কক্সবাজারের উখিয়ার রত্নাপালং ইউনিয়নের ভালুকিয়া পালং এলাকার ব্যবসায়ী আবুল হাছান হত্যা মামলার রায় হত্যাকাণ্ডের ৩০ বছর ৬ মাস পর গতকাল বৃহস্পতিবার ঘোষণা করা হয়েছে। রায়ে দুই আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড এবং অনাদায়ে আরো এক বছর করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) নিশাত সুলতানা এ রায় ঘোষণা করেন। দণ্ডিত দুই আসামি হল কঙবাজারের উখিয়া উপজেলার রত্নাপালং ইউনিয়নের ভালুকিয়া পালং গ্রামের গুরা মিয়ার ছেলে জয়নাল আবেদীন এবং একই এলাকার এজাহার মিয়ার ছেলে সিরাজুল হক। রায় ঘোষণার সময় জয়নাল আবেদীন আদালতে উপস্থিত থাকলেও অপর আসামি পলাতক ছিল বলে জানান রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী ও অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট মোজাফফর আহমদ হেলালী। তিনি জানান, মামলায় ছয় আসামিকে বেকসুর খালাস প্রদান করা হয়েছে। তিন আসামি ইতোমধ্যে মৃত্যুবরণ করায় তাদের মামলার দায় থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
১৯৯৩ সালের ১৯ মার্চ বিকেল ৫টার দিকে ভালুকিয়া পালং এলাকায় ব্যবসায়িক কাজে ব্যস্ত থাকা অবস্থায় আবুল হাছানের উপর কতিপয় দুষ্কৃতকারী দা, লাঠিসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এতে আবুল হাছান গুরুতর আহত হলে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেঙে এবং পরে কঙবাজার জেলা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী মিনু আরা বেগম বাদী হয়ে ১১ জনকে আসামি করে উখিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
রায়ে আসামি জয়নাল আবেদীন ও সিরাজুল হককে ফৌজদারী দণ্ড বিধির ৩০২/৩৪ ধারায় দোষী সাব্যস্থ করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আসামি আবদুস সালাম, রনজিত বড়ুয়া, মোক্তার আহমদ, দুলা মিয়া, জসিম উদ্দিন ও জিনু কান্তি বড়ুয়াকে বেকসুর খালাস প্রদান করা হয়। এছাড়া মামলার অপর তিন আসামি যথাক্রমে কালা মিয়া, ফজলুল হক মিয়া ও নুরুল ইসলাম মৃত্যুবরণ করায় মামলার দায় হতে তাদের অব্যাহতি দেওয়া হয়।