার পাশাপাশি নীতি-নৈতিকতা সম্পন্ন দূরদর্শিতার অধিকারী মানুষ। যার মাধ্যমে সমাজ এবং রাষ্ট্র উপকৃত হবে। নিশ্চিত হবে প্রতিটি মানুষের খাদ্য, নিরাপত্তা এবং স্বাধীনতা।