এ বছরের শেষেই হয়তো তৈরি হয়ে যাবে অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন। সে ক্ষেত্রে বড়দিনের ছুটিতেই হয়তো মিলবে সুখবর। শনিবার এমনই আশার বাণী শোনাল ব্রিটিশ মিডিয়া। ব্রিটেনের ভ্যাকসিন ‘ক্যানডিডেট’ চ্যাডক্স-১-এর চূড়ান্ত পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চলছে। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে এই টিকাটি তৈরি করছে ওষুধপ্রস্তুতকারী সংস্থা ‘অ্যাস্ট্রাজেনেকা’। একটি ব্রিটিশ দৈনিকের রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, একেবারে শেষ পর্যায়ের পরীক্ষা চলছে এখন। সে ক্ষেত্রে হয়তো ডিসেম্বরে বড়দিনের মধ্যেই রিপোর্ট মিলবে এবং ভ্যাকসিনটিকে ছাড়পত্র দিয়ে দেবে ব্রিটিশ স্বাস্থ্য নিয়ামক সংস্থা। একটি সরকারি সূত্রে খবর, ছাড়পত্র মিললে যত দ্রুত সম্ভব, ছ’মাস কিংবা তারও আগে ভ্যাকসিনেশন প্রোগ্রাম শুরু হয়ে যাবে।
বরিস জনসনের সরকার ইতিমধ্যেই ১০ কোটি ডোজ কেনার বরাত দিয়ে রেখেছে। এই বিষয়ে একটি প্রোটোকল জারি করেছে তারা। তাতে জানানো হয়েছে, ৬৫ বছরের ঊর্ধ্বে যাদের বয়স, সবার আগে তাদের টিকা দেওয়া হবে। তার পর মাঝবয়সি, বিশেষ করে যাদের কোনও জটিল রোগ রয়েছে, তাদের টিকা দেওয়া হবে। তার পরে বাকিদের। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-ও সম্প্রতি জানিয়েছে, এ বছরের শেষেই হয়তো ভ্যাকসিন তৈরি হয়ে যাবে। আগামী বছর বসন্তে একাধিক টিকা বাজারে চলে আসবে। মার্কিন ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারী সংস্থা মডার্না-ও জানিয়েছে, ২৫ নভেম্বর নাগাদ তারা ভাল খবর দিতে পারে। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের (নভেম্বরের গোড়ায়) আগে কোনও ভাবেই টিকা তৈরি করা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে তারা। বিশ্বের সব চেয়ে বড় ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারী সংস্থা ‘গ্ল্যাক্সোস্মিথক্লাইন’-ও আশার কথা শুনিয়েছে। তাদের ভ্যাকসিনও ক্লিনিক্যাল টট্রায়ালে ভাল ফল করছে বলে খবর। তবে আপাতত লকডাউন ও সোশ্যাল ডিসট্যান্সিংয়েই বেশি জোর দিচ্ছে ব্রিটেন, স্পেন। ছ’জনের বেশি এক জায়গায় জড়ো হওয়ায় নিষেধাজ্ঞা-সহ একাধিক নিয়ম জারি করা হয়েছে ব্রিটেনে। শনিবার থেকে আংশিক লকডাউন শুরু হল মাদ্রিদে। দ্বিতীয় সংক্রমণ ঢেউয়ে স্পেনের রাজধানীকে হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে।-আনন্দবাজার