ব্লু ড্রিম ট্রাভেলসের বিরুদ্ধে গ্রাহকের টাকা মেরে দেওয়ার অভিযোগ

আজাদী অনলাইন | সোমবার , ২৭ নভেম্বর, ২০২৩ at ৪:৩৩ অপরাহ্ণ

চট্টগ্রাম নগরীর আগ্রাবাদের ব্লু ড্রিম ট্যুর এন্ড ট্রাভেলসের বিরুদ্ধে চটকদার বিজ্ঞাপন দিয়ে প্রায় ৭ লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান, পরিচালক, কর্মচারীসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছে এক গ্রাহক।

সোমবার (২৭ নভেম্বর) মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ৬ষ্ট আদালতের বিচারক কাজী শরীফুল ইসলামের কাছে মামলার আবেদন করলে বাদীর জবানবন্দি নিয়ে ও শুনানি শেষে অভিযোগটি তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশকে নির্দেশ দেন আদালত।

মামলার অভিযুক্ত আসামিরা হলেন, ব্লু ড্রিম ট্যুর এন্ড ট্রাভেল লি: এর চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আব্দূল হালীম ঠাকুর, ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মো. ইব্রাহীম শেখ, মোঃ কাইয়ুম হোসাইন, পরিচালক জাহিদ হাসান, সুলতান মাহমুদ চৌধুরী, ব্যবস্থাপক ও অফিস প্রধান মোঃ মনিমুর রহমান (ইভান), অফিস সহকারী মোঃ নাজিম, অব. সি ওয়ারেন্ট অফিসার এম মতিন সরকার ও হেড অব এডমিন উম্মে।

ভোক্তভোগী মামলার বাদী জসিম উদ্দীন দৈনিক আজাদীকে বলেন, আমার থেকে ২৬০০০ টাকা জমা নিয়ে একটি ফরম পূরণের মধ্যমে সদস্য নিবন্ধন করান। নিবন্ধন ফরমে লিখা ছিল চট্টগ্রামের অফিস প্রধান মনিমুর রহমান ইভানের সাথে যোগযোগ করার জন্য। আমি তাদের নিয়ম অনুযায়ী পরিচয় হয় মনিমুর রহমান ইভানের সাথে।

কাশ্মীর ট্যুরে যাওয়ার জন্য তাদের সাথে কথা বলি। তখন তারা ধাপে ধাপে ৩৬,৬০০ টাকা নেন ব্যাংকের মাধ্যমে। কিন্তু আমাদের কোন টিকেটেও দেয়িন। এরপর তাদের অফিসে যোগাযোগ করি। আমি তাদের ঢাকার অফিসেও যায়। তাদের পরিচালকের সাথেও কথা বলি।

তারা বলেন, ঐ লোক আরো অনেকের টাকা নিয়ে পলাতক রয়েছে। আমরা তাকে খোঁজতেছি। তাকে পেলে একটা ব্যবস্থা নিবো। তার সাথে বার বার যোগযোগের চেষ্টা করি। চট্টগ্রাম অফিসেও বার বার যায়। কিন্তু তারা কোন ব্যবস্থা নেননি।

আদতে তারা একটা সিন্ডিকেট। তারা একজনে নাম দিয়ে গ্রাহকের টাকা আত্মসাৎ করে। পরে টাকাগুলো তারা ভাগে যোগে খায়। তারা আমার টাকা আত্মাসাৎ করেছে। আমি ঐ ব্লু ড্রিম ট্যুর এন্ড ট্রাভেলসের চেয়ারম্যানসহ ৯ বিরুদ্ধে মামলা করেছি। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।

বাদীর এডভোকেট জিয়া হাবীব আহসান দৈনিক আজাদীকে বলেন, এদের প্রতারণার সিন্ডিকেট অনেক শক্তিশালী। আগ্রাবাদের মতো বাণিজ্যি এলাকায় তাদের প্রতারণার রমরমা ব্যবসা চলছে। প্রতিনিয়ত তাদের দ্বারা প্রতারিত হচ্ছেন অনেকেই। কিন্তু কেউ আইনের আশ্রয় নিতে সাহস করেননি। প্রশাসনের উচিৎ এদের প্রতারণার সিন্ডিকেট ভেঙে দিয়ে তাদের আইনের আওতায় আনা, অফিস সিলগালা করে জনগণকে সতর্ক করে দেয়া।

এই মামলাটিতে মানবাধিকার আইনজীবী এডভোকেট জিয়া হাবীব আহসান ছাড়া এড. হাসান আলী, এড. বদরুল হাসান, এড. জিয়াউদ্দিন আরমান, এড. কে এম শান্তনুসহ আরো অনেকে শুনানিতে অংশ নেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধরোগীকে হয়রানির অভিযোগে দালাল আটক
পরবর্তী নিবন্ধসাগরে মাছ ধরতে গিয়ে বোয়ালখালী প্রবাসীর মৃত্যু