জিতলেই শিরোপার আরো কাছে চলে যেতো প্রিমিয়ারে নবাগত দল কিষোয়ান স্পোর্টিং ক্লাব। কিন্তু তা হয়নি। গতবারের রানার্স আপ ব্রাদার্স ইউনিয়নের সাথে ১–১ গোলে ড্র করে শিরোপা জয়ের অপেক্ষা আরো বাড়িয়েছে তারা। গতকাল বুধবার এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত গুরুত্বপূর্ণ খেলায় প্রথমার্ধে কিষোয়ান এগিয়ে গেলেও দ্বিতীয়ার্ধে ব্রাদার্স ইউনিয়ন গোল শোধ করে দেয়। এ ড্রয়ের ফলে কিষোয়ানের ৮ খেলা শেষে পয়েন্ট দাঁড়িয়েছে ১৬। তারা প্রথম চারটি খেলায় টানা জয় পেয়েছে এবং শেষ চারটি খেলা টানা ড্রতে শেষ করেছে। লিগ শিরোপার পথে তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী গতবারের চ্যাম্পিয়ন মাদারবাড়ি উদয়ন সংঘের পয়েন্টও এখন ৮ খেলা শেষে ১৬। দু’দলেরই একটি করে খেলা বাকি আছে। শেষ খেলায় কিষোয়ান খেলবে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন একাদশের সাথে। অন্যদিকে মাদারবাড়ি উদয়ন সংঘ খেলবে ব্রাদার্স ইউনিয়নের সাথে। এই দুই খেলায় নির্ধারিত হবে কোন দল শিরোপার মুকুট মাথায় নেবে। উদয়ন সংঘ এবারের লিগে পরাজয়ের মুখ দেখলেও কিষোয়ান এখনো লিগের অপরাজিত দল। সিডিএফএ সভাপতি এস এম শহীদুল ইসলাম জানান, যদি সর্বশেষ খেলার পরে দু’দলের পয়েন্ট সমান হয়ে যায় সেক্ষেত্রে শিরোপা নির্ধারনে দু’দলের গোল এভারেজ দেখা হবে। তাতেও যদি সমাধান না মিলে তবে হেড টু হেড দেখা হবে। তাতেও যদি কাজ না হয় তবে দু’দলকে লটারীর মাধ্যমে নিজেদের ভাগ্য যাচাই করতে হবে।
গতকাল খেলার শুরু থেকেই কিষোয়ান আক্রমন শানায় ব্রাদার্স ইউনিয়ন গোলমুখে। একের পর এক আক্রমন করে ব্যতিব্যস্ত করে তোলে তারা ব্রাদার্স রক্ষণভাগকে। ৯ মিনিটে তারা সফলতা পায়। একটি আক্রমন থেকে কয়েক পা ঘুরে বল যায় জুয়েল রানার কাছে। রানা সুযোগের সদ্ব্যবহার করেন। বল তার শটে জালে প্রবেশ করে। এগিয়ে যায় কিষোয়ান (১–০)। এ গোলের পর কিষোয়ান অসংখ্য আক্রমন রচনা করে ব্রাদার্স গোলমুখে। কিন্তু গোলদাতার অভাব ছিল তাদের। তাই গোল পাওয়া হয়নি। তার খেসারত তাদের দিতে হয়েছে শেষ পর্যন্ত। খেলার ১৬ মিনিটে কিষোয়ানের নিশ্চিত গোল রক্ষা করেন ব্রাদার্স কিপার শাওন। ২৫ মিনিটে কিষোয়ানের আবির বল বাড়িয়ে দেন আল আমিনের উদ্দেশে। আল আমিন খুব কাছ থেকে কিপারের হাতে মেরে দেন। বল প্রতিহত হয়ে কর্ণার হয়ে যায়। সে কর্ণার থেকে নাঈমউদ্দিন বল পেলেও উপরে মেরে দিয়ে আরেকটি সুযোগ নষ্ট করেন। প্রথমার্ধের শেষ দিকে ব্রাদার্স আক্রমনে উঠে। মিনহাজের ক্রস বঙে পড়লে আনিসুরের দৃঢ়তায় কিষোয়ান রক্ষা পায়। পরবর্তীতে কর্ণার থেকে আসা বল রাফু ক্লিয়ার করেন। এ অর্ধের একেবারে শেষ মুহূর্তে কিষোয়ানের নাইম উদ্দিনের মাটি কামড়ানো শট বারের বাইরে দিয়ে চলে যায়। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই খেলায় ফিরে আসে ব্রাদার্স ইউনিয়ন। এ অর্ধের দ্বিতীয় মিনিটে একটি আক্রমনে দিদারের কাছ থেকে বল পেয়ে বদলি মিনহাজ হেডে কিষোয়ান কিপার আবদুল্লাহ আল মামুন শামীমকে পরাভূত করেন (১–১)। এ গোলের পর কিষোয়ান মরিয়া হয়ে উঠে। ৫ম মিনিটে নাইম ব্রাদার্স কিপারের হাতে বল তুলে দেন। ৩০ মিনিটে কিষোয়ানের বদলি রাশেদ সুমনের শট ব্রাদার্স কিপার শাওন রক্ষা করেন। আবারো আক্রমন হলে ব্রাদার্স রক্ষা পায় একরামের ডিফেন্সে। ৩৮ মিনিটে ব্রাদার্স আক্রমনে উঠে। ডান প্রান্ত দিয়ে ঢুকে সুজনের দুর্দান্ত শট সাইডবারে লেগে যদি প্রতিহত না হতো তবে খেলার ফলাফল অন্যরকমও হতে পারতো। ব্রাদার্স ৮ খেলা শেষে ১১ পয়েন্ট পেয়েছে। গতকালের খেলায় ম্যাচ সেরা নির্বাচিত হন ব্রাদার্স ইউনিয়নের গোলরক্ষক শাওন। খেলা শেষে তার হাতে ম্যান অব দ্যা ম্যাচের পুরস্কার তুলে দেন সিজেকেএস কাউন্সিলর মো. আনোয়ারুল ইসলাম।
আজ বিকাল ৩টায় চট্টগ্রাম বন্দর ক্রীড়া সমিতি এবং মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্র পরস্পরের মোকাবেলা করবে।