ব্যর্থতাই নাকি সফলতার চাবিকাঠি। শতভাগ সত্য এই মতবাদের নিদর্শনও রয়েছে অসংখ্য। পৃথিবীর সফল কোনো মানুষই একদিনে সফলতার ছোঁয়া পাননি। তাদের সফলতার সেই গৌরবোজ্জ্বল গল্পের পেছনে লুকিয়ে আছে শত ব্যর্থতার গল্প। এসব ব্যর্থতার গল্প থেকে আমাদের অনেক কিছুই শেখার আছে। কারণ প্রতিটি গল্পেই যে আছে অনুপ্রেরণা। দীর্ঘদিন ধরে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তির তালিকায় শীর্ষে থাকা বিল গেটসকে চিনবেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া ভার। তার কোম্পানির তৈরি করা অপারেটিং সিস্টেমেই এখন চলছে বিশ্বের বেশিরভাগ কম্পিউটার। সেই বিল গেটসের ব্যর্থতার গল্প হয়তো অনেকেরই অজানা। তিনি এবং তার বন্ধু মিলে একটি মেশিন তৈরি করতে গিয়ে দু’জনেই ব্যর্থ হলেন। কিন্তু তাদের দুজনের মধ্যেই ছিল ধৈর্য্য আর কাজের প্রতি আত্মবিশ্বাস। আর সেই থেকেই তারা একদিন সফলতার দ্বারে পৌঁছালেন। মানবজাতির ইতিহাসকে বদলে দেওয়া বিজ্ঞানীদের মধ্যে একজন ছিলেন আলবার্ট আইনস্টাইন। এমনকি ইতিহাসের সেরা মেধাবী বিজ্ঞানীও বলা হয় তাকে। প্রথম জীবনে নানা প্রতিবন্ধকতাকে জয় করতে হয়েছে। শিশু বয়সেই কথা বলা শিখতে বেশ সময় লেগেছিল তার। পড়াশোনায়ও ছিলেন কাঁচা। তার সফলতার পিছনে তবুও কেউ বাধা প্রয়োগ করতে পারেনি। একসময় সেই ব্যর্থ মানুষটিই বদলে দিয়েছেন মানবজাতির ইতিহাস। জীবনের পথ মসৃণ নয়, প্রত্যেকের পথে থাকে চ্যালেঞ্জ, থাকে বাধা। এই বাধাগুলোকেই আমরা বলি ব্যর্থতা। ব্যর্থতার মধ্য দিয়ে সফলতার সোপান রচিত হয়। মানুষের জীবনে ব্যর্থতা অনিবার্য। জীবনের যেকোনো ক্ষেত্রেই, ব্যক্তিগত জীবনে হোক বা কর্মজীবনে, ব্যর্থতা আমাদের পথের কাঁটা হয়ে দাঁড়ায়। আর এই ব্যর্থতাকে যদি সঠিক শিক্ষা হিসেবে সুন্দরভাবে গ্রহণ করতে পারি তবেই আমাদের কার্যক্রমে আমরা সফল হবো।