ব্রাহ্মক্ষণবাড়িয়ায় হেফাজতের তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত সোনার বাংলা এক্সপ্রেসের ১৪টি কোচ আবার মেরামত করে আগের মতোই নতুন রূপ দেয়া হয়েছে। গত ২৮ মার্চ হেফাজতের তাণ্ডবে সোনার বাংলা এক্সপ্রেসের ১৪টি কোচে ২৭৫টি গ্লাসের মধ্যে ১০৮টি গ্লাস ভেঙ্গে চুরমার করে দেয়া হয়। পরদিন ট্রেনটি পাহাড়তলী কারখানায় মেরামতের জন্য আনা হয়। কারখানায় শ্রমিকরা দিনরাত পরিশ্রম করে ট্রেনটি আগের অবয়বে ফিরিয়ে এনেছেন বলে জানিয়েছেন রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের প্রধান যান্ত্রিক প্রকৌশলী বোরহান উদ্দিন। এ ব্যাপারে তিনি গতকাল আজাদীকে জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত সোনার বাংলা এক্সপ্রেসের কোচগুলো মেরামত করা হয়েছে। ১৪টি কোচের ১০৮টি গ্লাস ভেঙ্গে ফেলা হয়েছিল। কারখানায় এগুলো সব মেরামত করা হয়েছে। আগের মতো চলবে। লকডাউন উঠে গেলে ট্রেন চলাচল যখন স্বাভাবিক হবে তখন আগের মতোই ইন্দোনেশিয়া থেকে আমদানিকৃত লাল-সবুজের নতুন বগিতে সোনার বাংলা চলাচল করবে। ৫ বছর আগে ইন্দোনেশিয়া থেকে আমদানিকৃত লাল সবুজের কোচ দিয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ের সবচেয়ে আধুনিক ও দ্রুতগতির ট্রেন সোনার বাংলা এঙপ্রেস সাজানো হয়েছে। পাহাড়তলী কারখানার ব্যবস্থাপকের কাছ থেকে জানা গেছে, পুরো ট্রেনের মোট ৭০ শতাংশ গ্লাস ক্ষতি হয়েছে। বাইরের থেকে পাথরের আঘাতে জানালার গ্লাস ভেঙ্গে ভেতরেও লেগেছে। প্রায় ১৫দিন ব্যাপী কারখানার শ্রমিকরা বগিগুলো মেরামত করে আগের মতোই নতুন রূপ দান করেছেন।