ব্রিজ কালভার্টের নিচে পাইপলাইন পানি নিষ্কাশনে বড় বাধা

নগরীর ৭৫ স্থানে ওয়াসা গ্যাস টিএন্ডটি ও ইউটিলিটি পাইপ চিহ্নিত আটকে থাকা বর্জ্য ও পলির জন্য সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা ওয়াসার এমডির কাছে তালিকা হস্তান্তর সিডিএ চেয়ারম্যানের, দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান

হাসান আকবর | মঙ্গলবার , ২৮ মে, ২০২৪ at ৬:৩৫ পূর্বাহ্ণ

নগরীর ৭৫ স্পটে ওয়াসা, গ্যাস এবং টিএন্ডটিসহ ইউটিলিটি পাইপ বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনে বড় ধরনের বাধা হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। এর মধ্যে ৭৫টি ওয়াসার পাইপ বেশ বড় আকারে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছে। এসব পাইপের ব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ওয়াসা কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেছে সিডিএ। পাইপগুলোকে কেন্দ্র করে খাল এবং নালায় বর্জ্য ও পলির বিরাট আস্তর তৈরি হওয়ায় পানি চলাচলে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছে। চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইউনুছ প্রকৌশলী দলকে সাথে নিয়ে বিভিন্ন স্পটে সরজমিনে পাইপগুলো পরিদর্শন করেন।

সরজমিনে পরিদর্শনকালে তিনি দেখেন যে, খালগুলোতে পানি না থাকলেও শহরে পানি থৈ থৈ করছে। অথচ ড্রেন এবং নালা দিয়ে এসব পানি খালে চলে গেলে শহরে জলাবদ্ধতা হয় না। তিনি ড্রেন এবং নালা দিয়ে পানি নিষ্কাশন না হওয়ার কারণ খুঁজতে গিয়ে দেখতে পান যে, প্রতিটি ব্রিজের তলাতেই দুইটি থেকে সর্বোচ্চ চারটি পর্যন্ত মোটা মোটা পাইপ লাইন রয়েছে। যেগুলোর সাথে পলি এবং বর্জ্য জমে পানি নিষ্কাশনের পথ প্রায় পুরোপুরি বন্ধ করে দিয়েছে। তিনি একটি তালিকা প্রণয়ন করে গতকাল নিজে ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কার্যালয়ে গিয়ে সেই তালিকা হস্তান্তর করেন। ওয়াসার পাইপকেন্দ্রিক বর্জ্য ও পলির আস্তর সরানো হলে পানি নিষ্কাশনে গতিশীলতা তৈরি হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গত বছর কয়েক ধরে নগরীতে জলাবদ্ধতা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। প্রতিবছরই প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। বছরের পর বছর ধরে পানি ওঠেনি এমন বহু জায়গার বাসা বাড়িতে পানি থৈ থৈ করে। সাবেক সিটি মেয়র মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী গতকাল দৈনিক আজাদীকে ফোন করে বলেন, পাঁচলাইশে তিনি যে বাড়িতে থাকেন তাতে গত ৩৫ বছরে কোনদিন পানি ওঠেনি। অথচ গতকাল ওই বাড়ির ঘরের ভিতরে পানি থৈ থৈ করেছে। জলাবদ্ধতা নিরসনে শত শত কোটি টাকার প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হলেও পানির এমন বেহাল অবস্থা কেনো প্রশ্ন করেন মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী।

সূত্র বলেছে, ভয়াবহ রকমের জলাবদ্ধতায় প্রতিবছরই নাকাল হচ্ছে নগরবাসী। চট্টগ্রাম মহানগরীর সমস্যার তালিকায় প্রথম দিকে উঠে এসেছে জলাবদ্ধতার নাম। ভয়াল এই জলাবদ্ধতা থেকে নিস্তারের জন্য নানাভাবে চেষ্টা করা হলেও কার্যতঃ সব আয়োজনই মুখ থুবড়ে পড়ছে। কোটি কোটি টাকা ব্যয় করা হলেও বর্ষায় নগরের চেহারা অপরিবর্তিত থেকে যাচ্ছে।

চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিয়ে গতকাল মাঠে নামেন চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নয়া চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইউনুছ। তিনি সিডিএর প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস এবং অন্যান্য প্রকৌশলীদের একটি টিম নিয়ে সরজমিনে জলাবদ্ধতার পয়েন্টগুলো চিহ্নিত করার কাজ করেন। সিডিএ চেয়ারম্যানের নেতৃত্বাধীন টিম নগরীর পূর্ব নাসিরাবাদস্থ সিএন্ডবি মোড়ে হোটেল লর্ডস ইনের পাশের নালায় গিয়ে দেখতে পান বিপুল পরিমান পানি পাইপের জন্য সরছে না। ওখানে রাস্তার পাশের নালাটিতে ওয়াসার ১৮ ইঞ্চি ডায়ার একটি পাইপ রয়েছে। এরপাশে রয়েছে গ্যাস লাইনের ৬ ইঞ্চি ডায়ার অপর একটি পাইপ। পাশে রয়েছে ৬ ইঞ্চি ডায়ারা টিএন্ডটির একটি পাইপ। তিনটি পাইপে বিপুল পরিমান ময়লা এবং পলি জমে এক ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি করেছে। যাতে আন্ডারগ্রাউন্ড ড্রেন দিয়ে পানি নিষ্কাশন হচ্ছে একেবারে তির তির করে।

