হাটহাজারীতে অভিনব কৌশলে প্রতারণার ফাঁদ পেতে অগ্রণী ব্যাংক কর্মকর্তার ৬৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়ে উধাও হয়ে যাওয়া সেই প্রতারককে আটক করে হাটহাজারী মডেল থানা পুলিশের নিকট সোপর্দ করা হয়েছে। গতকাল বুধবার রাতে অগ্রণী ব্যাংক হাটহাজারী শাখার ব্যবস্থাপক সায়দুর রহমান ওই প্রতারককে আটকের বিষয়টির সত্যতা গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন। আটক প্রতারক শফিকুর রহমান নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ি থানার রশিদুর রহমানের পুত্র।
জানা যায়, গত সোমবার এক ব্যক্তি প্রাইভেট কার নিয়ে পৌরসভার জেলা পরিষদ ডাক বাংলোয় এসে নিজেকে দুর্নীতি দমন কমিশনের সহকারী পরিচালক পরিচয় দেন। পরে তিনি পৌরসভার বাস স্টেশন এলাকার অগ্রণী ব্যাংকের ম্যানেজারকে ফোন করে নিজেকে সেই ব্যাংকের পরিচালক পরিচয় দিয়ে জানান, বিশেষ প্রয়োজনে তার ৬৫ হাজার টাকা দরকার। টাকাগুলো নিয়ে জেলা পরিষদের ডাক বাংলোয় দ্রুত চলে আসার নির্দেশ প্রদান করেন তিনি। পরে ব্যাংকের উক্ত কর্মকর্তা ওই প্রতারককে তার ব্যাংকের পরিচালক ভেবে ৬৫ হাজার টাকা ডাক বাংলোয় নিজে গিয়ে দিয়ে আসেন। তবে টাকা দিয়ে আসার পর ব্যাংকের ওই কর্মকর্তার সন্দেহ হলে প্রতারককে ফোন করেন। কিন্তু তার হদিস আর পাওয়া যায়নি। তাৎক্ষণিক বিষয়টি হাটহাজারী মডেল থানা পুলিশকে জানালে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বাংলোর সিসিটিভি ফুটেজ চেক করলেও তাতে প্রতারকের ছবি ও গাড়ির নাম্বার অস্পষ্ট থাকার কারণে তাকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। কথিত ওই প্রতারক গতকাল বুধবার অগ্রণী ব্যাংক রাউজান শাখার ম্যানাজারকে ফোন করে একইভাবে টাকা চাইলে তিনি বিষয়টি ব্যাংকের হাটহাজারী শাখা ম্যানেজারকে জানালে ব্যাংক ম্যানেজার তার শাখার স্টাফদের নিয়ে হাটহাজারী সদরের বাস স্টেশন এলাকায় মহাসড়কে পাহারা দিতে থাকেন। এক পর্যায়ে বিকেল আনুমানিক সাড়ে চারটার দিকে উপস্থিত লোকজনের সহায়তায় গাড়িসহ প্রতারক চক্রের মূল হোতা এবং চালককে আটক করে হাটহাজারী মডেল থানা পুলিশের নিকট সোপর্দ করে।
হাটহাজারী মডেল থানা ওসি (ইন্টেলিজেন্স) মো. ওমর ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে।