টস হেরে পরে ব্যাটিং পেয়ে মেহেদী হাসান মিরাজ বললেন, ২৪০–২৫০ রানের লক্ষ্য এখানে তাড়া করার মতো। আফগানিস্তান করতে পারল কেবল ১৯০। আবুধাবির এই মাঠে আগে ব্যাট করে এত কম রান নেই আর কোনো দলের। অবিশ্বাস্যভাবে, সবচেয়ে কম রান তাড়ায় বিশাল ব্যবধানে ম্যাচ হেরে গেল মিরাজের দল! সবশেষ ১১ওয়ানডের ১০টি হারল তারা।
একের পর এক ব্যাটসম্যানের বাজে শট, নড়বড়ে টেকনিক, ব্যাখ্যাতীত রান আউট, ম্যাচ সচেতনতার দৃষ্টিকটূ ঘাটতি, সবকিছুর যোগফল বিব্রতকর ব্যাটিং ব্যর্থতা। সিরিজে সমতা ফেরানোর চ্যালেঞ্জে লড়াই করতেও পারল না বাংলাদেশ। থেমে গেল মাত্র ১০৯ রানে। ৮১ রানের জয়ে এক ম্যাচ বাকি রেখেই সিরিজ জিতে নিল আফগানিস্তান। সিরিজের শেষ ম্যাচ মঙ্গলবার।
টপ অর্ডারের ব্যর্থতা ভুগিয়েছে টাইগারদের। ইনিংসের প্রথম ওভারে তানজিদ হাসান শূন্য রানে আউট হন। কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে তোলেন সাইফ হাসান, কিন্তু ২২ রানে তাকে ফেরান ওমরজাই। নাজমুল হোসেন শান্ত মাত্র ৭ রানে রান আউট হন। তাওহীদ হৃদয় কিছুটা লড়াই করলেও ২৪ রানের বেশি করতে পারেননি। এরপর দ্রুত ফিরে যান মেহেদী হাসান মিরাজ (৪) ও জাকের আলি (১৮)। মিডল অর্ডারের কোনো ব্যাটারই বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। অন্যদিকে আফগান বোলার রশিদ খান ছিলেন দুর্দান্ত। তিনি একাই তুলে নেন ৫ উইকেট। এছাড়া ওমরজাই নেন ৩ উইকেট।
এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে আফগান ওপেনাররা শুরু থেকেই চাপে ছিলেন। মাত্র ১৮ রানে প্রথম উইকেট হারায় তারা। রহমানউল্লাহ গুরবাজকে ১১ রানে তানজিম সাকিব ফিরিয়ে দেন। এরপর সেদিকুল্লাহ আতাল (৮) দ্রুত আউট হলে আফগান শিবিরে চাপ আরও বেড়ে যায়। তবে একপ্রান্ত আগলে রেখেছেন ইব্রাহিম জাদরান, ১৪০ বল খেলে ৯৫ রানের ইনিংস উপহার দেন। বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল ছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ, ১০ ওভারে মাত্র ৪২ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন। তানজিম হাসান সাকিব ৭ ওভারে ৩৫ রানে ২ উইকেট নেন। এছাড়া রিশাদ হোসেন ২ এবং তানভীর ইসলাম ১ উইকেট পান।