পটিয়ার পূর্ব হাইদগাঁও গ্রামে জবাই করে ভাতিজা রাশেদকে (২৩) খুন করা অভিযুক্ত চাচা জালাল উদ্দিনকে (৪৫) গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি। গত শুক্রবার রাতে নগরীর চান্দগাঁও থানার খাজা রোড এলাকা থেকে গ্রেপ্তার হন তিনি। গতকাল শনিবার আদালতে নেওয়া হলে সেখানে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দেন জালাল। চট্টগ্রামের জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা ইয়াসমিন তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। পরে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
সিআইডি চট্টগ্রাম জেলা ও মেট্রো ইউনিটের অতিরিক্ত ডিআইজি শাহনেওয়াজ খালেদ দৈনিক আজাদীকে বলেন, চাচার হাতে ভাতিজার খুনের ঘটনার পর পরই সিআইডি কাজ শুরু করে। ছায়াতদন্ত করে আসামি জালালকে শনাক্তের চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে গত শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে খাজা রোড এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গত ১৬ নভেম্বর পটিয়ার পূর্ব হাইদগাঁও গ্রামে চাচার হাতে ভাতিজা খুনের চাঞ্চল্যকর এ ঘটনা ঘটে। পাওনা আড়াই হাজার টাকা ভাতিজা রাশেদের কাছে চেয়েছিলেন চাচা জালাল উদ্দিন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও তর্কাতর্কি শুরু হয়। একপর্যায়ে হাতে থাকা ধারালো ছুরি দিয়ে রাশেদের গলার দুই পাশে পোচ দিয়ে বসেন চাচা জালাল। মুহূর্তেই রাশেদ মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। সেখান থেকে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেঙে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পরে ভিকটিম রাশেদের স্ত্রী তাসনিম আক্তার বাদী হয়ে জালাল উদ্দিনের বিরুদ্ধে পটিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।