ভয়াবহ দূষিত ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির বাতাস। দূষণের কারণে প্রাথমিক স্কুলে সশরীরে ক্লাস বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত এমনটি চলবে। খবর আল জাজিরার। দেশটির সরকার নয়াদিল্লিতে অ–গুরুত্বপূর্ণ নির্মাণকাজে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। একইসঙ্গে বাসিন্দাদের কয়লা পোড়ানো এড়াতে বলেছে। বায়ুদূষণে ধোঁয়াশায় ঢেকে গেছে তাজমহল। ফ্লাইট চলাচল হচ্ছে বিঘ্নিত। খবর বাংলানিউজের।
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অতিশী মারলেনা বৃহস্পতিবার এক্স হ্যান্ডলে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, দূষণমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত দিল্লিতে সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অনলাইনে ক্লাস চলবে।
বায়ুদূষণ রোধে আরও কয়েকটি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে সড়কে ধুলা দমনকারী উপাদান মিশ্রিত পানি ছিটানো এবং যান্ত্রিক সাফাইয়ের মাধ্যমে ধুলা কমানো। শুক্রবার সকাল থেকে এসব কার্যকর হয়েছে।
গত সপ্তাহজুড়ে উত্তর ভারতে এয়ার কোয়ালিটি বা বায়ু গুণমান পরিস্থিতির অবনতি হয়। পরিস্থিতি এমন দাঁড়ায় যে, নয়াদিল্লি থেকে ২২০ কিলোমিটার দূরের তাজমহলও বিষাক্ত ধোঁয়াশায় ঢেকে গেছে। পাশাপাশি শিখ ধর্মের পবিত্রতম উপাসনালয় অমৃতসরের স্বর্ণ মন্দিরও ধোঁয়াশায় ঢেকেছে। বৃহস্পতিবার নয়াদিল্লিতে উড়োজাহাজ ওঠানামায় বিঘ্ন ঘটে। ট্র্যাকিং ওয়েবসাইট ফ্লাইটর্যাডার২৪ বলছে, বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত ধোঁয়াশার কারণে ৮৮ শতাংশ ফ্লাইট ঠিক সময়ে যাত্রা করতে পারেনি। একইভাবে ঠিক সময়ে নামতে পারেনি ৫৪ শতাংশ ফ্লাইট। বুধবার পিএম২.৫ দূষকের মাত্রা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সুপারিশ করা দৈনিক সর্বোচ্চ সীমার চেয়ে ৫০ গুণেরও বেশি রেকর্ড করা হয়। এ দূষক ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র কণাগুলো ফুসফুসের মাধ্যমে রক্তপ্রবাহে প্রবেশ করে এবং ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়।
হিন্দুস্তান টাইমস জানায়, নয়াদিল্লিতে ইতোমধ্যেই একিউআই ৪০০ ছাড়িয়েছে। এ ‘একিউআই’ এর মাধ্যমে, বায়ুদূষণের অবস্থা পরিমাপ করা হয়। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা নাগাদ দিল্লির আনন্দ বিহারের একিউআই ছিল ৪৬৬।
শহরের হাসপাতালগুলোতে শিশুদেরও ভিড় লেগে গেছে। তারা হাঁপানি এবং অন্যান্য শ্বাসকষ্টজনিত রোগে ভুগছে বলে জানা যাচ্ছে।