দক্ষিণ আফ্রিকার দেশ নামাবিয়ার জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক মানুষ শতবর্ষের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ খরার মুখে পড়েছে। অনাবৃষ্টিতে সৃষ্ট খরায় দেখা দিয়েছে খাদ্য সংকট। তাই ক্ষুধার্ত মানুষের জন্য মাংসের জোগান দিতে কয়েক ডজন হাতি এবং জলহস্তীসহ শত শত বন্য প্রাণী হত্যার পরিকল্পনা করেছে সরকার। খবর বিডিনিউজের। ৩০টি জলহস্তী, ৬০টি মহিষ, ৫০টি ইম্পালা, ১০০টি ব্লু ওয়াইল্ডবিস্ট, ৩০০টি জেব্রা, ৮৩টি হাতি এবং ১০০টি এল্যান্ডসহ (এক ধরনের হরিণ) মোট ৭২৩টি প্রাণী রয়েছে তালিকায়। ইতোমধ্যে দেড় শতাধিক প্রাণী হত্যা করা হয়েছে এবং এ থেকে প্রায় ৬৩ টন মাংস পাওয়া গেছে, বলে জানিয়েছে দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস। নামিবিয়া খরাপ্রবণ দেশ, প্রায়ই দেশটি খরার কবলে পড়ে। ২০১৩, ২০১৬ এবং ২০১৯ সালে তীব্র খরার সময় জাতীয় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছিল। নামিবিয়ার ওয়ার্ল্ড ওয়াইল্ডলাইফ ফান্ডের কান্ট্রি ডিরেক্টর জুলিয়ান জেইডলার নিউ ইয়র্ক টাইমসকে বলেন, চলমান খরা ব্যাপক ধ্বংসাত্মক হয়ে উঠেছে। ইউরোপীয় কমিশনের একটি প্রতিবেদন অনুসারে, ২০২৩ সালের অক্টোবরে বতসোয়ানায় শুরু হওয়া খরা–অ্যাঙ্গোলা, জাম্বিয়া, জিম্বাবুয়ে এবং নামিবিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে তীব্রতর হয়। দেশটির পরিস্থিতি এত খারাপ হয়েছে মূলত এল নিনোর কারণে। সাত বছর পর ২০২৩ সালে এল নিনো আবার ফিরে এসেছে। ফলে বিশ্বের অনেক অঞ্চলে খরা এবং বন্যার মত নানা অসঙ্গতি দেখা দিয়েছে।