এর বিপরীত পাশে সানম্যার টাওয়ারের পাশের আন্ডারগ্রাউন্ড ড্রেনে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় ওয়াসার দুইটি ৮ ইঞ্চি ডায়ার পাইপ রয়েছে। এরপাশে রয়েছে গ্যাসের ৬ ইঞ্চি ব্যাসের অপর একটি পাইপ। এখানেও ময়লা আবর্জনায় অবস্থা বেহাল। ষোলশহর দুই নম্বর গেট কবরস্থানের পাশে একটি বক্স কালভার্ট দিয়ে পানি নিষ্কাশনের কথা। কিন্তু উক্ত বক্স কালভার্টের নিচে ওয়াসার দুইটি ৮ ইঞ্চি ব্যাসের পাইপ এবং গ্যাসের একটি ৬ ইঞ্চি ডায়ার পাইপ রয়েছে। এখানের অবস্থাও ময়লা আবর্জনায় নাজুক। দুই নম্বর গেট ভূমি অফিসের পাশের ড্রেনে বক্স কালভার্টের নিচে ওয়াসার ১৮ ইঞ্চি ব্যাসের ৩টি এবং গ্যাসের ৬ ইঞ্চি ব্যাসের ১টি পাইপ রয়েছে। ময়লা আবর্জনায় এমন ভয়াল পরিস্থিতি তৈরি হয়ে রয়েছে যে, বৃষ্টির সময় পানি নিষ্কাশনের পথ পাচ্ছিল না। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের পাশে কেয়ার ল্যাব ক্লিনিকের পাশে কালভার্টের নিচে ওয়াসা এবং গ্যাসের ৬ ইঞ্চি ডায়ার দুইটি পাইপ, পাঁচলাইশ জাতিসংঘ পার্কের পাশে কালভার্টের নিচে ওয়াসা এবং গ্যাসের ৬ ইঞ্চি ব্যাসের দুইটি পাইপ, কাতালগঞ্জ বৌদ্ধ মন্দিরের পাশে কালভার্টের নিচে ওয়াসার ৮ ইঞ্চি ডায়া, টিএন্ডটির ৬ ইঞ্চি ডায়ার এবং গ্যাসের ৬ ইঞ্চি ডায়ার ৩টি পাইপ, কাতালগঞ্জ আবাসিক এলাকার কালভার্টের নিচে ওয়াসার ৮ ইঞ্চি ডায়ার একটি এবং গ্যাসের ৬ ইঞ্চি ডায়ার ১টি পাইপ, চকবাজার বালি আর্কেডের পাশের কালভার্টের নিচে ওয়াসার ৮ ইঞ্চি ডায়ার ৩টি এবং গ্যাসের ৬ ইঞ্চি ডায়ার একটি পাইপ, চকবাজার নবাব হোটেলের পাশে কালভার্টে ওয়াসার ১৮ ইঞ্চি ব্যাসের ১টি, গ্যাসের ৬ ইঞ্চি ব্যাসের ১টি পাইপ, চকবাজার ফুলতলা ব্রিজের পাশের কালভার্টে ওয়াসার ১২ ইঞ্চি ব্যাসের ২টি এবং গ্যাসের ৬ ইঞ্চি ব্যাসের ১টি পাইপ, বাদুর তলা বড় গ্যারেজের পাশের ড্রেনে ওয়াসার ৮ ইঞ্চি ডায়ার ১টি, গ্যাসের ৬ ইঞ্চি ডায়ার ১টি পাইপ, বিবিরহাট ওয়ার্ড অফিসের পাশের কালভার্টে ওয়াসার ১০ ইঞ্চি ব্যাসের ১টি, গ্যাসের ৬ ইঞ্চি ব্যাসের ১টি এবং টিএন্ডটির ৬ ইঞ্চি ব্যাসের ১টি করে পাশাপাশি মোট ৩টি পাইপ, বায়েজিদ পাবলিক স্কুলের পাশের কালভার্টের নিচে ওয়াসার ১৮ ইঞ্চি ডায়ার ২টি, গ্যাসের ৬ ইঞ্চি ডায়ার একটি, টিএন্ডটির ৬ ইঞ্চি ডায়ার একটি মিলে পাশাপাশি মোট ৪টি পাইপ, হামজারবাগ এ আর সেন্টারের পাশে আন্ডারগ্রাউন্ড ড্রেনে ওয়াসার ১২ ইঞ্চি ব্যাসের ১টি, গ্যাসের ৬ ইঞ্চি ব্যাসের ১টি পাইপ, বায়েজিদ ফায়ার সার্ভিসের পাশের আন্ডারগ্রাউন্ড ড্রেনে ওয়াসার ৮ ইঞ্চি ব্যাসের ২টি, গ্যাসের ৬ ইঞ্চি ব্যাসের ১টি এবং টিএন্ডটির ৬ ইঞ্চি ব্যাসের ১টি মিলে পাশাপাশি মোট ৪টি পাইপ, দামপাড়া ২ নম্বর পল্টন রোডের কালভার্টের নিচে ওয়াসার ১২ ইঞ্চি ব্যাসের ১টি পাইপ, মতিঝর্ণা ১ নম্বর লেনের কালভার্টের নিচে ওয়াসার ১৮ ইঞ্চি ব্যাসের একটি পাইপ, লালখান বাজার কালভার্টের নিচে ওয়াসার ৮ ইঞ্চি ব্যাসের ১টি, টিএন্ডটির ৬ ইঞ্চি ব্যাসের ১টি এবং গ্যাসের ৬ ইঞ্চি ব্যাসের ১টি মিলে তিনটি পাইপ, আসকার দীঘির বাজার সংলগ্ন কালভার্টের নিচে ওয়াসার ১০ ইঞ্চি ডায়ার ১টি, গ্যাসের ৬ ইঞ্চি ডায়ার ১টি এবং টিএন্ডটির ৬ ইঞ্চি ডায়ার একটি মিলে পাশাপাশি তিনটি পাইপ, হেমসেন লেনের কালভার্টের নিচে ওয়াসার ১২ ইঞ্চি ডায়ার একটি পাইপ, জামাল খান শরীফ কলোনীর কালভার্টের নিচে ওয়াসার ১০ ইঞ্চি ডায়ার ১টি এবং ওয়াসার ৬ ইঞ্চি ডায়ার ১টি পাইপ, জামাল খান সিকদার হোটেলের পাশের কালভার্টের নিচে ওয়াসার ১২ ইঞ্চি ডায়ার ১টি, গ্যাস এবং টিএন্ডটির ৬ ইঞ্চি ডায়ার ২টি মিলে মোট ৩টি পাইপ, রহমতগঞ্জ আবদুস সাত্তার রোডের কালভার্টের নিচে ওয়াসার ১০ ইঞ্চি ডায়ার একটি, গ্যাস এবং টিএন্ডটির ৬ ইঞ্চি ডায়ার দুইটি মিলে মোট ৩টি পাইপ, জামাল খান