চট্টগ্রাম কলেজের এক এইচএসসি পরীক্ষার্থীকে ব্ল্যাকমেইল করে ধর্ষণের অভিযোগে পিয়ন মোশাররফ হোসেনকে (৩০) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত ২৭ জুন ধর্ষণের ঘটনা ঘটলেও গত ২৯ জুন থানায় মামলা করেন ওই পরীক্ষার্থী। গতকাল মঙ্গলবার বিষয়টি জানাজানি হয়। মামলার হওয়ার পর গত ৩০ জুন ফেনী থেকে আসামিকে গ্রেপ্তার করে চকবাজার থানা পুলিশ। গতকাল একদিনের রিমান্ড শেষে তাকে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কাজী শরীফুল ইসলামের আদালতে হাজির করা হলে তিনি আসামিকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওয়ালী উদ্দিন আকবর আজাদীকে বলেন, এইচএসসি পরীক্ষার্থীকে ধর্ষণের মামলা থানায় রেকর্ড হওয়ার পর আসামি মোশাররফ হোসেনকে ফেনী থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে আদালত একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিল। রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মামলার তদন্ত চলছে।
মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, ২৭ জুন এইচএসসি পরীক্ষার প্রবেশপত্র আনার জন্য মাকে নিয়ে কলেজে যান ওই পরীক্ষার্থী। প্রবেশপত্র নিতে দেরি দেখে মাকে বাসায় পাঠিয়ে দেন তিনি। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কলেজের একাডেমিক ভবনের চতুর্থ তলার ওয়াশরুমের সামনে ওই পরীক্ষার্থীকে এক বন্ধুর সাথে দেখতে পায় পিয়ন মোশাররফ হোসেন। তখন কলেজের অধ্যক্ষ ও ছাত্রীর পরিবারকে উভয়ের বিষয়ে বলে দেওয়ার হুমকি দিলে ভীত হয়ে পড়েন পরীক্ষার্থী। পরে পরীক্ষার্থীকে বাসায় পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে কলেজ থেকে বের হয়ে একটি সিএনজি টেঙি করে নগরীর কোতোয়ালী থানাধীন স্টেশন রোডস্থ হোটেল মেট্রো ইনে নিয়ে যায় পিয়ন মোশাররফ। সেখানে ২০২ নম্বর রুমে তাকে ধর্ষণ করা হয়। পরে দেওয়ানহাট এলাকায় পরীক্ষার্থীকে সিএনজি টেঙি থেকে নামিয়ে দিয়েছিল মোশাররফ।
চট্টগ্রাম কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ মোজাহেদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ঘটনার পর ছাত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা করা হয়েছে। পিয়ন মোশাররফ কলেজে অস্থায়ীভাবে কর্মরত আছে। বর্তমানে তার বেতন–ভাতা বন্ধ রাখা হয়েছে। তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। চট্টগ্রাম কলেজ একটি ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান। এখানে কোনো অপরাধ আমরা প্রশ্রয় দেব না।