ব্যাংক একীভূতকরণ স্বেচ্ছায় ডিসেম্বরের মধ্যে না হলে মার্চে প্রক্রিয়া শুরু

| বুধবার , ১৩ মার্চ, ২০২৪ at ৮:৩৪ পূর্বাহ্ণ

স্বেচ্ছায় একীভূতকরণের পদক্ষেপ নিতে ব্যাংকগুলো আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় পাবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র। এ সময়ের মধ্যে কে কোনটির সঙ্গে একীভূত হবে তা ব্যাংকগুলো নিজেরাই ঠিক করতে পারবে। তা না হলে মার্চে এ প্রক্রিয়া শুরু করবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আমানতকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন না বলেও আশ্বস্ত করেন মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মেজবাউল হক। দুর্বল ব্যাংকের তালিকা নিয়ে আলোচনার মধ্যে গতকাল তিনি বলেন, স্বতন্ত্র নিরীক্ষক প্রতিষ্ঠান থেকে পাওয়া মূল্যায়ন প্রতিবেদন ও বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে মার্চ মাসে মার্জার প্রক্রিয়া নিয়ে প্রথম মূল্যায়ন করা হবে। তখন আমরা ঠিক করে দেব কে কার সঙ্গে একীভূত হবে। খবর বিডিনিউজের। ব্যাংক একীভূত করার প্রক্রিয়াটি আন্তর্জাতিক মানের ও স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় হবে মন্তব্য করে তিনি বলেন, পিসিএ ও রোডম্যাপ ব্যাংক একীভূতকরণের ভিত্তি হবে। এটির ভিত্তিতে দেখা হবে কোন ব্যাংকের আর্থিক স্বাস্থ্য কেমন। পিসিএ ও রোডম্যাপ বলে দেবে কে কার সঙ্গে মার্জার হতে পারে। মুখপাত্র বলেন, ব্যাংক একীভূত হওয়া নিয়ে নানা ধরনের স্পেকুলেশন হচ্ছে। যে প্রক্রিয়ায় ব্যাংক একীভূত হোক না কেন, এতে আমানতকারীদের স্বার্থের কোনো হানি হবে না, সেখানে আমানতকারীদের স্বার্থ শতভাগ রক্ষা করা হবে।

সংবাদ সম্মেলনে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র কোন কোন ব্যাংক দুর্বল সেটির একটি ধারণাও দেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রতিবেদনের বরাতে ব্যাংকগুলোর লাল, হলুদ ও সবুজ তালিকা নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনের বিষয়েও কথা বলেন তিনি। দুর্বল ব্যাংকের বিষয়ে মেজবাউল হক বলেন, ব্যাংকগুলোর শেয়ার দর দেখলেই বোঝা যায় কারা খারাপ। খারাপ ব্যাংক কারা, তা তাদের ব্যালেন্সশিটে তো ইতোমধ্যে হিট করেছে। শেয়ারবাজারে তা মূল্যায়ন করে রেখেছে। শেয়ারের দাম যা, সেখানে কিন্তু আর্থিক অবস্থার প্রতিফলন ঘটে গেছে। মার্কেট অলরেডি ডিটারমাইন্ড করে ফেলেছে আপনার ভ্যালু কত। তারপরও আমরা নতুন করে নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান দিয়ে মূল্যায়ন করব। পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৩৬টি ব্যাংকের মধ্যে ১৮টির শেয়ার দর ১২ টাকার নিচে। ১০টির দর অভিহিত মূল্য ১০ টাকার নিচে। সেই তালিকায় প্রথম প্রজন্ম থেকে চতুর্থ প্রজন্মের ব্যাংকও রয়েছে। তবে শেয়ারদর কত হলে ব্যাংকটি খারাপ হিসেবে ধরা হবে তা সুস্পষ্ট করেননি মুখপাত্র।

কয়েক বছর ধরে ডজন খানেকের বেশি ব্যাংক মূলধন ঘাটতি ও তারল্য সংকটসহ বিভিন্ন ধরনের সমস্যার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। সমস্যাগ্রস্ত এসব ব্যাংককে দুর্বল হিসেবে চিহ্নিত করে অপেক্ষাকৃত ভালো ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত (মার্জার) করতে চাচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপ্রবাহ
পরবর্তী নিবন্ধচারুশিল্পী পরিবারের চিত্রাঙ্কন কর্মশালা