কুসুম কুমারী স্কুলের পাশের কালভার্টে ওয়াসার ৮ ইঞ্চি ব্যাসের একটি এবং গ্যাসের ৬ ইঞ্চি ব্যাসের ১টি পাইপ, দেওয়ানবাজার জয়নব কলোনীর পাশের কালভার্টে ওয়াসার ৮ ইঞ্চি ব্যাসের একটি, গ্যাস এবং টিএন্ডটির ৬ ইঞ্চি ব্যাসের একটি করে মোট ৩টি পাইপ, দেওয়ানবাজার সিরাজউদ্দৌলা রোডের কালভার্টে ওয়াসার ১৮ ইঞ্চি ব্যাসের একটি পাইপ, দেওয়ান বাজার ইউনিয়ন ব্যাংকের পাশের কালভার্টে ওয়াসার ১৮ ইঞ্চি ব্যাসের ১টি, টেরিবাজার স্বর্ণপট্টিতে ওয়াসার ১৮ ইঞ্চি ব্যাসের একটি, পাথরঘাটা ব্রিক ফিল্ড এলাকার কালভার্টের নিচে ওয়াসার ১২ ইঞ্চি ব্যাসের ১টি এবং টিএন্ডটির ৬ ইঞ্চি ব্যাসের ১টি পাইপ, পাথরঘাটা আশ্রাফ আলী রোডে ব্রিজের নিচে ওয়াসার ১২ ইঞ্চি ব্যাসের ১টি, গ্যাসের ৬ ইঞ্চি ব্যাসের একটি পাইপ, চান্দগাঁও আবাসিক বি ব্লকের কালভার্টের নিচে ওয়াসার ১২ ইঞ্চি ব্যাসের ১টি এবং গ্যাস ও টিএন্ডটির ৬ ইঞ্চি ব্যাসের ২টি মিলে মোট ৩টি পাইপ, হাজিরপুলে কালভার্টের নিচে ওয়াসার ১২ ইঞ্চি ব্যাসের ১টি, গ্যাসের ৬ ইঞ্চি ব্যাসের একটি পাইপ, চান্দগাঁও আবাসিক বি ব্লকের কালভার্টের নিচে ওয়াসার ১২ ইঞ্চি ব্যাসের ১টি এবং গ্যাস ও টিএন্ডটির ৬ ইঞ্চি ব্যাসের ২টি মিলে মোট ৩টি পাইপ, আশেকানে আউলিয়া ডিগ্রি কলেজ সংলগ্ন কালভার্টে ওয়াসার ৮ ইঞ্চি ব্যাসের ১টি, গ্যাসের ৬ ইঞ্চি ব্যাসের একটি পাইপ, হামজার বাগ সংগীত মোড় পেট্রোল পাম্পের পাশে কালভার্টের নিচে ওয়াসার ১০ ইঞ্চি ব্যাসের একটি পাইপ, পুলিশ লাইনের পাশে আজব বাহার খালের কালভার্টের নিচে ওয়াসার ১২ ইঞ্চি ব্যাসের ১টি এবং গ্যাসের ৬ইঞ্চি ব্যাসের ১টি পাইপ, ডিটি রোড হযরত মনসুর আলী শাহ (রঃ) মাজার সংলগ্ন কালভার্টে ওয়াসার ১২ ইঞ্চি ব্যাসের ১টি, গ্যাসের ৬ ইঞ্চি ব্যাসের একটি পাইপ, বায়েজিদ ফকির পাড়া মসজিদ সংলগ্ন কালভার্টে ওয়াসার ১২ ইঞ্চি ব্যাসের একটি পাইপ, বিবিরহাট আবাসিকের কালভার্টের নিচে ওয়াসার ১২ ইঞ্চি ব্যাসের একটি পাইপ, অক্সিজেন মুক্তিযোদ্ধা অফিস সংলগ্ন কালভার্টের নিচে ওয়াসার ১২ ইঞ্চি ব্যাসের ১টি পাইপ, অক্সিজেন রোড জহির এন্ড ব্রাদাস সংলগ্ন কালভার্টের নিচে ওয়াসার ১৮ ইঞ্চি ব্যাসের ১টি এবং গ্যাসের ৬ ইঞ্চি ব্যাসের ১টি পাইপ, বায়েজিদ রোড বিএসআরএম সংলগ্ন আন্ডারগ্রাউন্ড কালভার্টের নিচে ওয়াসার ১৮ ইঞ্চি ব্যাসের ১টি এবং গ্যাসের ৬ ইঞ্চি ব্যাসের একটি পাইপ, ২ নম্বর গেট সিডিএ বিল্ডিং এর পাশের কালভার্টের নিচে ওয়াসার ১৮ ইঞ্চি ব্যাসের ১টি এবং গ্যাসের ৬ ইঞ্চি ব্যাসের একটি পাইপ, হাটহাজারী রোডের মাহমুদ উকিলের বাড়ির পাশের আন্ডারগ্রাউন্ড ড্রেনে ওয়াসার ১২ ইঞ্চি ব্যাসের ১টি এবং গ্যাস ও টিএন্ডটির ৬ইঞ্চি ব্যাসের ২টি মিলে মোট ৩টি পাইপ, জামালখান লেনের কালভার্টের নিচে ওয়াসার ১২ ইঞ্চি ব্যাসের ১টি এবং গ্যাস ও টিএন্ডটির ৬ইঞ্চি ব্যাসের ২টি মিলে মোট ৩টি পাইপ, জামালখান বাই লেনের কালভার্টের নিচে ওয়াসার ১৮ ইঞ্চি ব্যাসের ১টি এবং গ্যাস ও টিএন্ডটির ৬ইঞ্চি ব্যাসের ২টি মিলে মোট ৩টি পাইপ, জামালখান দাওয়াত হোটেলের পাশের কালভার্টের নিচে ওয়াসার ১৮ ইঞ্চি ব্যাসের ১টি এবং গ্যাস ও টিএন্ডটির ৬ইঞ্চি ব্যাসের ২টি মিলে মোট ৩টি পাইপ, টেরিবাজারের কোরবানিগঞ্জ কালভার্টের নিচে ওয়াসার ১৮ ইঞ্চি ব্যাসের ১টি এবং গ্যাসের ৬ইঞ্চি ব্যাসের ১টি পাইপ, পাঠানটুলি গার্লস স্কুলের পাশের কালভার্টের নিচে ওয়াসার ১২ ইঞ্চি ব্যাসের ১টি এবং গ্যাসের ৬ ইঞ্চি ব্যাসের একটি পাইপ, শেখ মুজিব রোড আগ্রাবাদে কালভার্টের নিচে ওয়াসার ১২ ইঞ্চি ব্যাসের ১টি এবং গ্যাস ও টিএন্ডটির ৬ইঞ্চি ব্যাসের ২টি মিলে মোট ৩টি পাইপ, হালিশহরের ওয়াপদার মোড়ের কালভার্টের নিচে ওয়াসার ১২ ইঞ্চি ব্যাসের ১টি পাইপ, নয়াবাজার বিশ্বরোড মোড়ের কাছে আন্ডারগ্রাউন্ড ড্রেনে ওয়াসার ১২ ইঞ্চি ব্যাসের একটি পাইপ,

