ব্যাটাররা বোর্ডে লড়াই করার মতো পুঁজি দিতে পারেননি। আবুধাবিতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে ২২১ রানেই অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ। বোলাররা ৪৭.১ ওভার পর্যন্ত আফগানদের আটকে রেখেও শেষ পর্যন্ত পারেননি। ৪ উইকেটে হেরে সিরিজ শুরু করেছে টাইগাররা। কোথায় হেরেছে বাংলাদেশ? অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ ম্যাচ শেষে দুষলেন ব্যাটারদেরই। মিরাজ বলেন শেষদিকে আমরা জুটি পাইনি। সেখানেই সমস্যাটা হয়েছে। এই উইকেটে ব্যাট করা কঠিন ছিল। উইকেটে কিছুটা টার্ন ছিল। তবে যদি ২৬০ রানের বেশি করতে পারতাম তাহলে ভালো হতো। আমাদের ভালো বোলার আছে। কিন্তু তাদের হাতে যথেষ্ট রান তুলে দিতে পারিনি। সিরিজের প্রথম ম্যাচেই হার। ২০২৭ বিশ্বকাপের জন্য বাছাইপর্ব যাতে খেলতে না হয়, সেজন্য এই সিরিজটা জেতা বাংলাদেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মিরাজ ঘুরে দাঁড়ানোর ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী। তিনি বলেন আমাদের সুযোগ আছে এখনো। এক ম্যাচ গেছে। আরও দুটি বাকি আছে। কিছু ভুল করেছি, যত দ্রুত সম্ভব এগুলো থেকে শিখব। আমি আত্মবিশ্বাসী ক্রিকেটাররা পরের ম্যাচে ভালো করবে।
মেহেদী হাসান মিরাজ স্বীকার করেছেন আরো অন্তত ৪০ রান করতে পারলে ম্যাচের চিত্র ভিন্ন হতে পারতো। সেই পরিচিত ব্যাটিং ধসে আরো একবার বাংলাদেশ পরাজয় বরণ করতে বাধ্য হয়। টি–২০ সিরিজে বাংলাদেশ ৩–০ ব্যবধানে জেতার পর ওয়ানডেতেও জয় দিয়ে সিরিজ শুরুর প্রত্যাশা করেছিল। ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে মিরাজ বলেছেন, ‘প্রথম ১৫ ওভারে আমরা বেশ কিছু উইকেট হারিয়েছি। আরো অন্তত ৪০ রান করা জরুরী ছিল।
আমি বলতে চাইছি ২৬০’র বেশী রান করতে পারলে সেটা অবশ্যই ভাল হতো। কারণ আমাদের বোলিং বিভাগ শক্তিশালী। সমস্যা হয়েছে শেষের দিকে বড় পার্টনারশীপ করতে না পারা। ওয়ানডে অভিষেকে সাইফ হাসানের কাছ থেকে আরো ভাল পারফরমেন্স আশা করা হয়েছিল। বিশেষ করে টি–২০ ফর্মেটে তিনি বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে আস্থা অর্জন করেছিলেন। কিন্তু মাত্র ২৬ রানে আউট হয়ে সাইফ নিজেকে এগিয়ে নিতে পারেননি। আরেক ওপেনার তানজিদ হাসান তামিমও মাত্র ১০ রানে ও নাজমুল হোসেন শান্ত ২ রানে আউট হলে বাংলাদেশের স্কোর দাঁড়ায় ৩ উইকেটে ৫৩। চতুর্থ উইকেটে মিরাজ ও তাওহিদ হৃদয় মিলে ১০১ রানের জুটি গড়ে তুলেন। এই জুটি বাংলাদেশকে বড় রানের স্বপ্ন দেখায়। কিন্তু হাফ সেঞ্চুরি উপহার দিয়ে দুজনেই দ্রুত সাজঘরের পথ ধরলে বাংলাদেশের ইনিংসে ধস নামে। মিরাজ বলেন উইকেটে কিছুটা টার্ন ছিল। আমরা ঐ সময়টা বেশ সমস্যায় পড়েছিলাম। চাপের মধ্যেও ঠান্ডা মাথার ইনিংস খেলেছে তাওহিদ হৃদয়। পরিস্থিতি সামলে পজিটিভি ক্রিকেট খেলেছে। আমাদের সমস্যা হচ্ছে শেষ দিকে ভালো জুটি গড়তে পারিনি। যার প্রভাব পড়েছে বোলিংয়ে।