ব্যাটিংয়ে আবার ব্যর্থ হলেন সাকিব বোলিংয়ে পাঁচশ উইকেটের আরো কাছে

স্পোর্টস ডেস্ক | শুক্রবার , ২২ আগস্ট, ২০২৫ at ৮:০২ পূর্বাহ্ণ

ব্যাটিংটা কোনোভাবেই ঠিকঠাক হচ্ছে না সাকিব আল হাসানের। ছন্দ খুঁজে পাচ্ছেন না একদমই। ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (সিপিএল) আরও একটি ম্যাচে ব্যাট হাতে ধুঁকলেন বাংলাদেশের অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার। বল হাতে অবশ্য আসরের প্রথম শিকারের দেখা তিনি পেলেন। কিন্তু এক ওভার ভালো বোলিং করেও পেলেন না আর হাত ঘোরানোর সুযোগ। ম্যাচটি সাকিবদের জন্য শেষ হয়েছে দারুণভাবে। কাইরন পোলার্ডের শেষের ঝড় সামলে শামার স্প্রিঙ্গারের দুর্দান্ত শেষ ওভারে জিতেছে অ্যান্টিগা অ্যান্ড বারবুডা ফ্যালকনস। ৮ রানে হারিয়েছে তারা ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্সকে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালের ম্যাচটিতে সাকিব আউট হন ১৩ বলে ৭ রান করে। বোলিংয়ে ১ ওভারে ২ রান দিয়ে ১টি উইকেট নিয়েছেন। টিটোয়েন্টি ক্রিকেটে ৪৯৮ উইকেট নিয়ে এই টুর্নামেন্ট শুরু করা সাকিব অবশেষে ৫০০ উইকেটের আরেকধাপ কাছে যেতে পারলেন। আগের দুই ম্যাচে সাকিবের রান ছিল ১৬ বলে ১১ ও ১৩ বলে ১৩। দুই ম্যাচেই এক ওভার করে বোলিংয়ে উইকেট ছিল না একটিও। আরেকটি ম্যাচ ভেস্তে যায় বৃষ্টিতে।

অ্যান্টিগার স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডস স্টেডিয়ামে এই ম্যাচে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা অ্যান্টিগা অ্যান্ড বারবুডা ২০ ওভারে তোলে ১৬৭ রান। প্রথম পাঁচ ব্যাটসম্যানের কেউ যদিও ভালো করতে পারেননি। ওপেনিংয়ে জুয়েল অ্যান্ড্রু ২২ রান করেন ২৫ বলে। ব্যর্থ হন রাকিম কর্নওয়াল (৯ বলে ৯), কারিমা গোর (১১ বলে ১০) ও বেভন জ্যাকবস (১১ বলে ৮)। সাকিব পাঁচে নেমে টাইমিং করতে পারছিলেন না ঠিকঠাক। হেড পজিশন ঠিক রাখতে যথারীতি হেলমেটের স্ট্র্যাপ কামড়ে রেখে ব্যাটিং করলেন, কিন্তু চেনা রূপে ফিরতে পারলেন না। প্রথম ৮ বলে ২ রান করার পর একটি বাউন্ডারি পান তিনি সুনিল নারাইনের বলে ব্যাটের কানায় লেগে। পরের ওভারেই উসমান তারিকের স্পিনে আউট হন তিনি শর্ট ফাইন লেগে ক্যাচ দিয়ে। তবে পরের দিকের ব্যাটসম্যানরা দারুণ খেলে দলকে লড়িয়ে স্কোর এনে দেন। অধিনায়ক ইমাদ ওয়াসিম অপরাজিত থাকেন ২৭ বলে ৩৯ রান করে। সাতে নেমে ফ্যাবিয়ান অ্যালেন করেন তিনটি করে চার ও ছক্কায় ২০ বলে ৪৫। স্প্রিঙ্গার অপরাজিত থাকেন ৫ বলে ১০ করে। প্রথম ১৩ ওভারে ৭৪ রান করা দল পরের ৭ ওভারেই তোলে ৯৩ রান।

ত্রিনবাগোর তাড়া শুরু হয় কলিন মানরোর ব্যাটিং তাণ্ডবে। অ্যালেঙ হেলস যদিও ১০ বলে ৫ করে আউট হন, কিন্তু মানরো একাই বাড়াতে থাকেন রান। পঞ্চম ওভারেই ৫০ ছুঁয়ে ফেলে দল। তবে ওবেড ম্যাককয় এক ওভারেই দুই উইকেট নিয়ে ম্যাচে ফেরান দলকে। আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান মানরো এবার ফেরেন ১৮ বলে ৪৪ রান করে। এরপর নিকোলাস পুরান (১৪ বলে ১০) পারেননি জ্বলে উঠতে। ত্রয়োদশ ওভারে আক্রমণে এসে সাকিব বিদায় করেন ড্যারেন ব্রাভোকে। স্বেচ্ছা নির্বাসন থেকে প্রায় দুই বছর পর এই ম্যাচ দিয়েই ফেরা ব্যাটসম্যান ফেরেন ৮ বলে ২ রান করে। ৩৫ বলে ৩১ রান করা কেসি কার্টিকে থামান ম্যাককয়। শেষ তিন ওভারে ৫১ রান প্রয়োজন ছিল ত্রিনবাগোর। পোলার্ডের রান তখন ১৪ বলে ১১। এরপরই তিনি আপন রূপে আবির্ভুত হন। ১৮তম ওভার থেকে আসে ১৫ রান। ১৯তম ওভারে তিনি পেয়ে বসেন চার উইকেট নেওয়া ম্যাককয়কে। বাঁহাতি পেসারের ওভার থেকে তিন ছক্কা ও এক চারে রান নেন তিনি ২২। শেষ ওভারে দরকার পড়ে ১৪ রানের। কিন্তু তা নিতে পারেনি ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্স।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচার সিনিয়রকে ছাড়াই এশিয়া কাপ হকিতে বাংলাদেশ
পরবর্তী নিবন্ধবিসিবি নির্বাচন : সভাপতি পদের লড়াই থেকে সরে দাঁড়ালেন মাহবুব আনাম