আজব বাহার খালের মাথায় কলকা সিএনজি পেট্রোল পাম্পের পাশের কালভার্টের নিচে ওয়াসার ১২ ইঞ্চি ব্যাসের ১টি এবং গ্যাসে ৬ ইঞ্চি ব্যাসের ১টি পাইপ, অলংকার এস আলম কাউন্টারের পাশের আন্ডারগ্রাউন্ড ড্রেনের নিচে ওয়াসার ১২ ইঞ্চি ব্যাসের ১টি এবং গ্যাসে ৬ ইঞ্চি ব্যাসের ১টি পাইপ, পাহাড়তলী সরাইপাড়া গয়নাছড়া খালের কালভার্টের নিচে ওয়াসার ১৮ ইঞ্চি ব্যাসের ১টি এবং গ্যাস ও টিএন্ডটির ৬ ইঞ্চি ব্যাসের ২টি মিলে মোট ৩টি পাইপ, বায়েজিদ রোড রুবি গেটের আন্ডারগ্রাউন্ড ড্রেনে ওয়াসার ১৮ ইঞ্চি ব্যাসের ১টি পাইপ, বহদ্দারহাট ন্যাশনাল স্কুল এন্ড কলেজের পাশের কালভার্টের নিচে ওয়াসার ১৮ ইঞ্চি ব্যাসের ১টি এবং গ্যাসের ৬ইঞ্চি ব্যাসের ১টি পাইপ, বহদ্দারহাট পুলিশ বক্সের পাশে কালভার্টের নিচে ওয়াসার ১৮ ইঞ্চি ব্যাসের ১টি পাইপ, বাদুরতলা বড় গ্যারেজের পাশে আন্ডারগ্রাউন্ড ড্রেনে ওয়াসার ১৮ ইঞ্চি ব্যাসের একটি এবং গ্যাসের ৬ইঞ্চি ব্যাসের ১টি পাইপ মিলে নগরীর বিভিন্ন ড্রেন ও কালভার্টের নিচে ভয়াবহ অবস্থা বিরাজ করছে। চাক্তাই খালের শাখা খাল বাকলিয়া বউবাজার সিদ্দিক ভিলার পাশের কালভার্টের নিচে দীর্ঘদিন যাবত ময়লা ফেলতে ফেলতে পুরো কালভার্টই ভরাট হয়ে রয়েছে। বউবাজার ডেইল বাড়ি এলাকার ড্রেনের চিহ্নই মুছে গেছে। বহদ্দারহাট মীর্জা খাল এবং কাঁচাবাজার এলাকায় ময়লা আবর্জনায় খালই ভরাট হয়ে রয়েছে। এভাবে নগরীর প্রতিটি খাল ও ড্রেনের উপর নির্মিত ব্রিজ এবং কালভার্টের নিচে ওয়াসা, গ্যাস এবং টিএন্ডটির পাইপ লাইন থাকায় তাতে ময়লার পাহাড় জমে রয়েছে। গতকাল সরজমিনে পরিদর্শনকালে এসব পাইপের সাথে আস্ত ড্রাম আটকে থাকার দৃশ্যও সিডিএর চেয়ারম্যানের নজরে ধরা পড়ে।

