নগরীর বন্দর থানাধীন আনন্দবাজার সাগরপাড় থেকে অজ্ঞাতনামা গলা কাটা যুবকের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত ২৮ নভেম্বর সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সাগরপাড়ের ঝোপ থেকে বন্দর থানা পুলিশ অজ্ঞাত হিসেবে দিনমজুর ইব্রাহীমের লাশ উদ্ধার করে। দুজনকে গ্রেপ্তারের পর এ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ধারের কথা জানিয়েছেন বন্দর থানার ওসি নিজাম উদ্দীন। খালাতো ভাইয়ের প্রেমিকাকে ফুসলিয়ে বিয়ে করার জেরেই পরিকল্পিতভাবে ইব্রাহীম নামে ওই যুবককে খুন করা হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে।
পুলিশ জানায়- ২৭ নভেম্বর রাতে মাছ কেনার কথা বলে ইব্রাহীমকে সাগরপাড়ে নিয়ে যান পূর্ব পরিচিত সোহাগ ও রাসেল। পরে পেছন থেকে ছুরি দিয়ে গলা কেটে ইব্রাহীমকে হত্যা করে লাশ সাগর পাড়ে ফেলে রাখা হয়। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি সাগরে ফেলে দিয়ে সোহাগ ও রাসেল নিরাপদে সটকে পড়েন। শুক্রবার রাতে বন্দর থানার একটি টিমের প্রচেষ্টায় নোয়াখালীর সুর্বণচরের দুর্গম এলাকা থেকে অভিযুক্ত দুইজনকে গ্রেপ্তারের পর এ হত্যাকাণ্ডের রহস্যভেদ করে পুলিশ। হত্যাকাণ্ডে অংশ নেওয়া রাসেল গতকাল শনিবার চট্টগ্রাম আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছেন।
গ্রেপ্তার রাসেলের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, ইব্রাহীমের জন্মস্থান সন্দ্বীপ। তবে ২০ বছর আগে তিনি নোয়াখালীর সুবর্ণচরে চলে যান। সেখানে গিয়ে সংসার পাতেন। চট্টগ্রামে এসে দিনমজুরের কাজ বেছে নেন এবং বছর দুয়েক আগে দ্বিতীয় বিয়ে হিসেবে এক নারীকে বিয়ে করেন। ইব্রাহীমের ২য় স্ত্রী হত্যাকাণ্ডে অংশ নেওয়া সোহাগের খালাতো ভাইয়ের প্রেমিকা। প্রেমিকাকে ফুসলিয়ে বিয়ে করার বিষয়টি মেনে নিতে পারেনি সোহাগের খালাতো ভাই ও সোহাগ। পরিকল্পনা অনুযায়ী চট্টগ্রামে এসে ইব্রাহীমের সাথে সখ্য গড়ে তোলেন সোহাগ। সখ্যতার পর চট্টগ্রামের বন্দর থানা এলাকায় তারা একসাথে বিভিন্নস্থানে দিনমজুর হিসেবে কাজ করতেন। ২৭ নভেম্বর রাতে সাগরপাড় থেকে ইলিশ মাছ কেনার কথা বলে ইব্রাহীমকে আনন্দবাজার সাগরপাড়ে নিয়ে যান সোহাগ। এসময় সোহাগের সাথে রাসেল নামে আরো এক যুবক ছিলেন।