দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে শেষ ষোলোর ম্যাচে প্রথমার্ধে রীতিমত গোল উৎসবে মেতেছিল ব্রাজিল। এক একটি গোল দিচ্ছিল, আর উদযাপন করছিল নেচে নেচে। এমনকি ব্রাজিলিয়ান কোচ তিতেকেও এক পর্যায়ে সেই নাচে শামিল হতে দেখা যায়। যে বিষয়গুলো দৃষ্টিকটু লেগেছে আয়ারল্যান্ডের সাবেক মিডফিল্ডার ও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড কিংবদন্তি রয় কিনের। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ‘আইটিভি’কে তিনি বলেন, ‘দেখে বিশ্বাস হচ্ছিল না। জীবনে এত নাচ দেখিনি।
মনে হচ্ছিল স্ট্রিকলি কাম ড্যান্সিং (ব্রিটিশ নাচের অনুষ্ঠান) দেখছি। আমি জানি এটা ওদের সংস্কৃতির অংশ। তবে প্রতিপক্ষের প্রতি এটা সত্যিই অসম্মানজনক। আজ শুক্রবার কোয়ার্টার ফাইনালে ক্রোয়েশিয়ার মুখোমুখি হবে ব্রাজিল। স্বাভাবিকভাবে ক্রোয়েশিয়ার সংবাদ সম্মেলনেও এলো সেই নাচের প্রসঙ্গ।
তবে দলটির ডিফেন্ডার দেজান লভরেন মনে করছেন না, নাচের মধ্যে প্রতিপক্ষকে অসম্মানের কিছু আছে। নিজের ক্লাব জেনিথ সেন্ট পিটার্সবার্গে ব্রাজিলের বেশ কয়েকজন ফুটবলারের সঙ্গে খেলেন লভরেন। ব্রাজিলিয়ানদের সংস্কৃতি সম্পর্কে তাই ভালোই ধারণা আছে লিভারপুলের সাবেক এই ডিফেন্ডারের।
লভরেন বলেন, সত্যি করে বলতে, উদযাপনের জন্য যে যা খুশি করতে পারে। এটাতে সমস্যার কিছু নেই। আমি এর মধ্যে অসম্মানের কিছু দেখি না। আমার মনে হয় ব্রাজিলিয়ানরা জন্মই নেয় নাচে, গানে। এটা তাদের সংস্কৃতির অংশ।