চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে সংসদ সদস্য মুজিবুল হক চুন্নু যে মন্তব্য করেছেন তা অনভিপ্রেত, অগ্রহণযোগ্য ও ভিত্তিহীন বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। গতকাল সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রোববার সংসদ অধিবেশনে বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ ও জাতীয় পার্টির (জাপা) মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩–২০২৪ সালের ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে একটি বক্তব্য দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ভর্তি ফরম বিক্রির ২৩ কোটি টাকা ভিসি, প্রো ভিসি, শিক্ষক ও ছাত্রলীগের মধ্যে ভাগাভাগি হয়ে গেছে। বিশ্ববিদ্যালয় ফান্ডে জমা হয়নি। প্রতি বছর যদি এ রকম হয়, তাহলে দেশটা কীভাবে চলছে?’ তার দেয়া বক্তব্যটি অগ্রহণযোগ্য, অনভিপ্রেত ও ভিত্তিহীন। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়,
ভর্তি পরীক্ষা সম্পর্কে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের স্পষ্ট বক্তব্য হচ্ছে, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা পরিচালনার জন্য খরচের বিভিন্ন খাত ডিনস্ কমিটি কর্তৃক সুনির্দিষ্ট করা আছে। এ অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পর্ষদ গৃহীত এবং অনুমোদিত নীতিমালা অনুযায়ী বিভিন্ন খাতে খরচ করা হয়। যা বহু বছর যাবৎ হয়ে আসছে। এর মধ্যে পত্রিকায় ভর্তি পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ, অনলাইন আবেদন গ্রহণ, প্রশ্নপত্র প্রণয়ন, প্রশ্নপত্র মডারেশন, প্রশ্নপত্র কম্পোজ, প্রশ্নপত্র ছাপানো, ফটোকপি, প্রশ্নপত্র প্যাকেজিং, উত্তরপত্র ছাপানো, ফলাফল প্রস্তুত করা, ফলাফল ছাপানো, কাগজপত্র ও স্টেশনারি ক্রয়, পরিদর্শকের সম্মানী, কর্মকর্তা–কর্মচারীদের সম্মানী, আপ্যায়ন, পরিবহনসহ অন্যান্য খাতে ব্যয় করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, ভর্তি পরীক্ষা প্রতি বছর সম্মানিত ইউনিট প্রধানরা পরিচালনা করেন, যা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়েও হয়ে থাকে। এছাড়া বিভিন্ন অনুষদের ডিনদের নিয়ে গঠিত ভর্তি পরীক্ষা পরিচালনা কমিটি কর্তৃক মাননীয় উপাচার্য ও মাননীয় উপ–উপাচার্য, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, শিক্ষক, কর্মকর্তাদের সম্মানী নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। ভর্তি পরীক্ষার টাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজস্ব আয় হিসেবে ব্যাংক একাউন্টে জমা হয়। সুতরাং মাননীয় সংসদ সদস্যের বক্তব্য তথ্য নির্ভর নয়, বরং অনুমান নির্ভর। সংসদ সদস্যের বক্তব্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার মর্মাহত হয়েছে। এছাড়া ভর্তি পরীক্ষার ফি’র সাথে ছাত্রলীগসহ কোনো ছাত্র সংগঠনের কোনো ধরনের সম্পৃক্ততা নেই, ছিল না।