এবারের অলিম্পিকে খেলতে পারছেননা বেশ কয়েকটি দেশ। তবে সে সব দেশের বেশ কিছু ক্রীড়াবিদকে অলিম্পিকে খেলার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। তবে তারা নিজ দেশের পতাকা বহন করতে পারবেনা। তাদেরকে শরণার্থী অ্যাথলেট হিসেবে নামকরণ করা হয়। তেমনই একজন সিনডি উইনার জাঙ্কু এনগ্যাম্বা। এই এনগ্যাম্বার জন্ম ক্যামেরুনে। কিন্তু সমকামিতার অভিযোগে দেশে জায়গা মেলেনি তার। গ্রেপ্তার হয়েছিলেন তিনি। পশ্চিম আফ্রিকায় নির্বাসিত হওয়ার হুমকির মুখে দেশ ছেড়েছিলেন তিনি। ইংল্যান্ডে শরণার্থীর মর্যাদা পেতে তাকে যৌন পরিচয়ের প্রমাণও দিতে হয়েছিল। ১৫ বছর ধরে ইংল্যান্ডেই বাস করছেন এনগ্যাম্বা। কিন্তু এখনও দেশটির নাগরিকত্ব পাননি ২৫ বছর বয়সী এই অ্যাথলেট। এত চড়াই–উৎরাই পেরিয়ে আসা এই বক্সারের হাত ধরেই শরণার্থী দল পেল প্রথম পদক। তার নামের সাথেই আছে বিজয়ী (উইনার) শব্দটি এবং তিনি জয়ীও হলেন প্যারিস অলিম্পিকে এসে। মাত্র একটি ব্রোঞ্জ জিতেই অনন্য কীর্তি গড়ে ফেললেন সিনডি উইনার জাঙ্কু এনগ্যাম্বা। বক্সিংয়ে মেয়েদের ৭৫ কেজি ওজন শ্রেণীতে ব্রোঞ্জ পেয়েছেন এনগ্যাম্বা। তাতেই ইতিহাস লিখে ফেলেছেন অলিম্পিক শরনার্থী দলের হয়ে খেলা এই বঙার। সারা বিশ্বের বাস্তুচ্যুত মানুষদের নিয়ে গড়া হয় অলিম্পিকসের শরণার্থী দল। ২০১৬ সাল থেকে ইন্টারন্যাশনাল অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন এই দল পরিচালনা করছে। এবার এই দলে আছে দেশহীন ৩৭ অ্যাথলেট। ২০১৬ সাল থেকে আইওসি শরনার্থী অলিম্পিক দলের হয়ে বৈশ্বিক ক্রীড়াযজ্ঞের সর্বোচ্চ আসরে অংশ নেয় তারা। এনগ্যাম্বা এই দলকে প্রথম পদক এনে দিলেন। সেমি–ফাইনালে পানামার প্রতিযোগীর বিপক্ষে ৪–১ ব্যবধানে হেরে যান এনগ্যাম্বা। বক্সিংয়ের নিয়ম অনুযায়ী সেমি–ফাইনালে হেরে যাওয়া দুই প্রতিযোগীই পান ব্রোঞ্জ।