আগামী ২৫ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার বড় দিনের বন্ধের সাথে ২৬ ও ২৭ ডিসেম্বর শুক্র–শনিবারের সাপ্তাহিক ছুটিও যুক্ত হয়েছে। টানা তিন দিনের সরকারি ছুটি পাচ্ছেন কর্মজীবীরা। ফলে এবার বড় দিনের লম্বা ছুটিতে পরিবার–পরিজন নিয়ে ঘোরাঘুরি কিংবা সময় কাটাতে পর্যটন নগরী কক্সবাজার রুটে ট্রেনের চাহিদার কথা বিবেচনা করে রেলওয়ে আগামী ২৪ ডিসেম্বর ও ২৭ ডিসেম্বর ঢাকা–কক্সবাজার–ঢাকা রুটে এক জোড়া ট্যুরিস্ট স্পেশাল ট্রেন পরিচালনা করবে। গত ৯ ডিসেম্বর বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালকের কার্যালয়ের ট্রাফিক ট্রান্সপোর্টেশন শাখা থেকে আগামী ২৪ ডিসেম্বর ও ২৭ ডিসেম্বর ঢাকা–কঙবাজার–ঢাকা রুটে অতিরিক্ত কোচের সমন্বয়ে ১ জোড়া বিরতিহীন ট্যুরিস্ট স্পেশাল ট্রেন চালানোর জন্য নির্দেশনা জারি করা হয়। এদিকে একই নির্দেশনায় চট্টগ্রাম–ঢাকা–চট্টগ্রাম রুটে বিরতিহীন চট্টগ্রাম স্পেশাল নামে একটি ট্রেনও চলবে।
সূত্র জানায়, আগামী ২৪ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম–ঢাকা রুটে ঢাকা স্পেশাল ট্রেন পরিচালনা করা হবে। বিরতিহীন এই ট্রেন ওই দিন দুপুর ২টা ৪৫ মিনিটে চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাবে। পৌঁছাবে রাত ৮টায়। একই দিন রাতে ঢাকা–কঙবাজার রুটে পরিচালনা করা হবে ট্যুরিস্ট স্পেশাল ট্রেন–১০০২। বিরতিহীন ট্রেনটি রাত সাড়ে ১০টায় কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে কঙবাজারের উদ্দেশ্যে ছাড়বে। পৌঁছাবে পরদিন সকাল ৬টা ৫০ মিনিটে।
২৫ ও ২৬ ডিসেম্বর কোনো স্পেশাল ট্রেন চলবে না। ২৭ ডিসেম্বর কঙবাজার–ঢাকা রুটে পরিচালনা করা হবে ট্যুরিস্ট স্পেশাল ট্রেন–১০০১। বিরতিহীন ট্রেনটি বেলা সাড়ে ১১টায় কঙবাজার রেলওয়ে স্টেশন থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছাড়বে। পৌঁছাবে রাত ৮টায়। একই দিন ঢাকা–চট্টগ্রাম রুটে চট্টগ্রাম স্পেশাল ট্রেন পরিচালনা করা হবে। বিরতিহীন এই ট্রেন রাত সাড়ে ১০টায় কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে ছাড়বে। পৌঁছাবে ভোর রাত সাড়ে ৪টায়।
প্রতিটি স্পেশাল ট্রেনে ১৮টি বগি থাকবে। দিনে চলাচলের সময় আসন সংখ্যা থাকবে ৮৩৪টি। আর রাতে চলাচলের সময় আসন সংখ্যা কমে দাঁড়াবে ৭৮৯টি। ঢাকা–চট্টগ্রাম–ঢাকা রুটের স্পেশাল ট্রেনের ভাড়া হবে সুবর্ণ বা সোনার বাংলার ভাড়ার মতো।
অন্যদিকে ঢাকা–কঙবাজার–ঢাকা রুটের স্পেশাল ট্রেনের ভাড়া হবে কঙবাজার বা পর্যটক এঙপ্রেসের মতো। তবে এসি সিটের জন্য বাড়তি ৩০ শতাংশ এবং নন এসি সিটের জন্য বাড়তি ২০ শতাংশ টাকা গুণতে হবে যাত্রীদের।