দৈনিক আজাদীর সাথে আলাপকালে সিডিএ চেয়ারম্যান বলেন, খাল কিংবা ড্রেনের কালভার্টের নিচে ইউটিলিটি পাইপ থাকবে। এগুলো বাদ দিয়ে নগরজীবন কল্পনা করা যাবে না। তবে এগুলোতে যাতে ময়লার পাহাড় সৃষ্টি না হয় তা নিশ্চিত করা যেতে পারে। নগরীর বিভিন্ন ব্রিজ এবং কালভার্টের নিচে পাইপের সাথে যে পরিমান বর্জ্য, পলি এবং ড্রাম আটকে রয়েছে সেগুলো সরানো সম্ভব হলে নগরীর জলাবদ্ধতার বহুলাংশ হ্রাস করা যাবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন। তিনি গতকাল নিজেই তালিকাটি নিয়ে ওয়াসার এমডি ইঞ্জিনিয়ার একেএম ফজলুল্লাহর সাথে সাক্ষাৎ করে হস্তান্তর করেন বলেও জানান। তিনি ওয়াসার এমডিকে পাইপকেন্দ্রিক ময়লা আবর্জনার ভাগাড় অপসারণের ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার অনুরোধ করেছেন।

সাক্ষাৎকালে সিডিএ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইউনুছ ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালকের উদ্দেশে বলেন, সিডিএর প্রকৌশল টিম নগরীতে সামান্য বৃষ্টিতে পানি জমে যাওয়ার কারণ সরেজমিন অনুসন্ধান করতে গিয়ে বাধা হিসেবে বিভিন্ন খাল, নর্দমা ও নালার ৭৫ টি স্পটে ওয়াসার পাইপ চিহ্নিত করেন। এসব পাইপের সাথে পলি বর্জ্য জমে বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনে বাধার সৃষ্টি হয়ে পানি জমে যায়। অথচ এসময় সংলগ্ন খালে পানি থাকে না। তিনি বলেন, বাধা হিসেবে চিহ্নিত পানি সরবরাহ পাইপগুলো বৃষ্টির পানি নিষ্কাশন উপযোগী করলে সামান্য বৃষ্টিতে আর পানি জমবে না। এতে নগরবাসীর দুর্ভোগ থেকে অনেকাংশে রক্ষা পাবে।

ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার একেএম ফজলুল্লাহ তালিকা গ্রহণ করে জরুরি ভিত্তিতে পাইপ লাইনগুলো সংস্কারের আশ্বাস দেন। তিনি বলেন, নগরবাসীর দুর্ভোগ লাঘবে সংস্থাগুলো পরস্পরের সাথে সমন্বয় করে একযোগে কাজ চালিয়ে যাবে। ওয়াসার এমডির সাথে সিডিএ চেয়ারম্যানের সাক্ষাৎকালে সিডিএর প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস, নির্বাহী প্রকৌশলী রাজীব দাশ, প্রকৌশলী নিয়াজ মামুনসহ শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধশাহ আমানত বিমানবন্দরে স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু
পরবর্তী নিবন্ধঘূর্ণিঝড় রেমাল কেড়ে নিল ১২ প্রাণ